ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। রবিবার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিবাহটি বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।

এ সময় বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় কনেপক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীদের জন্য তৈরি করা খাবার স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর (১৬) সঙ্গে বিনাউটি গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে তসলিম মিয়ার বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মেয়েটির বাড়িতে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.

ছামিউল ইসলাম। এসময় বাল্যবিবাহ আয়োজন করায় কনের মাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে বরযাত্রীদের জন্য তৈরি করা খাবার স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

আরো পড়ুন:

বিয়ের দাবিতে ৩ সন্তানের মায়ের অনশন, শেকলে বেঁধে নির্যাতন

আশির দশকের বিয়ে ‘তেলাই থেকে ঘুরানি’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, ‘‘বাল্যবিবাহ বন্ধের পাশাপাশি ওই ছাত্রী যেন আবার স্কুলে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। স্থানীয় এক শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’

ঢাকা/পলাশ/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। 

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন উপজেলার মঙ্গলকোটা গ্রামের বাসিন্দারা।

ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামীর আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, আজ সকাল ১১টায় ইউএনও মঙ্গলকোটা গ্রামে একটি খাস জায়গা দখলমুক্ত করে সেটিকে ধামইরহাট পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ করেন। স্থানীয়রা ওই জায়গাকে বর্জ্য রাখার স্থান করতে বাধা দিলে ইউএনওর সঙ্গে হট্টগোল হয়। আমি মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে ইউএনওর নির্দেশে আমাকে আটক করার চেষ্টা করেন আনসার সদস্য। এ সময় আমার স্ত্রী এসে আমাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে ইউএনও নিজে আমার স্ত্রীর বুকে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন এবং লাল নিশান টাঙানো বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করেন। প্রতিবেশী সাবিনা ইয়াসমিন বাধা দিতে গেলে ইউএনও তাকেও মারপিট করেন। এতে গুরুতর আহত হয়ে আমার স্ত্রী ও সাবিনা ইয়াসমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন আছেন।

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হানজালা বলেছেন, পৌরসভার বর্জ্য রাখার স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয়দের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঝামেলা হয়। এর জের ধরে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। 

এ বিষয়ে ইউএনও শাহারিয়ার রহমান বলেছেন, নারীর গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রামবাসী সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এ থেকে বাঁচার জন্যই তারা নাটক করছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্যান্সার আক্রান্ত ছরোয়ারের পাশে থাকার আশ্বাস প্রশাসনের
  • অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
  • ধামইরহাটের ইউএনওর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ  
  • আড়াইহাজারে পূজার নিরাপত্তায় ৩১ মন্ডপে রাতভর নির্ঘুম পরিদর্শন ইউএনও’র