নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে এসপি-ওসির পদায়ন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 6th, August 2025 GMT
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পুলিশ সুপার (এসপি) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে লটারির মাধ্যমে এসপি ও ওসির পদায়ন করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন যদি কাউকে বদলি ও পদায়নের প্রয়োজন মনে করে, তারা সেটা করবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মপরিকল্পনাবিষয়ক এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ডিসি ও ইউএনও যেহেতু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন, সেখানে লটারির মাধ্যমে পদায়ন হবে কি না, তারা সিদ্ধান্ত নেবে। আশা করছি, তারাও লটারি মাধ্যমে পদায়ন করবে।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসপি ও ওসি পদায়ন হবে লটারির মাধ্যমে। তবে ওসির সংখ্যা যেহেতু বেশি, তাই একটি বিভাগ ধরে ধরে লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হবে। এবারের নির্বাচনে ৪৭ হাজার কেন্দ্রে একটি করে বডি ক্যামেরা থাকবে। ওই কেন্দ্রে পুলিশের জ্যেষ্ঠ সদস্যের কাছে বডি ক্যামেরা থাকবে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এবারের নির্বাচনে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আট লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। যাঁরা নির্বাচনে দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের প্রত্যেককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যিনি যে বাহিনীর, যার যার এলাকা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
নির্বাচনে পুলিশের পক্ষপাত ঠেকাতে সরকার কী করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের সহযোগিতা নেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে, এবার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়: ফখরুল
রাজনৈতিক সংকট সমাধানে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “জনগণই এখন নির্বাচন চায় এবং তারাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে বড় প্রহরীর ভূমিকা পালন করবে।”
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “১৯৯১ সালে একটি ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পরে নির্বাচন হয়েছিলো। তখন তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। এখন এই নির্বাচন আরো সম্ভব, কারণ জনগণ এটি চায়।”
দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব কি না, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জনগণই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবচেয়ে বড় প্রহরী হয়ে দাঁড়াবে।”
তিনি বলেন, “আমরা ও পুরো জাতি মনে করে, দ্রুত নির্বাচনই একমাত্র পথ, যা দিয়ে আমরা বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ করে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে পারি।”
তিনি আরো বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস এখন পর্যন্ত যতগুলো কাজ করেছেন, তাতে তিনি প্রমাণ করেছেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য উনি এমন কিছু করবেন না, যাতে করে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “গতকালের ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সংবিধানের যাবতীয় সংস্কার-সংশোধনী বাস্তবায়ন করবে। এটিই বৈধ, আইনি ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।”
ঢাকা/কেএন/ইভা