ভারতে অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়্যার’–এর ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ‘দ্য ওয়্যারের’ দেওয়া এক পোস্টে এমন দাবি করা হয়েছে।

পাঠকদের উদ্দেশে এক্সে ওই পোস্ট দিয়েছে দ্য ওয়্যার কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, ‘ভারতের সংবিধানে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার যে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে, তা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করে ভারত সরকার দ্য ওয়্যার ডটইন ওয়েবসাইটটি সারা দেশে বন্ধ করে দিয়েছে। বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা পাওয়া গেলেও আমরা জানতে পেরেছি, এটি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে করা হয়েছে।’

একে সেন্সরশিপ উল্লেখ করে ওয়্যার লিখেছে, ‘আমরা এই সুস্পষ্ট সেন্সরশিপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই, বিশেষ করে এমন এক সংকটময় সময়ে এটা করা হয়েছে, যখন যুক্তিনিষ্ঠ, সত্যনিষ্ঠ, ন্যায়সংগত ও যুক্তিসংগত কণ্ঠস্বর এবং সংবাদ ও তথ্যের নির্ভরযোগ্য উৎসগুলোই ভারতবাসীর সবচেয়ে বড় সম্পদ হয়ে উঠেছে।’

দ্য ওয়্যার বলেছে, তারা এই ‘স্বেচ্ছাচারী ও অকারণ পদক্ষেপ’-কে চ্যালেঞ্জ করার জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

পাঠকদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ওয়্যার কর্তৃপক্ষ। এক্স পোস্টে তারা লিখেছে, ‘আপনাদের সমর্থনই ১০ বছর ধরে আমাদের কাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, আর এই সংকটময় সময়েও আমরা বিশ্বাস করি, আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।’

সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, সত্য ও নির্ভুল সংবাদ পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে তারা কোনোভাবেই পিছপা হবে না।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সামাজিক ব্যবসা পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সামাজিক ব্যবসা (সোশ্যাল বিজনেস) শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার একমাত্র সঠিক পথ হলো সামাজিক ব্যবসা। এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।

শুক্রবার সাভারের জিরাবো সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে দু’দিনের ‘সোশ্যাল বিজনেস ডে’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সামাজিক ব্যবসা সর্বোত্তম পন্থা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারের সোশ্যাল বিজনেস ডে উদযাপন করা হচ্ছে।

এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ৩৮টি দেশ থেকে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তা, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ