পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা
Published: 10th, May 2025 GMT
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে (৪ থেকে ৮ মে) লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৬৫৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
শনিবার (১০ মে) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫.
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ১২৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টির, কমেছে ২৩০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির। শেয়ার লেনদেন হয়নি ২৩টি কোম্পানির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০১.৪৪ পয়েন্ট বা ০.৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭০৩ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.০০৬ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৬৭২ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৩ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.৬০ শতাংশ কমে ৮৮৩ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) শূন্য শতাংশ থাকায় ১ হাজার ৯৮৩ পয়েন্ট অপরিবর্তিত আছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ২০২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৫২৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১১টির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
ঢাকা/এনটি/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জ র ম লধন ন কম ছ ড এসই স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি ও ইফাদ অটোস পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রান্তিকে আগের হিসাববছরের তুলনায় কোম্পানি দুটির শেয়ারপ্রতি মুনাফায় (ইপিএস) বড় উত্থান হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সনদ নবায়ন বাতিল
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
ইউনিক হোটেল: ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.৩৬ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৪৪ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১.৮০ টাকা বা ৪০৯ শতাংশ।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ইউনিক হোটেলের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৪.৯৭ টাকায়।
ইফাদ অটোস: ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০৯ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.২১) টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটি আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ইফাদ অটোসের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫.৬৬ টাকায়।
ঢাকা/এনটি/রফিক