ইটভাটার দূষণ কমাতে অভিনব উদ্ভাবন বাংলাদেশে
Published: 10th, May 2025 GMT
ইটভাটার দূষণ কমাতে ও বায়ুর মান উন্নত করতে কার্যকর সমাধান উদ্ভাবন হয়েছে বাংলাদেশেই। নতুন এই উদ্ভাবনের ফলে ইটভাটা থেকে কার্বন নির্গমণ ২০ শতাংশ কমে যেতে পারে। জ্বালানি সাশ্রয় হয় ২৩ শতাংশ। আর সামাজিক-পরিবেশগত সুফল আর্থিক ব্যয়ের তুলনায় ৬৫ গুণ বেশি হয়ে থাকে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকী ‘সায়েন্স’-এ চলতি মে মাসেই এ গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের ইটভাটামালিকেরা আইনি বাধ্যবাধকতা ছাড়াই পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী কৌশল গ্রহণে আগ্রহী ও সক্ষম। এটি দেশের ইটভাটাশিল্পে দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যকর কৌশল নিয়ে পরিচালিত প্রথম গবেষণা।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, গ্রিনটেক নলেজ সলিউশনস ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেলথের (বিইউএসপিএইচ) গবেষকেরা ইট উৎপাদন শিল্পের জন্য এই নতুন কৌশল নিয়ে এই গবেষণা করেছেন।
ইটভাটা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইটভ ট
এছাড়াও পড়ুন:
কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়
চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।
এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।