দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
শনিবার (১০ মে) রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিকেলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান বিষয়টি জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আ.
বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে অংশ নিয়ে যা বললেন তামিম
তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে চলমান ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় অবস্থান কি হবে এ বিষয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতেই জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এছাড়া সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও বৈঠকে নিয়ম মাফিক পর্যালোচনা হবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
পণ্য রপ্তানি বৈচিত্র্যে ‘ভিয়েতনাম মডেল’ অনুসরণ করতে হবে
২০ বছর আগে বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল ৯ বিলিয়ন ডলার। এখন তা ৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। আগেও রপ্তানির ৮০ শতাংশ ছিল তৈরি পোশাক; এখনো একই চিত্র। তার মানে, তৈরি পোশাকের বাইরে রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা যায়নি। বাংলাদেশ না পারলেও প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম সেটি পেরেছে।
নব্বইয়ের দশক থেকে ভিয়েতনাম রপ্তানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করছে। গত বছর ভিয়েতনামের রপ্তানি আয় ছিল ৪০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তাদের শীর্ষ খাত তৈরি পোশাক নয়; বরং ইলেকট্রনিক পণ্য ও যন্ত্রাংশ, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৩০ শতাংশ। পরের অবস্থানে আছে জুতা, যন্ত্রপাতি, তৈরি পোশাক, আসবাব, সি-ফুড ইত্যাদি। তাদের শীর্ষ ১০ পণ্যের প্রতিটি বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে। ফলে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৈচিত্র্য আনতে ভিয়েতনাম মডেল অনুসরণ করতে হবে।
‘রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন বক্তারা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আলোচক হিসেবে অংশ নেন বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতা, অর্থনীতিবিদ এবং সরকারের রপ্তানি ও বিনিয়োগ উন্নয়ন-সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা।
রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের জন্য ব্যবসা সহজ করার পাশাপাশি ব্যবসার খরচ কমানোর ওপর জোর দেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাঁরা বলেন, সরকার চার দশক ধরে অব্যাহতভাবে নীতি সহায়তা দেওয়ায় তৈরি পোশাক খাত আজকের শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। অথচ সম্ভাবনাময় অন্য খাতকে সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। এমন রপ্তানিবিরোধী মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন। আয়োজনটিতে সহযোগিতা করেছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, সহজে ব্যবসা ও ব্যবসার পরিচালন ব্যয়—এই দুটি বিষয় নিয়ে জোরালোভাবে বলেছেন ব্যবসায়ীরা। নির্দিষ্ট কিছু নীতিমালার কারণে এসব সমস্যা রয়ে গেছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময়। আমরা কাজ করতে চাই। আসেন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করি। আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করতে না পারলে দোষারোপের সংস্কৃতি থেকে কোনো কিছু অর্জন করতে পারব না।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অন্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার কথা এমনভাবে বলা হয়, যেন এটি জাদুর কাঠি। বাস্তবে এটা কোনো জাদুর কাঠির সমাধান নয় বা মহৌষধ নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যখন কোথাও এফটিএ করতে যায়, তখন এটি কেবল বাণিজ্যচুক্তি নয়। এখানে অনেক ভাবতে হয় যে আমরা কি ছাড় দেব? বিপরীতে আমরা কী পাব? এটা অনেক জটিল হিসাব।’
সমস্যা সমাধানে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনেক সময়। আমরা কাজ করতে চাই। আসেন আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করিশেখ বশিরউদ্দীন, বাণিজ্য উপদেষ্টাএইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব উর রহমান বলেন, তৈরি পোশাক খাতের বাইরে অন্য কোনো খাত কেন বড় হচ্ছে না। এখানে মূল প্রশ্নটি সক্ষমতা এবং প্রতিযোগিতামূলক সুবিধার। ভিয়েতনাম বা ভারতের মতো এফটিএ ও বাণিজ্য কূটনীতিতে জোর দিতে হবে। তার আগে ঠিক করতে হবে—আমরা কী বিক্রি করব। তৈরি পোশাকের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে নতুন ৫টি খাত। তিনি বলেন, এসএমই খাতের অনেক সম্ভাবনা থাকলেও রপ্তানির পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সক্ষমতা তাদের নেই। তাদের জন্য একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন।
রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণে ভিয়েতনামের উদাহরণ টেনে মাহবুব উর রহমান বলেন, দেশটির শীর্ষ ১০টি পণ্যের প্রতিটিই বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করছে, যা মোট রপ্তানিতে ভারসাম্য বজায় রাখছে। এ জন্য আমরা ভিয়েতনাম মডেল অনুসরণ করতে পারি। তাদের সাফল্যের মডেল সরাসরি জানতে এইচএসবিসির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে উচ্চপদস্থ একটি প্রতিনিধিদলকে ভিয়েতনামে নিয়ে যাওয়া এবং একটি সমীক্ষা করার প্রস্তাব দেন তিনি। বাণিজ্য উপদেষ্টা তাৎক্ষণিকভাবে ইতিবাচক মনোভাব দেখান।
বন্ডের জন্য ৩০ লাইসেন্স
ভিয়েতনাম এক যুগের চেষ্টায় জুতা রপ্তানি ৩০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে গেছে। আর বাংলাদেশ গত ৩৫ বছরেও জুতা রপ্তানি ১ বিলিয়নের ওপরে উঠতে পারছে না। এমন মন্তব্য করে চামড়া পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির (এলএফএমইএবি) সহসভাপতি মো. নাসির খান বলেন, ‘পণ্যবৈচিত্র্য না হওয়ার পেছনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দুর্নীতি বড় সমস্যা। একটি বন্ড লাইসেন্স করতে ৩০টি লাইসেন্স লাগে। শুধু তা-ই নয়, বছর বছর নবায়নও করতে হয়। অথচ ভিয়েতনামে লাগে পাঁচ-সাতটি লাইসেন্স। সেগুলো নবায়ন করতে হয় না। এ জন্য আমাদের দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আসে না।’
রপ্তানির সম্ভাবনা বাড়াতে সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা, কমপ্লায়েন্স ও লজিস্টিকস সক্ষমতা উন্নয়নে জোর দিয়েছেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী। তিনি বলেন, কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে শিল্পপণ্য—সব ক্ষেত্রেই প্রত্যয়ন ও পরীক্ষায় নানা অসংগতি রয়েছে। সে জন্য সরকারকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনকে (বিএসটিআই) আরও শক্তিশালী, ক্যাটাগরি নির্দিষ্ট ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে হবে।
বাংলাদেশ হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘হিমায়িত খাদ্যপণ্য একসময় রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে ছিল। এখন ১৫ নম্বরে। বিশ্বে হিমায়িত চিংড়ির বার্ষিক বাজার ৭২ বিলিয়ন ডলার। সেখানে আমাদের অংশ মাত্র ৪৪০ মিলিয়ন ডলার। দেশে ১১০টা চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত কারখানার মধ্যে এখন সচল মাত্র ২৫টি। আমাদের সমস্যা হলো কাঁচামালের ঘাটতি। ১৪-১৫ শতাংশ সুদে রপ্তানি ব্যবসা করাও কঠিন। আমরা কৃষি খাতের মধ্যে হলেও কোনো সুবিধা পাচ্ছি না। এদিকে সরকারের নজর দেওয়া দরকার।’
উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে
দেশের উদ্যোক্তাদের ‘ক্রিমিনাল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেটি বাদ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সহসভাপতি ও রেনাটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এস কায়সার কবির। তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিতে হবে। পণ্য রপ্তানি করে বাড়তি ডলার পেতে হলে ডলারকে বাইরে যেতে দিতে হবে। অর্থাৎ বিদেশে বিনিয়োগ সহজ করতে হবে।
রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের জন্য ব্যবসা সহজ করার পাশাপাশি ব্যবসার খরচ কমানোর ওপর জোর দেন ব্যবসায়ী নেতারা। তাঁরা বলেন, সরকার চার দশক ধরে অব্যাহতভাবে নীতি সহায়তা দেওয়ায় তৈরি পোশাক খাত আজকের শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। অথচ সম্ভাবনাময় অন্য খাতকে সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। এমন রপ্তানিবিরোধী মনোভাব থেকে সরে আসতে হবে।সৈয়দ এস কায়সার কবির বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বিনিয়োগ করবেন না; ওষুধের দাম কমান। ওষুধের দাম কম বললে মন্ত্রণালয় বলে, দাম আরও কমান; আপনারা চুষে খাচ্ছেন। অথচ সময়ের ব্যবধানে ওষুধে নিট মুনাফা ১৫ শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশ হয়েছে। দুনিয়ার মধ্যে ওষুধের দাম সবচেয়ে কম বাংলাদেশে।’
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ১৬ বছরে ঔষধ প্রশাসনে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। এর মাধ্যমে কিছু লোক লাভবান হয়েছে। এটা যদি অস্বীকার করি, তাহলে নিজের সঙ্গেই ছলনা করা হবে।’
নিজেরই সন্দেহ আছে
বিদেশে বিভিন্ন বাংলাদেশি দূতাবাসে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কমার্শিয়াল উইংগুলোকে একীভূত করে একটি স্বতন্ত্র ট্রেড প্রমোশন এজেন্সি বা বাণিজ্য উন্নয়ন সংস্থা গঠনের প্রস্তাব করেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের বাইরে বিভিন্ন দূতাবাসে কমার্শিয়াল উইং আছে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় উইংগুলো কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে, তা নিয়ে একজন সাবেক কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হিসেবে আমার নিজেরই সন্দেহ আছে। এ কারণে অন্যান্য দেশের মতো করে এসব কমার্শিয়াল উইংসহ ইপিবিকে একটি আলাদা ট্রেড প্রমোশন এজেন্সি করা সময়ের দাবি হয়ে গেছে।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য নাহিয়ান রহমান বলেছেন, রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে হলে তৈরি পোশাক খাত ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে অন্তত ২০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে হবে। সে জায়গায় পৌঁছাতে হলে তৈরি পোশাকবহির্ভূত খাতে আড়াই গুণ প্রবৃদ্ধি বাড়াতে হবে। বর্তমান ‘ট্যারিফ ফোবিয়ার’ সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সরাসরি জাহাজ লাগবে
পণ্য রপ্তানি বাড়ানো ছাড়া কোনো গতি নেই বলে মন্তব্য করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত সরাসরি জাহাজ চালু করা দরকার। তাহলে আমরাই এক বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে পারব। তবে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য পাঠাতে যদি ৪৫ দিন লাগে, তাহলে আমাদের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘উড়োজাহাজে পণ্য পাঠানোর খরচ কমাতে হবে। কারণ, ভারতের রপ্তানিকারকেরা কম খরচে আকাশপথে পণ্য পাঠাতে পারেন। তাঁরা এই জায়গায় আমাদের থেকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
তৈরি পোশাকশিল্পের আনুষঙ্গিক হিসেবে প্লাস্টিক পণ্যের প্রচ্ছন্ন রপ্তানির স্বীকৃতি না থাকায় খাতটির অবদানকে খাটো করে দেখা হচ্ছে। এই স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ। তিনি বলেন, সরকারের সহযোগিতা পেলে প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি ৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ও অর্থনীতিবিদ সায়েমা হক বিদিশা বলেন, ‘আমাদের শ্রমিকের দক্ষতার অভাব রয়েছে। এর জন্য গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ কম থাকাটা একটি সার্বিক সমস্যা। এই বিনিয়োগ বাড়ালে তা শ্রমিক, মালিক—সবার জন্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শ্রমঘন শিল্প হিসেবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগকে (এসএমই) আরও বড় ধরনের প্রণোদনা দেওয়া জরুরি। এ ছাড়া প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে আমরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারিনি।’ তিনি আরও বলেন, এসএমইগুলো চীন বা ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারছে না। এর মূলে রয়েছে ছোটখাটো সমস্যা; যা সমাধান করা খুব কঠিন নয়।