সাত দিনের মধ্যে নতুন সাইবার আইন কার্যকর: আইন উপদেষ্টা
Published: 6th, May 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এ সপ্তাহে আইনটি চূড়ান্ত হবে। ফলে, এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন সাইবার সিকিউরিটি আইন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আসিফ নজরুল বলেন, নতুন আইনে পুরনো আইনের নয়টি ধারা থাকছে না। এ অবস্থায় আগের সাইবার সিকিউরিটি আইনে যেসব মামলা হয়েছে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে আগের সরকারের মনগড়া ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক মামলা বাতিল হবে।
তিনি বলেন, নতুন সাইবার সিকিউরিটি আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছর। কেউ মিথ্যা মামলা করলে এবং তা প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদ সিভিল প্রসিডিউর অ্যাক্টের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক মামলাগুলোকে দ্রুত আমলে নেওয়ার ব্যাপারে নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি আইনে।
তিনি আরো বলেন, তিনটি আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। অন্য দুটি হলো— সীমানা পুনঃনির্ধারণ আইনের খসড়া ও সিভিল প্রসিডিউর কোর্ট (সিপিসি) আইন। এর ফলে সিভিল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের বড় সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া হবে না। নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে অনেকে বিদ্বেষমূলক আচরণ এবং অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন। ভিন্নমতের প্রকাশ শালীনভাবে হওয়া প্রয়োজন। নারী সংস্কার কমিশন শুধু তাদের সুপারিশ দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন—স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।