আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের একধাপ অবনমন হয়েছে। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও নিচে নেমে গেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে র‌্যাংকিংয়ে এখন ১০ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। সোমবার (০৫ মে) ইন্টারন‌্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) বাৎসরিক র‌্যাংকিং হালনাগাদ করেছে। ৪ রেটিং পয়েন্টসহ একধাপ নিচে নেমেছে বাংলাদেশ। ৭৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দশে। ওয়ানডেতে অবনমন হলেও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। দুই ফরম‌্যাটেই বাংলাদেশের অবস্থান নয়ে।

ওয়ানডে ক্রিকেট বাংলাদেশের সব সময়ই ছিল গর্বের জায়গা। এই ফরম‌্যাট বাংলাদেশের স্বাচ্ছন্দ‌্যের জায়গা। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সাফল‌্যছুট চলছিল ধারাবাহিক গতিতে। কিন্তু গত এক বছরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। নয় ম‌্যাচে বাংলাদেশ জিততে পেরেছে মাত্র তিনটিতে। তিনটি সিরিজ খেললেও জিততে পেরেছে মাত্র একটি। আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ৩-০ ব‌্যবধানে হয়েছিল হোয়াইটওয়াশ। যার প্রভাব পড়েছে র‌্যাংকিংয়ে।

বাংলাদেশকে পেছনে ফেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে ৫। ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন নয়ে অবস্থান করছে। এদিকে উন্নতি হয়েছে আফগানিস্তানের। তারা ইংল্যান্ডকে টপকে সাতে উঠেছে। আটে নেমে গেছে সাবেক বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়নরা।

আরো পড়ুন:

ইনিংস ব‌্যবধানে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বদলা নিলো বাংলাদেশ

বেসামাল বিসিবি ডেকেছে জরুরি বোর্ড মিটিং  

চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতা ভারত যথারীতি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। তবে ২ রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে তাদের। ১২৪ পয়েন্ট তাদের। ১০৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে নিউ জিল‌্যান্ড। সমান পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া তিনে। পরের ধাপগুলোতে আছে শ্রীলঙ্কা (১০৪), পাকিস্তান (১০৪), দক্ষিণ আফ্রিকা (৯৬)।

এছাড়া টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে ভারত ২৭১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে, ২৬২ পয়েন্ট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দুই নম্বরে আছে। এই ফরম‌্যাটে বাংলাদেশের অবস্থান নয়ে। রেটিং পয়েন্ট ২২৫।

সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস স অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয়: ফরহাদ মজহার 

সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, সাহিত্য সবসময়ই রাজনৈতিক শক্তির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ সাহিত্য বিভাজনকে ভেঙে দেয়, নতুন সম্বন্ধ তৈরি করে। ফলে সাহিত্য কখনো সরাসরি রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠলেও, তা রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করেই টিকে থাকে। রাজনীতি বুঝলে সাহিত্যও বোঝা যাবে। সাহিত্য শুধু জাতীয়তাবাদী বয়ান নয় বরং সার্বজনীনতার আকাঙ্ক্ষাও।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মোহাম্মদ রোমেলের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অধরা শহীদি মিছিল’–এর ওপর পাঠ, আবৃত্তি ও পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাহিত্য ও চিন্তাশীলতার এই আয়োজনে উপস্থিত বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, গবেষক কুদরত-ই-হুদা এবং কবি ও ‘বিবিধ’ পত্রিকার সম্পাদক ইকতিজা হাসান। সঞ্চালনায় ছিলেন লেখক ও চিন্তক উদয় হাসান। আয়োজক ছিল ‘বায়োস্কোপ আড্ডা’।

বই প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, শহীদি মিছিল শুধু একটি বই নয়, এটি একটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মৃতি বহন করে এই নাম। বইয়েই কবিতাগুলো ২০১৩ সাল থেকে লেখা হয়েছে, যার ভেতরে আছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে নতুনভাবে দেখার আকাঙ্ক্ষা।

কবি সম্পর্কে তিনি বলেন, রোমেল এখনো বাইনারি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নন। তাঁর কবিতায় গ্রাম বনাম শহর, নাগরিকতা বনাম প্রকৃতি, আবেগ বনাম যুক্তির দ্বন্দ্ব প্রকট। তবে তিনি এই দ্বৈততার ভেতর থেকেও নতুন ভাষা নির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি করছেন। 

আলোচনায় মোহাম্মদ আজম বলেন, রোমেল প্রচলিত কাব্যধারায় কবিতা লেখেননি। তাঁর কবিতায় বাংলার ভাব, কৃষি, নাগরিক সংকট, রাজনৈতিক ভাষ্য ও একান্ত ব্যক্তিগত অনুভব একত্রে ধরা পড়ে। এইসব উপাদানে ফরহাদ মজহারের ছায়া লক্ষ্য করা যায়।

তিনি আরও বলেন, রোমেলের কবিতা শরীরকে একটি কেন্দ্রীয় মেটাফোর হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রেম, আবেগ, ভালোবাসা সবই সেখানে শরীরের ভেতর দিয়ে প্রকাশিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ