অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার সুরক্ষা আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এ সপ্তাহে আইনটি চূড়ান্ত হবে। ফলে, এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন সাইবার সিকিউরিটি আইন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

আসিফ নজরুল বলেন, নতুন আইনে পুরনো আইনের নয়টি ধারা থাকছে না। এ অবস্থায় আগের সাইবার সিকিউরিটি আইনে যেসব মামলা হয়েছে, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। এর ফলে আগের সরকারের মনগড়া ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক মামলা বাতিল হবে।

তিনি বলেন, নতুন সাইবার সিকিউরিটি আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছর। কেউ মিথ্যা মামলা করলে এবং তা প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। 

উপদেষ্টা পরিষদ সিভিল প্রসিডিউর অ্যাক্টের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন আসিফ নজরুল।

আইন উপদেষ্টা জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ এবং ধর্মীয় উস্কানিমূলক মামলাগুলোকে দ্রুত আমলে নেওয়ার ব্যাপারে নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে সাইবার সিকিউরিটি আইনে।

তিনি আরো বলেন, তিনটি আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। অন্য দুটি হলো— সীমানা পুনঃনির্ধারণ আইনের খসড়া ও সিভিল প্রসিডিউর কোর্ট (সিপিসি) আইন। এর ফলে সিভিল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।

তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের বড় সংস্কার রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া হবে না। নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে অনেকে বিদ্বেষমূলক আচরণ এবং অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন। ভিন্নমতের প্রকাশ শালীনভাবে হওয়া প্রয়োজন। নারী সংস্কার কমিশন শুধু তাদের সুপারিশ দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন—স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইন র

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন করে সাজছে লিভারপুল

দলবদলের বাজারে ভালোই আলোড়ন তুলেছে লিভারপুল। গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের কাছাকাছি ব্যয় করে তিনজনকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। এর মধ্যে ফ্লোরিন উইর্টজকে রেকর্ড ১১৬ মিলিয়ন পাউন্ডে দলে টেনেছে। কদিনের মধ্যে আরও একটি বিগ সাইনিং দেখা যেতে পারে। ভাঙতে পারে উইর্টজের ট্রান্সফার রেকর্ডও। নিউক্যাসলের সুইডিশ স্ট্রাইকার আলেকসান্দার ইসাককে দলে টানতে তিন অঙ্কের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে লিভারপুল। শুধু তাই নয়, ক্রিস্টাল প্যালেসের তারকা সেন্টারব্যাক মার্ক গুয়েহিও নাকি লিভারপুলে আসছেন। তাই আগামী মৌসুমে আরও শক্তিশালী চেহারায় দেখা যাবে লিভারপুলকে।

তবে ইসাকের জন্য প্রায় ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড দাম হেঁকেছে নিউক্যাসল। ২৫ বছর বয়সী এ স্ট্রাইকারের এজেন্টের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে লিভারপুল। অলরেডদের জন্য ইতিবাচক বিষয় হলো ইসাক লিভারপুলে আসতে আগ্রহী। আর ডারউইন নুনেজকে নিতে চাইছে ন্যাপোলি। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারকে বিক্রি করতে পারলে ইসাককে দলে টানার পথটা মসৃণ হয়ে যাবে লিভারপুলের। রেকর্ড ট্রান্সফার ফিতে ফ্লোরিয়ান উইর্টজকে এক সপ্তাহ আগে নিশ্চিত করে অলরেডরা। গত শুক্রবার কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে আনুষ্ঠানিকভাবে অলরেড হয়েছেন এ জার্মান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। তাঁকে স্বাক্ষর করানোর দিনে বোর্নমাউথ থেকে উইংব্যাক মিলোস কেরকেজকেও নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। 

এর আগে লেভারকুজেন থেকে আরেক উইংব্যাক জেরেমি ফ্রিমপংকে দলে টেনেছে তারা। ফলে আগামী মৌসুমে দুই নতুন উইংব্যাক দেখা যাবে দলে। ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আরনল্ড রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার বিষয়টি আগেভাগে নিশ্চিত হওয়ায় তারা দ্রুতই ডাচ ডিফেন্ডার ফ্রিমপংকে দলে ভেড়ায়। বোর্নমাউথ থেকে হাঙ্গেরিয়ান ডিফেন্ডার কেরকেজকে দলে টানার গুঞ্জনও বেশ কিছু দিন ধরে চলছিল। তাঁর আসার খবরেই আরনল্ডের দীর্ঘদিনের সঙ্গী রবার্টসনও চলে যেতে চাইছেন। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে যেতে পারেন তিনি। তরুণ ডিফেন্ডার জারেল কোয়েনশাও দল ছাড়তে পারেন। যেতে পারেন লেভারকুজেনে। আরেক সেন্টারব্যাক ইব্রাহিম কোনাতের দিকেও নাকি নজর পড়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। এসব বিবেচনায় মার্ক গুয়েহিকে দলে টানতে চাইছে লিভারপুল।

বায়ার্ন মিউনিখ ও ম্যানচেস্টার সিটির মতো ক্লাবকে টেক্কা দিয়ে উইর্টজকে দলে টেনে সবাইকে চমকে দিয়েছেন লিভারপুল বস আর্নে স্লট। কারণ ২২ বছর বয়সী এ জার্মান প্লেমেকার লম্বা রেসের ঘোড়া। অনেকের মতে, ব্যালন ডি’অর জেতার সামর্থ্যও রয়েছে তাঁর। উইর্টজ অবশ্য এত কিছু নিয়ে ভাবছেন না। শুধু লিভারপুলের হয়ে ম্যাচ জিততে চান তিনি, ‘সত্যিই আমি খুব খুশি, ভীষণ গর্বিতও। অবশেষে এটা হলো, অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। সামনের নতুন অভিযান নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। আমার ক্লাব পরিবর্তনের ভাবনায় এটাও বড় একটা ব্যাপার ছিল, বুন্দেসলিগা থেকে প্রিমিয়ার লিগে আসা এবং পুরোপুরি নতুন করে পথচলা শুরু করা।’ 

লিভারপুলের মাঝমাঠ এমনিতেই বেশ শক্তিশালী। তাঁকে নিয়ে আরও সৃষ্টিশীল ও ধারালো হবে অলরেডরা। উইর্টজও ক্লাবকে নিয়ে যেতে চান নতুন উচ্চতায়, ‘আমার তো ভালো লাগবে প্রতিবছরই জিততে পারলে। তবে সবকিছুর আগে নিজেদের কাজ করতে হবে। দিন শেষে আমরা সাফল্য চাই। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে এ ক্লাব। সামনে মৌসুমে তা ধরে রাখতে চাইব এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চাইব আরও এগিয়ে যেতে। আমি সত্যিই উচ্চাকাঙ্ক্ষী!’

সম্পর্কিত নিবন্ধ