নুসরাতের আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হাসান বলেছেন, আমি আজকে নুসরাত ফারিয়ার পক্ষে বেইলের (জামিন) শুনানি করি। আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে- এই ঘটনার সময় নুসরাত বাংলাদেশে ছিলেন না। তখন তিনি কানাডাতে ছিলেন।

সোমবার নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে হাজিরের পর শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নুসরাত ফারিয়ার আইনজীবী মোহাম্মদ ইফতেখার হুসাইন সিফাত।

তিনি বলেন, সরকার পক্ষের আইনজীবী যে বলেছেন- তিনি পালিয়ে যাচ্ছিলেন, বিষয়টি যুক্তিযুক্ত না। নুসরাত এর আগেও একাধিকবার দেশের বাইরে যাওয়া-আসা করেছেন। ২৫৮ জন আসামীর মধ্যে আমার মক্কেল (নুসরাত ফারিয়া) ২০৭ নম্বর।
 
তিনি বলেন, আমি আজকে নুসরাত ফারিয়া পক্ষে বেইলের (জামিন) শুনানি করি। আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে এই ঘটনার সময় উনি বাংলাদেশে ছিলেন না। উনি কানাডাতে অবস্থান করছিলেন। সেটার প্রমাণ হিসেবে আমরা পাসপোর্টের ডিপার্টচার ও অ্যারাইভাল যে কাগজটা আছে সেটা আদালতে পেশ করি। আদালত সেটা গ্রহণ করে এবং আদালত এটা পুলিশকে দেয়।
 
নুসরাতের আইনজীবী বলেন, জুলাই পরবর্তী সময়েও তিনি দেশের বাইরে ও ভেতরে কাজ করেছেন। দেশের বাইরে কয়েকবার গিয়েছেন। পালাতে চাইলে তিনি বর্ডার ক্রস করে পালাতে পারতেন। বিমানবন্দরে যেতেন না। 
 
সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সঙ্গে নুসরাতের কোনো যোগাযোগ হয়েছিলো কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আব্দুল হামিদের সঙ্গে নুসরাত সম্পৃক্ত নয়। এছড়া আজ নুসরাতের সঙ্গে বিশেষভাবে কথা বলার সুযোগ হয়নি।

ফের ২২ তারিখে শুনানি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে, আদালত ন্যায়বিচারের পক্ষে রায় দেবেন।

এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক। এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা দশটার পর তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। এ সময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

উল্লেখ্য, গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি। ৩ মে ভুক্তভোগী এনামুল বাদী হয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় নুসরাত ফারিয়াকেও তিনি আসামি করেন। মামলাটি ৩ মে এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামীপন্থি সেই ৬১ আইনজীবীর জামিন স্থগিত রাখার আদেশ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আওয়ামীপন্থি ৬১ জন আইনজীবীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি তাদের জামিনের বিষয়ে জারি করা রুল দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান ও আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বজ্রপাত বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ মূল্যায়ন ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ
  • পুলিশের ওপর হামলা: খালাস পেলেন সাবেক এমপিসহ বিএনপির ২৮ নেতাকর্মী
  • নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত প্রশ্ন
  • নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ নিয়ে রিটের ওপর আদেশ ২৬ মে
  • ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতায় নুসরাতের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে: রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী
  • মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন মোর্শেদ অমর্ত্য
  • কাঠগড়ায় নুসরাত ফারিয়ার ৩০ মিনিট
  • আওয়ামীপন্থি সেই ৬১ আইনজীবীর জামিন স্থগিত রাখার আদেশ
  • নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন