ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ সময় ভারতের এক নাগরিকও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. সাকিব (১৮) বায়েক ইউনিয়নের মাদলার নন্দননগর পুরাতন গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মো.

মোতালেবের ছেলে এবং আহত ভারতীয় নাগরিকের নাম সুজন বর্মন (৩৫)। আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নিহত সাবিকের লাশ গ্রামের বাড়ি মাদলায় নিয়ে আসেন স্বজনেরা। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের।

ওসি আবদুল কাদের প্রথম আলোকে বলেন, কসবায় সীমান্তবর্তী এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। আর ভারতীয় এক নাগরিক আহত আছেন। গুলিবিদ্ধ সাকিবকে উদ্ধার করে তাঁর স্বজনেরা ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তিনি পথে মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছামিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুজন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মোটরসাইকেল আনছিলেন। বিএসএফ ওই দুজনকে লক্ষ্য করে গুলি করে। ভারতীয় নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ কসবা থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

পাটগ্রামের ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার গাটিয়ারভিটা সীমান্ত থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে যায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম রিমন ও তার মামা সাজেদুল ইসলামকে। শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যায় তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ।

তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা পর নিরাপদে দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন তারা। 

শুক্রবার (২ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের জিরো পয়েন্ট দিয়ে তাদের ফেরত আনা হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮২৫ নম্বর মেইন পিলারের ১ নম্বর সাবপিলার সংলগ্ন এলাকায়, কাঁটাতারের বেড়ার এপারে অবস্থিত একটি ভারতীয় চা বাগানে টিকটকের ভিডিও বানাচ্ছিলেন রিমন ও সাজেদুল। সেসময় কর্তব্যরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করে নিয়ে যায়।

ঘটনার পরপরই বিজিবি দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের নিরাপদে ফেরত পাঠানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বিএসএফ বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত দিতে রাজি হয়।

ফেরত আসা রিমন ও সাজেদুল জানিয়েছেন, আটকের পর বিএসএফ তাদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। দেশে ফিরে আসার পর তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এই ঘটনায় দ্রুত হস্তক্ষেপ করে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য বিজিবিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের পরিবার। 

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জানান, বিজিবির আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিএসএফ নিজেদের হেফাজতে থাকা দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে শুক্রবার রাতেই ফেরত দেয়।

সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের সতর্কতার চলাফেরার পরামর্শ দেন তিনি।

ঢাকা/আমিরুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অনুপ্রবেশ করা ভারতীয় চোরাকারবারি ঢাকায় আটক
  • কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
  • বাংলাদেশ-পাকিস্তান সীমান্তে বিএসএফের ‘ফিল্ড হেডকোয়ার্টার’ করবে ভারত
  • ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারো গোলাগুলি
  • বাংলাদেশ-পাকিস্তান সীমান্তে ১৬টি ব্যাটালিয়ন ও ২ হেডকোয়ার্টার করবে বিএসএফ
  • ঝিনাইদহ সীমান্তে নারী-শিশুসহ আটক ৪৪
  • পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের হাতে আটক দুই বাংলাদেশিকে ৮ ঘণ্টা পর ফেরত
  • ৮ ঘণ্টা পর দুই বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
  • পাটগ্রামের ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ