ভারতে অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’–এর ওয়েবসাইট বন্ধ
Published: 9th, May 2025 GMT
ভারতে অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’–এর ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ‘দ্য ওয়্যারের’ দেওয়া এক পোস্টে এমন দাবি করা হয়েছে।
পাঠকদের উদ্দেশে এক্সে ওই পোস্ট দিয়েছে দ্য ওয়্যার কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, ‘ভারতের সংবিধানে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার যে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে ভারত সরকার দ্য ওয়্যার ডটইন ওয়েবসাইটটি সারা দেশে বন্ধ করে দিয়েছে। বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা পাওয়া গেলেও আমরা জানতে পেরেছি, এটি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে করা হয়েছে।’
একে সেন্সরশিপ উল্লেখ করে ওয়্যার লিখেছে, ‘আমরা এই সুস্পষ্ট সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই, বিশেষ করে এমন এক সংকটময় সময়ে এটা করা হয়েছে, যখন যুক্তিনিষ্ঠ, সত্যনিষ্ঠ, ন্যায়সংগত ও যুক্তিসংগত কণ্ঠস্বর এবং সংবাদ ও তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎসগুলোই ভারতবাসীর সবচেয়ে বড় সম্পদ হয়ে উঠেছে।’
দ্য ওয়্যার বলেছে, তারা এই ‘স্বেচ্ছাচারী ও অকারণ পদক্ষেপ’-কে চ্যালেঞ্জ করার জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
পাঠকদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ওয়্যার কর্তৃপক্ষ। এক্স পোস্টে তারা লিখেছে, ‘আপনাদের সমর্থনই ১০ বছর ধরে আমাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, আর এই সংকটময় সময়েও আমরা বিশ্বাস করি, আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।’
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, সত্য ও নির্ভুল সংবাদ পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে তারা কোনোভাবেই পিছপা হবে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের রপ্তানিতে তেমন প্রভাব পড়বে না: শেখ বশিরউদ্দীন
ভারত আরও চারটি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও বাংলাদেশের রপ্তানিতে তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হলেও সাড়া মেলেনি।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে, এমন কোনো বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়নি। দুই দেশের মধ্যে খাদ্য ও কৃষিপণ্যের আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি মেটানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে দর–কষাকষি চালিয়ে যাবে বাংলাদেশ। সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, সে বিষয়ে ১৫ শতাংশের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সমস্যা থাকলেও এতটা অস্থিতিশীল নয় যে ব্যবসা–বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে। তাই রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে তাতে সমস্যা হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের নতুন বিধিনিষেধের আওতায় সে দেশের ব্যবসায়ীরা এখন বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটের পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করতে পারবেন না। শুধু দেশটির মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য আমদানির সুযোগ আছে। এমন বিধিনিষেধ দিয়ে গতকাল সোমবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে গত কয়েক মাসে কয়েক দফায় অশুল্ক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দেয় দেশটি। তার আগে ৯ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে দেশটি।
এদিকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভারত বাতিল করার এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করেছে। এর আগে বেনাপোল, ভোমরা, সোনা মসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ ছিল।