ব্যাটে-বলে সাম্প্রতিক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আইসিসির সর্বশেষ হালনাগাদ টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে অলরাউন্ডারদের তালিকায় এক ধাপ এগিয়ে এখন তিনি দ্বিতীয় স্থানে। তার রেটিং পয়েন্ট ৩২৭। দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার মার্কো ইয়ানসেনকে (২৯৪) পেছনে ফেলে এই অবস্থানে উঠে এসেছেন মিরাজ।

শুধু অলরাউন্ডার নয়, ব্যাটিং ও বোলিং র‍্যাঙ্কিংয়েও উন্নতি করেছেন তিনি। ব্যাটারদের তালিকায় আট ধাপ এগিয়ে এখন ৫৫ নম্বরে (৫১৫ পয়েন্ট) অবস্থান করছেন মিরাজ। আর বোলারদের তালিকায় দুই ধাপ এগিয়ে তার অবস্থান এখন ২৪তম।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত টেস্ট সিরিজে ১-১ সমতায় শেষ করেছে বাংলাদেশ। এতে করে আরও কয়েকজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারের অবস্থান উন্নত হয়েছে আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে। ব্যাটারদের তালিকায় ১৭ ধাপ লাফিয়ে উঠে সাদমান ইসলাম এখন ৬০ নম্বরে (৪৯০ পয়েন্ট)। মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত দুজনেই এক ধাপ করে এগিয়ে এখন যথাক্রমে ৪৭ ও ৫২ নম্বরে। বোলারদের তালিকায় সাত ধাপ উন্নতি এনে ১৬তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।

এদিকে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানগুলোতে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। টেস্ট ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ে ৮৯৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন ইংল্যান্ডের জো রুট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছেন হ্যারি ব্রুক (৮৭৬) ও কেইন উইলিয়ামসন (৮৬৭)। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো খেলা জিম্বাবুয়ের শন উইলিয়ামস দুই ধাপ এগিয়ে ১৯তম স্থানে উঠে এসেছেন।

বোলারদের র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অবস্থান আগের মতোই। ৯০৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন ভারতের জাসপ্রীত বুমরাহ। কাগিসো রাবাদা (৮৩৭) ও প্যাট কামিন্স (৮২৪) রয়েছেন যথাক্রমে দুই ও তিন নম্বরে। ১৫ নম্বরে রয়েছেন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি, যার রেটিং পয়েন্ট ৬৭৭।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস স র য ঙ ক অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জনগণ, অংশ নিলেন প্রেসিডেন্টও

ইরানের তেহরানে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিমান হামলার প্রতিবাদে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। দেশটির রাজধানীজুড়ে রোববার সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সেখানে যোগ দেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

বিক্ষোভ ‘আমেরিকার আগ্রাসনের জবাব চাই’, ‘আমেরিকা নিপাত যাক’, ‘ইসরায়েল ধ্বংস হোক’- ইত্যাদি নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

প্রতিবাদকারীদের হাতে ছিল ইরানি পতাকা, নিহতদের ছবি এবং ট্রাম্প ও ইসরায়েলি নেতাদের কুশপুতুল। অনেকে হাতে ধরে রেখেছিলেন ব্যানার যাতে লেখা ছিল:

‘আমরা প্রতিরোধ করবো, আত্মসমর্পণ নয়’, ‘হামলা হলে জবাব আসবেই’, ‘পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের রক্ত বৃথা যাবে না’

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই হামলা কেবল ইরানের নয়, সমস্ত মুসলিম বিশ্বের ওপর আঘাত। আমেরিকা জানে না, ইরান কখনও মাথানত করে না।’

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বিক্ষোভের লাইভ সম্প্রচার করে। অনেক জায়গায় ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত থেকে জনগণকে ‍উদ্বুদ্ধ করেন প্রতিরোধে সক্রিয় থাকতে।

তেহরানের আজাদি স্কয়ার, ফার্দৌসি স্কয়ার, ইমাম হোমেইনি মসজিদের সামনে এবং পার্লামেন্ট ভবনের সামনে ছিল প্রধান বিক্ষোভস্থল। তবে দেশটির বিভিন্ন স্থানেও ছোটখাটো করে বিক্ষোভ হয়। তেহরানের আজাদি স্কয়ারে আসেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। পরে তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অংশ নেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই বিক্ষোভগুলো শুধু সরকার সমর্থিত নয়—বিশেষ করে ইরানে পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের ওপর হামলার পর সাধারণ জনগণের মধ্যেও জাতীয় ঐক্য ও ক্ষোভ উভয়ই দৃশ্যমান।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে সামরিক অভিযানে ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এর পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ