শচীনকন্যা সারা কি বলিউডে আসছেন, জানালেন নিজেই
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকার সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় মুখ। বলিউড তারকা সন্তানদের সঙ্গে প্রায়ই তাকে পার্টিতে দেখা যায়, যা তাকে আরও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে। অনেক দিন ধরেই জল্পনা, সারা কি বলিউডে পা রাখছেন? অবশেষে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি নিজেই।
সম্প্রতি ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগ-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সারা জানান, তিনি অভিনয়ে আগ্রহী নন। ক্যামেরার সামনে থাকা তাকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। বলিউডে কাজ করার একাধিক প্রস্তাব এলেও তিনি সবই ফিরিয়ে দিয়েছেন।
সারার কথায়, ‘আমি একজন অন্তর্মুখী মানুষ এবং ক্যামেরা আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়। আমি সব চলচ্চিত্রের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। কারণ, আমি মনে করি না যে আমি এই কাজটি ঠিকভাবে করতে পারব। অভিনয় করতে গিয়ে আমি যতটা না আনন্দ পাব, তার চেয়ে বেশি মানসিক চাপ পাব।’
এছাড়াও সারা জানিয়েছেন, আপাতত তার মনোযোগ শচীন টেন্ডুলকার ফাউন্ডেশন-এর কাজ এবং ফ্যাশন, বিউটি ও লাইফস্টাইল কনটেন্ট তৈরিতে। অভিনয় তার পরিকল্পনার মধ্যে নেই।
সারা টেন্ডুলকার তার বাবা ও ভাইয়ের মতো খেলাধুলায় আগ্রহী ছিলেন না। তিনি বায়োমেডিকেল সায়েন্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনের পর ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে ক্লিনিকাল নিউট্রিশন ও পাবলিক হেলথে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, সারা টেন্ডুলকার অভিনেতা সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষই মুখ খোলেননি। এর আগে সারার নাম ক্রিকেটার শুভমান গিলের সঙ্গেও জড়িয়ে ছিল। সূত্র: বলিউড লাইফ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ট ন ড লক র
এছাড়াও পড়ুন:
জামিনে বেরিয়ে চাঁদাবাজি, ফের ধরা ‘বার্মা সবুজ’
চট্টগ্রামে জামিনে বেরিয়ে আবারও চাঁদাবাজিতে নেমে ধরা পড়েছেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিস্কৃত নেতা ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. সবুজ ওরফে বার্মা সবুজ। ৩৬ বছর বয়সী এই যুবকের মামলার সংখ্যাও ৩৬টি। গত শনিবার রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার হিলভিউ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সবুজ বায়েজিদ বোস্তামী থানার হিলভিউ বার্মা কলোনীর নুরুল আমিন ওরফে নুরুল আমিন কসাইয়ের ছেলে। তিনি পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। গত বছরের একটি হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাকে বহিস্কার করে বিএনপি। তার আরেক ভাই নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ওরফে বার্মা সাইফুলও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। এর আগে গত বছরের ২৫ অক্টোবর তাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুন রাত ১০টার দিকে বার্মা সবুজের নেতৃত্বে তার সহযোগী সুমন খান ও মো. জনি একটি নির্মাণাধীন ভবনে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে নির্মাণ কাজ বন্ধের হুমকি দেন। পরদিন গত শনিবার সকাল নয়টার দিকে ভবনের নির্মাণ কাজ চলাকালীন বার্মা সবুজ ও তার সহযোগিরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ভবনটির মালিকের বাসায় যান। সেখানে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে ত্রাস সৃষ্টি করে। ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় ভবন মালিক মোহাম্মদ ইউসুফ বাদী হয়ে মামলা করেন। রাতে হিলভিউ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বার্মা সবুজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বার্মা সবুজ ও তার সহযোগিরা একটি নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফাঁকা গুলি করে কাজ বন্ধ করে দেয় তারা। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বার্মা সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এটিসহ ৩৬টি মামলা রয়েছে।’
পুলিশ জানায়, সবুজ, সাইফুল ও ফাহিম তিন ভাই। এই তিন ভাইয়ের চাঁদাবাজি ও তাদের গড়ে তোলা সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে বায়েজিদ, পাঁচলাইশ, খুলশীসহ নগরের বিভিন্ন থানার মানুষ অতিষ্ঠ। এই তিন ভাইয়ের প্রত্যেকের নিজস্ব বাহিনী আছে। বায়েজিদ, পাঁচলাইশ, খুলশী ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে জমি দখল-বেদখল, চাঁদাবাজি, লুটপাট সবকিছুরই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এই তিন ভাই। সবুজ পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও তার ভাই আরেক সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলাম ওরফে বার্মা সাইফুল নগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক। সাইফুলের বিরুদ্ধেও অন্তত ২১টি মামলা রয়েছে। গত বছরের ১১ অক্টোবর বায়েজিদ থানার শান্তিনগর এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মোহাম্মদ ইমন (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়। ওই ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুজনকেই বহিষ্কার করে বিএনপি।