অনৈক্য তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে: চসিক মেয়র শাহাদাত
Published: 11th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেছেন,‘ আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়নি। ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। বিভিন্নভাবে আমাদের মাঝে অনৈক্য তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে। এই জায়গা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।’
আজ রোববার বিকেলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ স্মৃতি সম্মাননা ও আহতদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সন্তান ও অভিভাবক ফোরাম নামের একটি সংগঠন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বক্তব্য দেন।
মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা সবাই খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছি। যত দিন এগুলো প্রতিষ্ঠা না হয়, আমাদের সংগ্রাম করে যেতে হবে।’
সন্তান ও অভিভাবক ফোরামের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক মো.
শহীদ পরিবারের সদস্যরা বিচার চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে সমালোচনা করেন। তাঁরা বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি এ দেশে করতে দেওয়া যাবে না। সারা জীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। শহীদ পরিবারের সদস্যরা যেন কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে ব্যবহৃত না হন। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
সন্তান ও অভিভাবক ফোরামের সমন্বয়ক ফোরামের সমন্বয়ক ইশরাত জাহান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক নসরুল কদির, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল করিম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান চলার সময় সন্তান ও অভিভাবক ফোরামের ‘জুলাই ২৪’ শীর্ষক সাময়িকীতে ফয়সাল আহমেদ শান্তর ছবি না থাকা নিয়ে একটি পক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করে। এরপর বিএনপির এক কর্মীর জুলাই আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় হট্টগোল হয়। পরে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে চৌমুহনী বাজার মুজিবুল হক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ কথা বলেন। আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারতে গিয়েছেন। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে—সংবাদ সম্মেলন করে সরকারকে তা জাতির কাছে পরিষ্কার করতে হবে। জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে ভারতের আধিপত্যবাদকে বাংলার মানুষ এই দেশ থেকে তাড়িয়েছে। ভারতের আধিপত্যবাদ ও বশ্যতা বাংলার মানুষ আর কখনোই গ্রহণ করবে না। এই অন্তর্বর্তী সরকার যদি ভারতের অন্যায় কোনো আবদারে এবং অন্যায় সিদ্ধান্তের প্রতি নতি স্বীকার করতে চায়, তাহলে আপনাদের পরিণতিও শুভ হবে না। জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না।’
অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপির ফাঁদে পা দিয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, ‘একটি দল সংস্কার চাচ্ছে না। তারা পুরোনো বস্তাপচা নিয়মে নির্বাচন করতে পাঁয়তারা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারও ওই দলের ফাঁদে পা দিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্তে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেনি। যদি সংস্কার না হয়, শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। সে জন্য আমরা গণভোটের কথা বলেছি। সরকার গণভোট দেবে বলেছে, কিন্তু প্যাঁচ লাগিয়ে দিয়েছে। সেটা হচ্ছে, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তাদের বুঝতে হবে, এই দুটো নির্বাচন এক জিনিস নয়। কিন্তু ওই দলটি আলাদা গণভোট চায় না। কারণ, ডাকসু, চাকসু, জাকসু ও রাকসুর নির্বাচনের ফলাফল। জনগণ সংস্কারের পক্ষে। জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি গণভোট হয়, তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ লোক আমাদের পক্ষে রায় দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
চৌদ্দগ্রামের শ্রীপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। বিশেষ অতিথি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির মুহাম্মদ শাহজাহান। আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহাব উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি বেলাল হোসাইন, চৌদ্দগ্রাম পৌর আমির মাওলানা মু. ইব্রাহীম, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মাদ্রাসাবিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন, কুমিল্লা জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।