আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার করছে: আইন উপদেষ্টা
Published: 9th, May 2025 GMT
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল অভিযোগ করেছেন, কিছু মানুষ তার বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্ম বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে এ অভিযোগ করেছেন তিনি।
আসিফ নজরুল লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যোচার ও আক্রমণাত্নক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই খুনের মামলার আসামী সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সীগুলোর, যা কোনভাবেই আমার আইন মন্ত্রনালয়ের এখতিয়ারভূক্ত বিষয় নয়।”
“আমার মন্ত্রনালয়ের অধীনে আছেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহাড়া দেয়া না বা কারো চলাচলে বাধা দেয়া না।”
তিনি লিখেছেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরনের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রনালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করবো এটা কিভাবে সম্ভব? উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কি ভূমিকা রেখেছেন এনিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় তার দায় দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের প্রশ্নে কোন দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে।”
আসিফ নজরুল আরো লিখেছেন, “আমাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েকদিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারবো। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইন সহ অন্য আইনগুলোও আছে। কাজেই আইন কোন সমস্যা না। রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোন পর্যবেক্ষন বা রায় আসলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি। ইনশাল্লাহ্।”
ঢাকা/রায়হান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও জয় পেল না বাংলাদেশ
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল টুর্নামেন্ট আজ শুক্রবার (০৯ মে) মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রথমার্ধে আধিপত্য দেখিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়েছিল বাংলাদে দল। দুই গোলের লিডে বিরতিতে যাওয়ার পরও শেষ হাসি হাসতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ হারিয়ে ফেলে ছোটনের শিষ্যরা। সে কারণে জয়বঞ্চিত হয়ে ২-২ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়।
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের গোল্ডেন জুবিলি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ম্যাচের ১৩ মিনিটেই মালদ্বীপের এক ভুল পাসকে সুযোগে পরিণত করে দুর্দান্ত এক দূরপাল্লার শটে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল। এরপর আরও একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে বিরতির ঠিক আগে মিঠু চৌধুরীর নিখুঁত লব থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিফাত কাজী।
দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। ইতালি প্রবাসী আব্দুল কাদির মাঠে নামলেও পছন্দের জায়গা উইংয়ের বদলে মাঝমাঠে খেলায় প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হন। বল পেতেও সমস্যা হচ্ছিল তার। সে কারণে ৭১ মিনিটে তাকে তুলে নেন কোচ।
আরো পড়ুন:
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ স্থগিত
ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের উন্নতি
তার আগেই মালদ্বীপ নিজেদের ছন্দ ফিরে পায়। ৫৭ মিনিটে ইব্রাহিম নাসিরের ক্রস থেকে আনুফ আব্দুল্লাহ একটি দারুণ ফিনিশিংয়ে ব্যবধান কমান। এরপর ৭৩ মিনিটে অধিনায়ক আহজাম রাশিদের নিখুঁত থ্রু বল ধরে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান ইব্রাহিম জাকি।
শেষদিকে বাংলাদেশকে নিশ্চিত হার থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ইসমাইল হোসেন মাহিন। প্রতিপক্ষের একটি ভয়ঙ্কর শট ঠেকিয়ে ম্যাচে একটি পয়েন্ট নিশ্চিত করেন তিনি।
এভাবে প্রতিযোগিতার শুরুটা প্রত্যাশামতো না হলেও রবিবার (১১ মে) ভুটানের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ দল।
ঢাকা/আমিনুল