বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি আজ (বুধবার) অনুষ্ঠিত হবে। শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
দুই দলের এই সিরিজ ১-১ এ সমতায়। আজ যারা জিতবে তারাই জিতে নেবে সিরিজ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ২৭ রানে জয় পায়। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইউএই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জেতে ২ উইকেটে। আজ কার মুখে হাসে ফোটে সেটাই দেখার।
এই সিরিজের আগে ইউএইর বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর সংখ্যাটা বেড়ে যায়। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ভরাডুবি পারফরম্যান্সে বাংলাদেশকে ম্যাচ হারতে হয়। বাংলাদেশকে যেকোনো ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো হারানোর স্বাদ পায় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘দেখুন, খেলাটা দুই দলের। তারা খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে, আমরাও ভালো ব্যাটিং করেছি। ড্রপড ক্যাচ, আমরা বেশ কিছু ক্যাচ মিস করেছি। যেটা তাদের ম্যাচে রেখেছিল। তারা খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে।'
বাংলাদেশকে হারানোয় দারুণ খুশি আরব আমিরাতের অধিনায়ক ওয়াসিম, ‘‘বাংলাদেশকে হারিয়ে আমি খুবই খুশি। পারফরম্যান্সে আমি আনন্দিত। ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয় অনুভূতিগুলো।’’
শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং যুৎসই হয়নি। দুইশর বেশি রান নিয়েও জয় পায়নি। এ ম্যাচ দিয়েই টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অভিষেক হয়েছিল পেসার নাহিদ রানার। তবে টি-টোয়েন্টি অভিষেকটা একদমই ভালো হয়নি তার। ৪ ওভারে ২ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন ৫০। তার থেকে আরো ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশায় বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন, ‘‘আমরা তার কাছে আরও বেশি কিছু প্রত্যাশা করেছি। তবে ক্রিকেটারের ভালো ও খারাপ দিন যেতেই পারে।’’
বাংলাদেশের সামনে এখন শুধুই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই, আর আরব আমিরাত চইবে সিরিজ জয়ের ইতিহাসটাও রচনা করতে।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কেকেআরের বিদায়: চ্যাম্পিয়নদের পতনের পেছনের কারণগুলো
আইপিএলের এবারের আসরের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। গতকাল শনিবার (১৭ মে) রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিপক্ষের ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। তাতে কেকেআরের প্লে-অফে ওঠার শেষ আশাটিও নিভে যায়। তবে শুধুমাত্র এই ম্যাচের ফলাফল নয়, পুরো মৌসুমজুড়েই কেকেআরের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। চলুন চ্যাম্পিয়নদের পতনের পেছনের কারণগুলো জানার চেষ্টা করা যাক।
অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যাটিং লাইনআপ:
কেকেআরের ব্যাটিং লাইনআপ মৌসুমজুড়ে ছিল অস্থির। উইকেটে গিয়ে স্থায়ী জুটি গড়তে ব্যর্থ হন ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে মিডল অর্ডারে আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং ও রামানদীপ সিং প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স করতে পারেননি। রাসেল ৮ ম্যাচে মাত্র ৫৫ রান করেন, যা তার মানের খেলোয়াড়ের নামের পাশে সত্যিই বেমানান।
বোলিংয়ে ধারাবাহিকতার অভাব:
বোলিং বিভাগেও কেকেআর ছিল অনিয়মিত। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলাররা উইকেট নিতে ব্যর্থ হন। ফলে প্রতিপক্ষ দলগুলো বড় স্কোর গড়তে সক্ষম হয়। বিশেষ করে ডেথ ওভারে বোলিংয়ে কেকেআরের দুর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো।
আরো পড়ুন:
কোহলির দশম শ্রেণির মার্কশিট ভাইরাল
জাবি ও ঢাবির দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ
দল নির্বাচনে ভুল সিদ্ধান্ত:
মৌসুম শুরুর আগে দল গঠনে কেকেআরের কিছু সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। শ্রেয়াস আইয়ারকে ছেড়ে দেওয়া এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা দলকে ভুগিয়েছে। শ্রেয়াস আইয়ার পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ৪০৫ রান করলেও কেকেআরের মিডল অর্ডার ছিল দুর্বল।
অভিজ্ঞদের ব্যর্থতা:
দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সও ছিল হতাশাজনক। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন ও ভেঙ্কটেশ আইয়ার প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারেননি। যা দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে।
বৃষ্টির কারণে শেষ সুযোগ হারানো:
আরসিবির বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় কেকেআর ১ পয়েন্ট পায়, যা প্লে-অফে ওঠার জন্য যথেষ্ট ছিল না। এই ম্যাচে জয় পেলে কেকেআরের প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা টিকে থাকত। কিন্তু প্রকৃতির বাধায় সেই সুযোগ হাতছাড়া হলো।
ঢাকা/আমিনুল