ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরে নানা ধরনের কর্মসূচি থেকে সুবিধা পেয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে আজ শনিবার অনুষ্ঠিত এসএমই ফাউন্ডেশনের ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সংস্থাটির চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সভায় মুসফিকুর রহমান বলেন, গত অর্থবছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের নানা কর্মসূচির আওতায় সরাসরি সুবিধা ভোগ করেন ৩৪ হাজার ৭২০ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। এর মধ্যে ১৭ হাজার ১ পুরুষ ও ১৭ হাজার ৭১৯ নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সভায় গত ২০২৩–২৪ অর্থবছরে বাস্তবায়িত কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার হোসেন। এ সময় দেশের এসএমই খাত উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বাড়াতে বাজেটে এই খাতের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান উদ্যোক্তারা।

আনোয়ার হোসেন জানান, এসএমই ফাউন্ডেশন গত অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ৬৯২টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩ প্রদান, ১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২৪, যশোর ও ময়মনসিংহে বিভাগীয় এসএমই পণ্য মেলা ২০২৩, সপ্তম ক্রেতা–বিক্রেতা সম্মিলন ও পণ্য মেলা ২০২৩ ও চট্টগ্রামে ১৪তম ইন্টারন্যাশনাল এসএমই ওমেন এক্সপো ২০২৪ আয়োজন। এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে ২৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশন চুক্তি করেছে। ময়মনসিংহে বিভাগীয় এসএমই উদ্যোক্তা–ব্যাংকার সম্মেলন ২০২৩ আয়োজন, নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ওয়ান–স্টপ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘উই হেল্প’ উদ্বোধন, ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৪–এ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া ১৯তম মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেস ২০২৩–এ এসএমই ফাউন্ডেশনের অংশগ্রহণ, ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা নিয়ে অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণ, গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের নিয়ে চারটি জেলায় এসএমই ক্লাস্টার প্রদর্শন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে ১৪১টি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করা হয়। পাশাপাশি সংস্থাটির কার্যক্রমের ওপর পরিচালক পর্ষদের প্রতিবেদন উপস্থাপন ও অনুমোদন করা হয়।

সভায় সাধারণ সদস্যরা বলেন, দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দেশের অর্থনীতিতে এই খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে এসএমই ফাউন্ডেশনকে সমন্বয়কারী সংস্থা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য় এসএমই

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে মামলা করায় নারী যাত্রাশিল্পীকে মারধর, চুল কেটে নির্যাতন

ময়মনসিংহ নগরে এক নারী যাত্রাশিল্পীকে মারধর ও চুল কেটে মুখে কালি মাখিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার শাহ আলম (৪০) চরকালীবাড়ি এলাকার মো. রাশেদের ছেলে। তিনি মামলার ৩ নম্বর আসামি। গতকাল রাত আটটার দিকে তাঁকে জুবিলী ঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নির্যাতনের শিকার যাত্রা নৃত্যশিল্পীর নাম মোছা. রুপা। তিনি নগরের বড় কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তবে তাঁরা নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাসুদ জামেলী বলেন, ওই নারীকে বেঁধে চুল কেটে মারধর করা হয়েছে, মুখে কালি মেখে দেওয়া হয়েছে। দুটি পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই মামলা চলছিল। অপহরণ মামলার আসামিরা জামিনে ছিলেন। আদালতের আরেকটি ভাঙচুরের মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ গত বুধবার দুপুরে ফিরে আসে। তখন প্রতিপক্ষ রাস্তায় রুপাকে আটকে নির্যাতন চালায়।

ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, বড় কালীবাড়ি লোকনাথ মন্দির-সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের একটি বস্তিতে বাস্তুহারা সমবায় সমিতির কাছ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে ৩ লাখ টাকায় একটি জমি কেনেন রুপা। গত বছর সেখানে আধা পাকা ঘর করতে গেলে সমবায় সমিতির সদস্য শাহ আলম চাঁদা দাবি করেন। ১ লাখ টাকা দেওয়ার পরও আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না পেয়ে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রুপার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় রুপা আদালতে মামলা করেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল রুপার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে মো. রনি সুলতানকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় রুপা ৯ এপ্রিল মামলা করলে আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। রুপার করা ভাঙচুর মামলার তদন্ত করতে পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ রাস্তায় রুপাকে ধরে নিয়ে বেঁধে মারধর করে, চুল কেটে ও মুখে কালি মেখে হেনস্তা করে। এ সময় তাঁর সামনে মাদক ও টাকা রেখে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে রুপার স্বামী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

রুপা বলেন, ‘পুলিশ চলে যাওয়ার পরই আমাকে রাস্তায় ধরে নিয়ে গিয়ে বেঁধে চুল কেটে মুখে কালি মেখে দেয়। আমি বিচার চাই।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম বলেন, মামলা তদন্ত করে পুলিশ ফিরে আসার পর ওই নারীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকারের টাকায় সচিবের বাড়ির কবরস্থান উন্নয়ন, বরাদ্দ ২৪ লাখ টাকা
  • পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ২৬ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা
  • সাগর থেকে মাছ আহরণ বাংলাদেশের কমছে, ভারত-মিয়ানমারে বাড়ছে
  • ময়মনসিংহে মামলা করায় নারী যাত্রাশিল্পীকে মারধর, চুল কেটে নির্যাতন
  • চার বিভাগে নতুন বিভাগীয় কমিশনার
  • মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালার গেজেট প্রকাশ
  • নারী শ্রমিকের প্রতি বৈষম্য আর কত দিন
  • ফুটেজ প্রকাশ শুধু অনৈতিক নয়, অপেশাদার আচরণের চূড়ান্ত নিদর্শন: শাবনূর
  • যুবককে দুবাই নিয়ে বিক্রি, বরিশালে ২ জনের যাবজ্জীবন
  • সিএসএমই তহবিল পরিচলনায় ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতায় ছাড়