ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকার সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় মুখ। বলিউড তারকা সন্তানদের সঙ্গে প্রায়ই তাকে পার্টিতে দেখা যায়, যা তাকে আরও আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে। অনেক দিন ধরেই জল্পনা, সারা কি বলিউডে পা রাখছেন? অবশেষে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি নিজেই।

সম্প্রতি ফ্যাশন ম্যাগাজিন ভোগ-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সারা জানান, তিনি অভিনয়ে আগ্রহী নন। ক্যামেরার সামনে থাকা তাকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। বলিউডে কাজ করার একাধিক প্রস্তাব এলেও তিনি সবই ফিরিয়ে দিয়েছেন।

সারার কথায়, ‘আমি একজন অন্তর্মুখী মানুষ এবং ক্যামেরা আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়। আমি সব চলচ্চিত্রের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি। কারণ, আমি মনে করি না যে আমি এই কাজটি ঠিকভাবে করতে পারব। অভিনয় করতে গিয়ে আমি যতটা না আনন্দ পাব, তার চেয়ে বেশি মানসিক চাপ পাব।’

এছাড়াও সারা জানিয়েছেন, আপাতত তার মনোযোগ শচীন টেন্ডুলকার ফাউন্ডেশন-এর কাজ এবং ফ্যাশন, বিউটি ও লাইফস্টাইল কনটেন্ট তৈরিতে। অভিনয় তার পরিকল্পনার মধ্যে নেই।

সারা টেন্ডুলকার তার বাবা ও ভাইয়ের মতো খেলাধুলায় আগ্রহী ছিলেন না। তিনি বায়োমেডিকেল সায়েন্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জনের পর ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে ক্লিনিকাল নিউট্রিশন ও পাবলিক হেলথে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।

সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, সারা টেন্ডুলকার অভিনেতা সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষই মুখ খোলেননি। এর আগে সারার নাম ক্রিকেটার শুভমান গিলের সঙ্গেও জড়িয়ে ছিল। সূত্র: বলিউড লাইফ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট ন ড লক র

এছাড়াও পড়ুন:

বানিয়াচং থানার সাবেক ওসি দেলোয়ার প্রেপ্তার

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যার মামলায় হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন ‘নাইন মার্ডার’ মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা ও বানিয়াচং থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আবু হানিফ।

গত বুধবার পুলিশের রংপুর রেঞ্জ অফিস থেকে রংপুর জেলা ডিবি দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। সেখান থেকে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। দেলোয়ার হোসেন সর্বশেষ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ অফিসে পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

নেত্রকোণায় পরিত্যক্ত ভবনের ছাদ ধসে ৩ শ্রমিক নিহত

এবার সাংবাদিক তুহিনের হত্যাস্থলে শরবত বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাত

দেলোয়ার হোসেন গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ওসি হিসেবে বানিয়াচং থানায় কর্মরত ছিলেন। সেদিন বেলা ১১টায় সাগরদিঘির পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে একটি মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী চার-পাঁচ হাজার লোক বড়বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। 

আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই চারজনসহ সাতজন নিহত হন। তখন চিত্র ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করেন। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপ-পরিদর্শক সন্তোষ চৌধুরীকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরদিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত ৯ জনের পরিবারের পক্ষ থেকে ও এসআই সন্তোষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি মামলা করা হয়। পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ মামলায় ইতোমধ্যে ৩০ জনের বেশি লোক ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ