আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে হালনাগাদ: ওয়ানডেতে দশে নেমে গেল বাংলাদেশ
Published: 5th, May 2025 GMT
বার্ষিক র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি। এতে ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হয়েছে বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট দলের। র্যাঙ্কিংয়ে নয় থেকে নেমে দশে চলে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
তবে টেস্ট ও টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে পূর্বের অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে নয়ে ছিল বাংলাদেশ, নয়েই আছে। তবে টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে পূর্বের অবস্থান নয়ে থাকলেও চার রেটিং হারিয়েছে বাংলাদেশ। টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের পরে আছে।
হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়ে টেস্টে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে চার থেকে দুইয়ে উঠেছে ইংল্যান্ড। চার থেকে তিনে উঠে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারত তিন থেকে নেমে গেছে চারে।
তবে ওয়ানডে ও টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদবের দল। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়া দুই থেকে তিনে নেমে গেছে। তিন থেকে দুইয়ে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার পূর্বের র্যাঙ্কিং ছিল ছয়। তারা চারে উঠেছে। পাকিস্তান চার থেকে পাঁচে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ছয় থেকে সাতে গেছে। সাত থেকে আটে গেলে ইংল্যান্ড। আফগানিস্তান আট থেকে সাতে উঠে এসেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ থেকে নয়ে এসেছে।
টি-২০ র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ছয় দলের অবস্থান একই আছে। ভারত শীর্ষে, দুইয়ে অস্ট্রেলিয়া, তিনে ইংল্যান্ড, চারে নিউজিল্যান্ড, পাঁচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ছয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কা আট থেকে সাতে এসেছে। সাত থেকে আটে গেছে পাকিস্তান। নয় ও দশে আছে যথাক্রমে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইস স র য ঙ ক আইস স
এছাড়াও পড়ুন:
সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর, মহাসড়কে উল্টো পথে অটোরিকশার দাপট, ঘটছে দুর্ঘটনা
মহাসড়কে তিন চাকার অটোরিকশা চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় পাশে উল্টো পথে দাপটের সহিত চলছে ব্যাটারি চালিত রিকশা, অটোরিকশা বা ইজিবাইক।
এতে একদিকে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিশৃংখলার সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে বাড়ছে দুর্ঘটনা। হাইওয়ে পুলিশের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে এই গাড়িগুলো চলাচল করছে। গত ছয় মাসে মহাসড়কে অটোরিকশা দূর্ঘটনায় অর্ধ্বশতাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটলেও টনক নড়ছেনা হাইওয়ে পুলিশের।
সবশেষ গত ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাঁচপুর ব্রিজের ঢালে উল্টো পথে আসা ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-ছেলে সহ তিনজন নিহত হয়েছে।
নিহতরা হলেন- গাইবান্ধার সুনামগঞ্জ থানার আশরাফুল আলমের স্ত্রী কাকলি (৩৫), ছেলে আরিয়ান আহম্মেদ রাফি (৫) ও রংপুরের পীরগাছা থানার আব্দুল ওহাবের ছেলে অটোরিকশা চালক আনিসুর রহমান (২৩)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছিল, মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে দ্রুতগতিতে হিমালয় পরিবহনের একটি বাস আসছিল। একই সময় উল্টো পথে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাংরোড থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যাচ্ছিল। এ সময় মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশা চালকসহ অটোরিকশায় থাকা মা- ছেলের মৃত্যু হয়।
এদিকে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে দায়ী করছেন পথচারীরা। অনেকেই বলছেন পুলিশের রহস্যজনক উদাসিনতা ও জনসচেতনার অভাবে মহাসড়কে অটোরিকশার দৌরাত্ব্য বেড়েছে।
সোমবার (৫ মে) সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, সানাড়পাড়, মৌচাক, চিটাগাং রোড শিমরাইল মোড় ও কাঁচপুর সেতুর উভয়পাশে ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়ক জুড়ে অসংখ্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিসহ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল করছে। বেশির ভাগই আবার চলছে উল্টো পথে।
অটো চালকরা ঝুঁকিপুর্ণভাবে যাত্রীদের পরিবহন করছে এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও নারী-পুরুষ-শিশু যাত্রীরা নিরুপায়।
ঢাকা থেকে কুমিল্লাগামী একটি বাসের চালক জয়নাল বলেন, সরকার ও উচ্চ আদালত মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করলেও এই এলাকায় কোনো প্রশাসন আছে বলে মনে হয় না। এসব ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার কারণে আমাদের ধীরগতিতে চলতে হয়।
মহাসড়কে বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য এই অটোরিকশাকে দায়ী করে হানিফ পরিবহনের চালক লিটন বলেন, মহাসড়কে বড় বড় যানবাহন চলাচল করে কিন্তু এই অটোরিকশা হঠাৎ হঠাৎ বড় যানবাহনের সামনে এসে পড়লে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়।
গার্মেন্ট শ্রমিক রেদোয়ান বলেন, আমি একদিন কাজ থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে পেছন থেকে একটি অটোরিকশা আমার গায়ের উপরে উঠে যায় যার ফলে আমার হাত ভেঙে যায় এবং আমি প্রায় তিন মাস চিকিৎসা দিন ছিলাম।
সানাড়পাড় এলাকার বাসিন্দা জুনায়েদ বলেন, মহাসড়কে ছোট ছোট এসব যানবাহনের কারণে আমরা সব সময় সড়ক দুর্ঘটনার আতঙ্কে থাকি। থানা ও হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সখ্য করেই গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কে এগুলো চলাচল করছে।
রমজান মিয়া নামের একজন অটোরিকশাচালক বলেন, মাঝে মধ্যে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। কিছু কিছু রিকশা ডাম্পিং করে। পরে পুলিশকে ম্যানেজ করে আবার রিকশা চালাই।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, মহাসড়কে উল্টো পথে ব্যাটারি চালিত অটো রিকসার চলাচল বন্ধ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনো সময়। এতে প্রাণহানী ঘটনার আশংকা রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সহিত সংশ্লিষ্টদের ভেবে দেখা উচিৎ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ টিআই নাইম বলেন, কোনো অনিয়মের সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশ জড়িত নেই। প্রতিদিনই এসব অযান্ত্রিক যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। ১০/১৫ টি আটক করে জরিমানা ও রেকারিং করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মহাসড়কে এদের চলাচল অনেক কমে আসছে। আশা করি মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে।