কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণে নয়-ছয়, সুফল পাননি কৃষক
Published: 21st, May 2025 GMT
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকৃত কৃষকদের হারভেস্টার না দিয়ে প্রভাবশালীদের এসব হারভেস্টার দেওয়া হয়েছে। যে কারণে বোরো মৌসুমে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া এসব হারভেস্টারের সুফল পায়নি সাধারণ মানুষ।
কৃষকদের অভিযোগ, এবার বৈশাখ মাসে ধান কাটা শ্রমিকের জন্য ভুগতে হয়েছে তাদের। অথচ বেশি মুনাফার আশায় হারভেস্টার নিজ উপজেলায় না রেখে অন্যত্র ধান কাটায় ব্যবহার করেছেন মালিকরা। যে কারণে এর সুফল পাননি তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় শতাধিক কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়। হাওরাঞ্চলের কৃষকদের স্বার্থে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া এসব হারভেস্টার নামমাত্র টাকা দিয়ে বিতরণ করা হয়। এসব বিতরণেই করা হয়েছে নয়ছয়। রাজনৈতিক প্রভাব ও কৃষি অফিসকে ম্যানেজ করে অনেকেই নামে-বেনামে এসব মেশিনের মালিক হয়েছেন। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিরাট গ্রামের বাসিন্দা রিনাল রায় একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন পেয়েছেন। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, তারা রিনাল রায়ের হারভেস্টার মেশিনটি ধান কাটা মৌসুমে কোনোদিন এলাকায় দেখেননি। অভিযোগ সম্পর্কে রিনাল রায় বলেন, এলাকায় ধান কাটা শেষ করে তিনি মেশিনটি অন্যত্র ভাড়া দিয়েছেন। নদীপুর গ্রামের শ্যামল দাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তিনটি হারভেস্টার মেশিন উঠানে পড়ে রয়েছে। এতগুলো হারভেস্টার মেশিন কীভাবে পেলেন– জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি একটি হারভেস্টার মেশিনের মালিক। অন্য দুটি হারভেস্টার তিনি ভাড়ায় এনেছেন। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, শ্যামল দাসের বাড়ির উঠানে থাকা তিনটি হারভেস্টারই তাঁর। উপজেলা কৃষি অফিস কর্মকর্তাদের উৎকোচ দিয়ে এগুলো তিনি নামে-বেনামে কিনেছেন।
রবিউল আলম নামে একজন সাধারণ কৃষক জানান, বড় কৃষকরা সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি মূল্যে পাওয়া আধুনিক যন্ত্রপাতির সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। চলতি বোরো মৌসুমে হারভেস্টার মালিকদের কাছে বারবার গিয়েও ধান কাটার মেশিন পাননি। বাধ্য হয়ে তাঁকেই ধান কাটতে হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ধ ন স গ রহ জ উপজ ল ক ষকদ র ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণে নয়-ছয়, সুফল পাননি কৃষক
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় কম্বাইন হারভেস্টার বিতরণ নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকৃত কৃষকদের হারভেস্টার না দিয়ে প্রভাবশালীদের এসব হারভেস্টার দেওয়া হয়েছে। যে কারণে বোরো মৌসুমে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া এসব হারভেস্টারের সুফল পায়নি সাধারণ মানুষ।
কৃষকদের অভিযোগ, এবার বৈশাখ মাসে ধান কাটা শ্রমিকের জন্য ভুগতে হয়েছে তাদের। অথচ বেশি মুনাফার আশায় হারভেস্টার নিজ উপজেলায় না রেখে অন্যত্র ধান কাটায় ব্যবহার করেছেন মালিকরা। যে কারণে এর সুফল পাননি তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় শতাধিক কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়। হাওরাঞ্চলের কৃষকদের স্বার্থে সরকারের ভর্তুকি মূল্যে দেওয়া এসব হারভেস্টার নামমাত্র টাকা দিয়ে বিতরণ করা হয়। এসব বিতরণেই করা হয়েছে নয়ছয়। রাজনৈতিক প্রভাব ও কৃষি অফিসকে ম্যানেজ করে অনেকেই নামে-বেনামে এসব মেশিনের মালিক হয়েছেন। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিরাট গ্রামের বাসিন্দা রিনাল রায় একটি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন পেয়েছেন। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, তারা রিনাল রায়ের হারভেস্টার মেশিনটি ধান কাটা মৌসুমে কোনোদিন এলাকায় দেখেননি। অভিযোগ সম্পর্কে রিনাল রায় বলেন, এলাকায় ধান কাটা শেষ করে তিনি মেশিনটি অন্যত্র ভাড়া দিয়েছেন। নদীপুর গ্রামের শ্যামল দাসের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তিনটি হারভেস্টার মেশিন উঠানে পড়ে রয়েছে। এতগুলো হারভেস্টার মেশিন কীভাবে পেলেন– জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি একটি হারভেস্টার মেশিনের মালিক। অন্য দুটি হারভেস্টার তিনি ভাড়ায় এনেছেন। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, শ্যামল দাসের বাড়ির উঠানে থাকা তিনটি হারভেস্টারই তাঁর। উপজেলা কৃষি অফিস কর্মকর্তাদের উৎকোচ দিয়ে এগুলো তিনি নামে-বেনামে কিনেছেন।
রবিউল আলম নামে একজন সাধারণ কৃষক জানান, বড় কৃষকরা সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি মূল্যে পাওয়া আধুনিক যন্ত্রপাতির সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন। চলতি বোরো মৌসুমে হারভেস্টার মালিকদের কাছে বারবার গিয়েও ধান কাটার মেশিন পাননি। বাধ্য হয়ে তাঁকেই ধান কাটতে হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. লুৎফে আল মুঈজ বলেন, তিনি এখানে আসার আগে এসব হারভেস্টার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে তিনি অনিয়মের বিষয়ে কিছু জানেন না। তিনি জানান, হারভেস্টার মেশিন তিন বছরের ভেতরে হস্তান্তর বা বিক্রি করা যাবে না। এসব বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।