ফুটবলে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের ছায়া দীর্ঘদিন ধরেই ঘনাচ্ছিল ভারতীয় শিবিরে। অবশেষে তারই প্রতিফলন ঘটল। দলটির প্রধান কোচ মানোলো মার্কেজ নিজেই দায়িত্ব ছাড়লেন। যদিও ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) বলছে, এটি ছিল একটি ‘পারস্পরিক সমঝোতায়’ গৃহীত সিদ্ধান্ত।
স্প্যানিশ কোচ মানোলোর বিদায়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে, ভবিষ্যতের পথ চলাটা কেমন হবে ভারতীয় ফুটবলের?
সদ্য বিদায়ী কোচ মানোলোর অধীনে ভারত খেলেছে মাত্র আটটি ম্যাচ। যার মধ্যে জয় এসেছে কেবল একটিতে। সেটিও এক প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে। বাকি ফলাফলগুলো মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। হংকংয়ের কাছে হারের ধাক্কা আর বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র। সব মিলিয়ে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসে যেন ভাঙন ধরেছিল। কোচের কৌশল এবং খেলানোর ধরণ নিয়েও ভেতরে ভেতরে অসন্তোষ দানা বাঁধছিল।
আরো পড়ুন:
প্রেমের গুঞ্জন উসকে দিলেন কার্তিক-শ্রীলীলা
গিলের সেঞ্চুরি, জয়সওয়ালের আক্ষেপ
ইগর স্টিমাচের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিয়েছিলেন মানোলো। পাশাপাশি তিনি কোচ ছিলেন আইএসএলের এফসি গোয়ারও। ফলে জাতীয় দলের প্রতি তার মনোযোগ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় অনেকের মধ্যে। মাঠের পারফরম্যান্সও সেই সন্দেহকে আরও জোরালো করে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মানোলো নিজেই হংকং ম্যাচের পর পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আর এআইএফএফ সেটি গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই মেনে নিয়েছে। সহ-সচিব কে সত্যানারায়ণ জানান, ‘‘দুই পক্ষের আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব শিগগিরই নতুন কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’
২০২৭ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব সামনে রেখে ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখন বড় এক প্রশ্নচিহ্নের মুখে। নতুন কোচ কে হবেন, তিনি কেমন করে দলকে ঘুরে দাঁড় করাবেন, তা নিয়েই এখন উৎসুক ফুটবলপ্রেমীরা।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
অনূর্ধ্ব-২৩ ক্যাম্পে প্রবাসীদের ডাকবে বাফুফে
প্রথমবারের মতো প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আয়োজিত হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বিশেষ ট্রায়াল। তিনদিনব্যাপী এই ট্রায়াল শেষ হয়েছে গতকাল। আজ দুপুরে বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, এই ট্রায়ালের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের ভিত্তিতে আগামী অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্পে ডাকা হতে পারে কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলারকে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ট্রায়াল বিচারক প্যানেলের সদস্য সাইফুল বারী টিটু। তিনিই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তবে ট্রায়ালে কে কে টিকেছেন সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট নাম প্রকাশ করেননি তিনি। জানিয়েছেন, সবকিছু বিশ্লেষণের পর প্রয়োজন অনুযায়ী খেলোয়াড় বাছাই করা হবে।
টিটু বলেন, ‘এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘমেয়াদি। যাদের বয়স ১৮-১৯, তাদের উন্নতির অনেক সুযোগ আছে। সামনে যখন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ক্যাম্প হবে, তখন আমরা এই ট্রায়ালের তথ্য ও ভিডিও দেখে সম্ভাবনাময় ফুটবলারদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
তিনি আরও জানান, ট্রায়ালে আসা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করা হবে। বিশেষ করে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতির জন্য জুলাইয়ের শেষদিকে যেই ক্যাম্প শুরু হবে, সেখানেই দেখা যেতে পারে এই প্রবাসীদের কারও কারও মুখ।
টিটুর ভাষ্য, ‘কেবল বিদেশি হাইপ থাকলেই হবে না, দেশি প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে হবে। আমরা কোনো খেলোয়াড়কেই অবিচারে বাদ দিতে চাই না। যারা নিজেদের খরচে ট্রায়ালে এসেছে, তাদের পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
যদিও এখনই জাতীয় দলের জন্য উপযুক্ত কেউ আছেন কিনা সে বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি টিটু, তবে তিনি আশাবাদী অনূর্ধ্ব-২৩ দলে কিছু প্রবাসী ফুটবলার জায়গা করে নেবেন।
ট্রায়ালে গোল করে আলোচনায় প্রবাসী ফুটবলার বিতোশক চাকমা। তার খেলা প্রসঙ্গে টিটুর মূল্যায়ন, ‘বিতোশোকের টেকনিক, বল কন্ট্রোল এবং দৌড়ানোর দক্ষতা প্রশংসনীয়। তবে প্রকৃত মূল্যায়ন তখনই হবে যখন তারা ক্যাম্পে নিয়মিত ট্রেনিংয়ে অংশ নেবে।’