ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত শুক্রবার নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছে, ‘যাচনা ন্যাহি, আব রণ হোগ্যা’। এর আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায়, ‘অনুরোধ নয়, এবার যুদ্ধ হবে’। এই পঙ্‌ক্তির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমানবাহিনীর জাম্পস্যুট পরা একটি ছবিও যুক্ত করা হয়েছে।

উল্লিখিত পঙ্‌ক্তিটি বিখ্যাত হিন্দি কবি রামধারী সিং দিনকরের একটি কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি যখন পোস্ট করা হয়, তখন উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছে ছিল যে মনে হচ্ছিল, ভারত-পাকিস্তান একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

বিজেপির ওই পোস্টের ২৪ ঘণ্টার একটু বেশি সময় পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দেন। ফলে সংঘাত হঠাৎ থেকে যায়।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর দুই দেশের বেশির ভাগ মানুষ, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু উগ্রবাদী হিন্দুরা যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় খুশি হতে পারেননি। এই ঘোষণায় তাঁরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুনভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: এর মানে আসলে কী১২ মে ২০২৫

হিন্দুত্ববাদী কর্মী, সরকারপন্থী সংবাদমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, এমনকি বিজেপি নেতারাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, শক্তিমত্তার দিকে এগিয়ে থেকেও যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ভারত আত্মসমর্পণ করেছে।

বিজেপির সমর্থক শেফালি বৈদ্য এক্সে লেখেন, ‘স্পষ্টতই এগিয়ে থাকার পরও যখন আপনি সরে দাঁড়ান, তা কিছুটা হতাশাজনক মনে হয়।’ তবে দেশের নেতারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটার ওপর নিজের ভরসা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

যুদ্ধবিরতির কারণে বিজেপির অন্য সমর্থকেরা আরও কঠোরভাবে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চেয়েছেন। বিজেপির ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শক্তি সিং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ট্যাগ করে এক্সে লিখেছেন, পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যা করেছিল, দাউদ ইব্রাহিম ও হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে ভারত সেই ধরনের কিছু করতে পারেনি। তাঁর মতে, ‘যতক্ষণ পর্যস্ত এসব জঙ্গি জীবিত আছে, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতির কোনো অর্থ হয় না।’

আরও পড়ুনক্ষয়ক্ষতি লড়াইয়ের অংশ: ভারতের বিমানবাহিনী১২ মে ২০২৫হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৭ জুন ২০১৭.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে কেন বিজেপি সমর্থকদের বুকে জ্বালা ধরেছে

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত শুক্রবার নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছে, ‘যাচনা ন্যাহি, আব রণ হোগ্যা’। এর আক্ষরিক অর্থ দাঁড়ায়, ‘অনুরোধ নয়, এবার যুদ্ধ হবে’। এই পঙ্‌ক্তির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিমানবাহিনীর জাম্পস্যুট পরা একটি ছবিও যুক্ত করা হয়েছে।

উল্লিখিত পঙ্‌ক্তিটি বিখ্যাত হিন্দি কবি রামধারী সিং দিনকরের একটি কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি যখন পোস্ট করা হয়, তখন উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছে ছিল যে মনে হচ্ছিল, ভারত-পাকিস্তান একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

বিজেপির ওই পোস্টের ২৪ ঘণ্টার একটু বেশি সময় পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দেন। ফলে সংঘাত হঠাৎ থেকে যায়।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর দুই দেশের বেশির ভাগ মানুষ, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু উগ্রবাদী হিন্দুরা যুদ্ধবিরতির ঘোষণায় খুশি হতে পারেননি। এই ঘোষণায় তাঁরা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুনভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: এর মানে আসলে কী১২ মে ২০২৫

হিন্দুত্ববাদী কর্মী, সরকারপন্থী সংবাদমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, এমনকি বিজেপি নেতারাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, শক্তিমত্তার দিকে এগিয়ে থেকেও যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ভারত আত্মসমর্পণ করেছে।

বিজেপির সমর্থক শেফালি বৈদ্য এক্সে লেখেন, ‘স্পষ্টতই এগিয়ে থাকার পরও যখন আপনি সরে দাঁড়ান, তা কিছুটা হতাশাজনক মনে হয়।’ তবে দেশের নেতারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটার ওপর নিজের ভরসা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

যুদ্ধবিরতির কারণে বিজেপির অন্য সমর্থকেরা আরও কঠোরভাবে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চেয়েছেন। বিজেপির ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত শক্তি সিং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ট্যাগ করে এক্সে লিখেছেন, পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যা করেছিল, দাউদ ইব্রাহিম ও হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে ভারত সেই ধরনের কিছু করতে পারেনি। তাঁর মতে, ‘যতক্ষণ পর্যস্ত এসব জঙ্গি জীবিত আছে, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতির কোনো অর্থ হয় না।’

আরও পড়ুনক্ষয়ক্ষতি লড়াইয়ের অংশ: ভারতের বিমানবাহিনী১২ মে ২০২৫হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৭ জুন ২০১৭

সম্পর্কিত নিবন্ধ