ঝিনাইদহে ধান বোঝাই ট্রলির ধাক্কায় ইজিবাইক থেকে ছিটকে পড়ে রুহুল আমিন নামে দুই মাস বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে শিশুটির মা সাথী খাতুন। তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (১০ মে) দুপুরে জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চারাতলা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন ভালকি গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ছেলে।

শাহাদাত হোসেন জানান, সাথী খাতুন তার বাবার বাড়ি থেকে ইজিবাইকে করে শিশু সন্তানসহ নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। চারাতলা বাজারে কাছাকাছি পৌঁছালে একটি ধান বোঝাই ট্রলি ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে মায়ের কোলে থাকা শিশু রুহুল আমিন সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে আহত হয়। স্থানীয়রা সাথী খাতুন ও তার সন্তান রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়।

আরো পড়ুন:

টাঙ্গাইলে অটোরিকশায় ট্রাক্টরের ধাক্কা, শ্রমিক নিহত

নোয়াখালীতে ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ের মৃত্যু

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.

আইভি বলেন, ‘‘শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।’’

হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, ‘‘এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত র হ ল আম ন ঝ ন ইদহ

এছাড়াও পড়ুন:

আমি জানি, তুমি আমাকে দেখছ

মা,
তোমাকে ছাড়া এখনও আমার জন্মদিন আসে। সারাদিন ধরে শুধু একটা কথাই ঘুরপাক খায় মনে– এই তো মাত্র দুই বছর আগের জন্মদিনটা। তোমার শরীর তখন খুব একটা ভালো ছিল না। অথচ সেদিন আমি মন খারাপ করে তোমার সঙ্গে একটু উচ্চ স্বরে কথা বলেছি। মনে পড়ে সেদিন বলেছিলাম, ‘সবার মা, তার মেয়ের জন্মদিনে কত কিছুই না করে, তুমি তো আমার জন্য পায়েসও বানাচ্ছো না!’ তুমি কষ্ট পেয়েছিলে কিনা জানি না, এরপর দেখলাম তুমি সেই দুর্বল শরীর নিয়ে আমার জন্য পায়েস রান্না করলে। যদিও ঠিকঠাক হয়নি– চাল আধা সেদ্ধ ছিল, দুধও জমেনি ভালো করে– তবুও সেই পায়েসই আজ সবচেয়ে প্রিয় মনে হয়। কারণ তুমি নিজের হাতে বানিয়েছিলে, ভালোবাসা মিশিয়ে।
মা, জানো– এখনও আমার সেই একই পায়েস খেতে ইচ্ছে করছে, তোমার হাতের পায়েস…একা একা বসে থাকতে থাকতে কান্নায় চোখ ভরে যায়। কতদিন তোমাকে দেখি না, মা। জানি না সৃষ্টিকর্তা আমাকে আর কতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন, কিন্তু যতদিন থাকি ততদিন কীভাবে এই বুকের কষ্ট চেপে রাখব? এটা তো আর সম্ভব না। 
একটা কথা বলি, মা, তুমি চলে যাওয়ার পর মনে হয় তুমি আমায় আবারও নতুন করে জন্ম দিয়েছো। এক নতুন পূজা। যে একা একাই লড়বে। আমি জানি, তুমি আমাকে দেখছ। অনুভব করি, তুমি এখনও আমার আশপাশেই আছো। তাই তো কোনো দুঃখ, কোনো বিপদ এখনও আমাকে ছুঁতে পারেনি।
তুমি কথা রেখেছো মা। এখন আমার পালা। তুমি দেখো, তোমাকে দেওয়া কথা আমি রাখব। যদিও পৃথিবীর চোখে তুমি নেই, আমার চোখে তুমি আছো। এই যে আমি এত কথা লিখছি, আমার মনে হচ্ছে তুমি আমার মাথায় হাত রেখে বসে আছো, হাসছো। আর বলছ–
‘পূজা, কেঁদো না মা, আমি তো আছি।’
একটা আবদার করব মা– এই জীবনে তুমি কখনও নিজের কথা ভাবোনি। সব সময় আমার চিন্তায় বিভোর ছিলে। তাই এবার ওপারে অন্তত নিজের খেয়াল রেখো, মা।
ভালো থেকো, আমার লক্ষ্মী মামণি।
অনেক ভালোবাসি মা।
ইতি
তোমার পূজা

সম্পর্কিত নিবন্ধ