মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতির জন্য থামা একটি লঞ্চে দুই তরুণীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ রোববার সকালে মুক্তারপুর নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় মারধরকারী তরুণ নেহাল আহমেদ ওরফে জিহাদের নামে উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহার অনুযায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলাটি হয়েছে। এতে যৌন নিপীড়ন, বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে অনধিকার প্রবেশ, মারধর করে ভাঙচুর, ক্ষতি ও হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় নেহাল আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে নেহাল মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় গেলে পুলিশ তাঁকে আটক দেখায়। নেহাল মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার যোগনীঘাট এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুক্রবার ১৯-২০ বছর বয়সী দুই তরুণীকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার আমরা জিহাদকে (নেহাল আহমেদ) থানায় আসতে বলি। তিনি থানায় এলে তাঁকে আটক করি। এ ঘটনায় মামলা করার জন্য ওই তরুণীদের থানায় আসতে বলা হয়, কিন্তু তাঁরা কেউ আসেননি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষকেও অভিযোগ দিতে বলা হয়, তারাও আসেনি।’

সবশেষ আজ সকালে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ বাদী হয়ে মারধর, লঞ্চ ভাঙচুর এবং লঞ্চে লুটপাটের ঘটনায় মামলা করেছে বলে জানান ওসি। মামলায় একজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি নৌ পুলিশ তদন্ত করবে। নেহাল আহমেদকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এমভি ক্যাপ্টেন নামের ওই লঞ্চে দুই তরুণীকে লঞ্চের একেবারে সামনের অংশে উঠিয়ে বেল্ট দিয়ে পেটাচ্ছেন এক তরুণ। সে সময় স্থানীয় লোকজন সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে উল্লাস করছিলেন ও বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।

আরও পড়ুনলঞ্চে দুই তরুণীকে বেল্ট দিয়ে পেটানো সেই তরুণ আটক, বললেন ‘আমার ভুল হয়েছে’২১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনলঞ্চে দুই তরুণীকে মারধরের ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি১৬ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন হ ল আহম দ ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

আমিরাতে এইচ এস সি পরীক্ষা শুরু 

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে ঢাকা বোর্ডের অধীনে আবুধাবী শেখ খলিফা বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। 

আবুধাবির শেখ খলীফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ স্কুল ও এন্ড কলেজ থেকে মোট ৪৩ জন পরীক্ষার্থী এবার এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে ৩৭ জন নিয়মিত ও ৬ জন অনিয়মিত। 

মোট পরীক্ষার্থীর ২০ জন ছাত্র ও ১৭ ছাত্রী। যার মধ্যে ৩১ জন সাইন্সে এবং ৬ জন কমার্সের পরীক্ষার্থী। এদিকে রাস আল খাইমা বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজে মোট ২১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। যার মধ্যে ১৭ জন কমার্স ও ৬ জন সাইন্স বিভাগ থেকে এবং অনিয়মিত ২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। সবাই ইংরেজি মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছেন। 

আবুধাবিতে আজকের প্রথম পরীক্ষায় কেন্দ্র নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মুহাম্মদ উল্লাহ খান এবং হল সুপারের দায়িত্বে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস কিরণ আকতার। এছাড়াও হল গার্ডের দায়িত্বে ছিলেন অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নুরুল হুদা ও মুহাম্মদ জাকের হোছাইন।

প্রিন্সিপাল কিরন আক্তার বলেন, ‘‘বিগত বছরের চেয়ে এবার ভালো ফলাফল করবে শিক্ষার্থীরা। ছাত্ররা অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।”

পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক সবাই ভাল ফলাফলের আশাবাদী।

ঢাকা/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ