কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জবাবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরসহ দেশটির কয়েকটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। পাল্টা আঘাত করেছে পাকিস্তানও। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের যুদ্ধের প্রভাব যে ক্রীড়াঙ্গনে পড়তে যাচ্ছে, তা অনুমেয়ই বটে। চলতি মাসে পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলতে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর করার কথা। তবে নতুন করে যুদ্ধে এই সফর এখন অনিশ্চয়তায়। বড় ধরনের শঙ্কা সাউথ এশিয়ান গেমস নিয়ে। ২০২৬ সালের ২৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানে হওয়ার কথা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর। আট মাস বাকি থাকলেও পাকিস্তানে এসএ গেমস যে হবে না, তা পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। কারণ, ভারত কোনোভাবেই তাদের ক্রীড়াবিদদের পাকিস্তান সফরে পাঠাবে না।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে সব ধরনের সম্পর্কচ্ছেদ করে ভারত। দীর্ঘদিন ধরে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হয় না তাদের মধ্যে, আইসিসির ইভেন্টেই যা একটু দেখা হয়। কিন্তু হামলার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে জানানো হয়, আইসিসির ইভেন্টেও পাকিস্তানের সঙ্গে খেলবে না তারা। এ কারণে অনিশ্চয়তায় পড়েছে ২০২৫ সালের এশিয়া কাপও। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের আয়োজন করবে ভারত। যদিও চুক্তি অনুযায়ী হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তানের খেলা শ্রীলঙ্কার মাটিতে হতে পারে। কিন্তু যুদ্ধের কারণে দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন পড়ে যাচ্ছে। আদৌ হবে কি এশিয়া কাপ?

আগস্টে তিন ওয়ানডে ও তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ সফর করার কথা ভারতের। ক’দিন আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সফর করবে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা সফর বাতিলের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার নতুন করে সংঘাত এবং কয়েক মাস ধরেই বাংলাদেশের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের কারণে অনিশ্চয়তায় পড়েছে এই সফর। এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। যেখানে আছে পাকিস্তানের নারী ক্রিকেট দলও। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

ভারতের রাঁচিতে ৩ থেকে ৫ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সাফ অ্যাথলেটিকস। যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ৪৩ ক্রীড়াবিদের অংশ নেওয়ার কথা ছিল। প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য ভুটান দল রাঁচিতে গিয়েছিল। সেখানে যাওয়ার পর তারা শোনে, সাফ অ্যাথলেটিকস স্থগিত। ভারতীয় মিডিয়া জানায়, কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার কারণে সাফ অ্যাথলেটিকস আপাতত স্থগিত। এখন বড় ধরনের অনিশ্চয়তায় ২০২৬ সালের এসএ গেমস। ইতোমধ্যে ২৬টি ডিসিপ্লিনে খেলা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ। 

ক্রিকেট যেমন হাইব্রিড মডেলে অন্য দেশে গিয়ে খেলা যায়, গেমসের ক্ষেত্রে সেটি কঠিনই বলা চলে। কারণ, গেমসে ডিসিপ্লিন অনেক এবং অ্যাথলেটের সংখ্যাও বেশি। তাই যুদ্ধের কারণে পাকিস্তানের মাটিতে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে সাফ গেমসে যে হচ্ছে না– তা এক প্রকার নিশ্চিতই বলা চলে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এ বছরই কি আসছে ভাঁজযোগ্য আইফোন, চূড়ান্ত প্রস্তুতি কত দূর

অ্যাপলের বহুল প্রতীক্ষিত ভাঁজযোগ্য বা ফোল্ডেবল আইফোন বাজারে আসতে আর বেশি দেরি নেই। যন্ত্রটির ডিসপ্লে–সংক্রান্ত চূড়ান্ত স্পেসিফিকেশন এরই মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৫ সালের শেষভাগেই শুরু হতে পারে এর উৎপাদন।

অ্যাপলবিষয়ক বিশ্লেষক মিন চি কুও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় জানিয়েছেন, অ্যাপলের দীর্ঘদিনের উৎপাদন সহযোগী ফক্সকন ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের শেষ দিকে বা চতুর্থ প্রান্তিকের শুরুতে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করতে পারে। সময় হিসেবে তা আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যবর্তী। এর আগে চলতি বছরের মার্চে কুও প্রথম জানান, ফোল্ডেবল আইফোনের বাজারে আসার সম্ভাব্য সময় ২০২৬ সাল। তখন তিনি বলেন, যন্ত্রটি আইফোন ১৮ সিরিজের সঙ্গেই উন্মোচিত হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদেও তিনি পূর্বাভাসটি দিয়েছেন। তবে এটিও স্পষ্ট করেছেন, এখনো সব পরিকল্পনা পরিবর্তনশীল। ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে এ পর্যায়ে যে অগ্রগতি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য তা হলো, এর ডিসপ্লের স্পেসিফিকেশন চূড়ান্ত করা হয়েছে। কুওর তথ্য অনুযায়ী, এই ডিসপ্লে তৈরি করবে স্যামসাং ডিসপ্লে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২৬ সালের জন্য বছরে ৭০ থেকে ৮০ লাখ ইউনিট ফোল্ডেবল প্যানেল উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

কেবল ডিসপ্লেই নয়, ফোল্ডেবল আইফোনের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের অনেক কিছুই এখনো নির্ধারিত হয়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত উপাদান হচ্ছে হিঞ্জ, যা ফোনটিকে ভাঁজ করার মূল প্রযুক্তিগত অংশ। প্রযুক্তিবাজারে এই যন্ত্রাংশ নিয়ে আগ্রহ অনেকদিন ধরেই রয়েছে। ফোল্ডেবল আইফোন নিয়ে গুঞ্জন নতুন নয়। এক দশকের বেশি সময় ধরে অ্যাপলের এমন একটি যন্ত্র তৈরির খবর প্রযুক্তি মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান এবার সত্যিই হতে চলেছে।

মার্চ মাসে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ম্যাশেবলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও ফোল্ডেবল আইফোনের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশন ও নকশা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কুওর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, অ্যাপল ইতিমধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখ থেকে ২ কোটি ইউনিট ফোল্ডেবল আইফোনের প্রাথমিক অর্ডার দিয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ২০২৭ ও ২০২৮ সালে অ্যাপল প্রতিবছর কয়েক মিলিয়ন ইউনিট করে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে দাম যে সাশ্রয়ী হবে না, সেটাও আগেভাগেই জানিয়েছেন তিনি। ফোল্ডেবল আইফোনের সম্ভাব্য মূল্য নিয়ে কুও বলেন, এটি হবে ‘টাওয়ারিং’ বা অত্যধিক উচ্চমূল্যের একটি পণ্য।

সূত্র: ম্যাশেবল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্লাব বিশ্বকাপে গরম আর ঝড়–বৃষ্টিই শিরোনাম, ২০২৬ বিশ্বকাপে কী হবে
  • বিশ্বকাপের টিকিট পেলো কানাডা
  • বাছাইপর্ব পেরিয়ে সবার আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কানাডা
  • চলমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাজেট ব্যর্থ
  • বিশ্বকাপের টিকিট পেল কানাডা
  • এ বছরই কি আসছে ভাঁজযোগ্য আইফোন, চূড়ান্ত প্রস্তুতি কত দূর
  • নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের: ডন
  • এজেন্সি প্রতি এক হাজার হজযাত্রীর কোটা বহাল রাখার অনু‌রোধ বাংলা‌দ