রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চেয়ার আমগাছ থেকে নামানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর অফিস কক্ষের তালাও খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সেনাসদস্যরা দুটি গাড়িতে করে বিদ্যালয়ে এসে কক্ষ খুলে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন।

ইউএনও আরাফাত আমান আজিজ বলেন, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ তালাবদ্ধ করাটা দুঃখজনক। এটা ছিল বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব। এ বিষয়ে তাঁরা পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে সেখানে সেনাবাহিনী গিয়েছিল। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যদিও বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ হয়নি। প্রধান শিক্ষক তাঁর কক্ষে বসবেন।

আরও পড়ুনপ্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা, চেয়ার ঝুলছে আমগাছে০৮ মে ২০২৫

এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নওহাটা পৌরসভার বাগধানী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে টেনেহিঁচড়ে বের করে কক্ষে তালা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক মঞ্জু মনোয়ারা। তাঁর অভিযোগ, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে মারধরও করেছেন।

এ ঘটনায় তাঁর চেয়ার পাশেই একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সেই চেয়ার বিদ্যালয়ের পাশে একটি আমগাছে ঝুলিয়ে রাখে কে বা কারা। প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে চেয়ারটি বেঁধে রাখা হয়। গতকাল প্রধান শিক্ষকের কক্ষের দুটি দরজায় তালা দেখা যায়। তবে আজ শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, আমগাছের সেই চেয়ার আর নেই। চেয়ারটি দেখা গেল প্রধান শিক্ষকের অফিসের সামনে। তবে এটি ভাঙা। প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে লাগানো তালাও খুলে দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বাগধানী উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বসার চেয়ার ঝোলনো হয় বিদ্যালয়ের পাশের আমগাছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আমগ ছ

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে এসএসসির উত্তরপত্র সরবরাহের অভিযোগে ১০ শিক্ষক গ্রেপ্তার

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের উত্তর তৈরি করে সরবরাহ করার অভিযোগে একটি কেন্দ্র থেকে ১০ জন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার খাষকাউলিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার সময় উত্তরপত্র সরবরাহ করা হয়।

গ্রেপ্তার ১০ জন হলেন, আকদাস হোসেন (৪০), রফিকুল ইসলাম (৫২), শরিফুল ইসলাম (৪৩), শফিকুল ইসলাম (৪৪), আবদুল বাতেন (৪৫), মো. আনোয়ার (৩৬), জাবের আলী (৪১), জাহাঙ্গীর আলম (৫১), মোস্তাক আহমেদ (৩৬) ও আবুল কালাম (৪১)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চৌহালী উপজেলার খাষকাউলিয়া সিদ্দিকিয়া ফাজিল মাদ্রাসার রসায়ন শিক্ষক আকদাস হোসেন পরীক্ষার ‘ক’ সেটের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে কেন্দ্রের অন্যান্য কক্ষে সরবরাহ করেন। এরপর সেই উত্তরপত্র বিভিন্ন শিক্ষকের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ওই বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। পরে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ১০ শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব মো. নুরুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। যমুনা নদী–অধ্যুষিত দুর্গম এলাকা হওয়ায় গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষকদের আদালতে পাঠানো সম্ভব হয়নি। থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।

ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্ত একজন শিক্ষক কেন্দ্রের কোনো দায়িত্ব ছিলেন না। তারপরও তিনি কেন্দ্রে এসে প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করেছেন। অন্য শিক্ষকেরা এই কাজে সহায়তা করেছেন। বিষয়টি নজরে আসার পর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউএনওর বদলির দাবিতে লংমার্চ ছাত্র-জনতার
  • সিরাজগঞ্জে এসএসসির উত্তরপত্র সরবরাহের অভিযোগে ১০ শিক্ষক গ্রেপ্তার