যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলপন্থি বিক্ষোভে বোমা হামলা
Published: 3rd, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যে ফিলিস্তিনের গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলিদের আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছয়জন দগ্ধ হয়েছে।
রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মদ সোলাইমান নামে ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা’ উল্লেখ করে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।
বিক্ষোভ চলাকালে এক ব্যক্তি জমায়েতের দিকে পেট্রোল বোমাসদৃশ বস্তু ছুড়ে মারে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি দুই হাতে স্বচ্ছ স্প্রে বোতল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ সময় তাকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায় ‘জায়নবাদীরা নিপাত যাক’, ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’। বিবিসি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
৩৬ জেলায় গুমের ঘটনার তথ্য পেয়েছে কমিশন
‘আমারে চিত করে শোয়ায় দিছে। দুই হাত আর দুই পায়ের মধ্যে বাঁশ ঢুকায় দিছে। তারপর হাত-পায়ের ওপরে চারজন উঠে বসে। এরপর মুখের ওপরে একটা কাপড় দিয়ে ওপর থেকে পানি ঢালতেছিল।’
গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কাছে নির্যাতনের এই বর্ণনা দিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণ। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে র্যাবের হাতে গুম হন। পরে তাঁকে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘...ওই মাইরটা আমি নিতে পারতেছিলাম না। আমার মনে হয় যে সেকেন্ডের মধ্যে আমি মারা যাব, আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে।’
ওই তরুণের দেওয়া জবানবন্দি উঠে এসেছে গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে। কমিশন বলছে, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এভাবে অনেক মানুষকে যে গুম করেছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ৩৬ জেলায় গুমের ঘটনার তথ্য পেয়েছে কমিশন।
গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেয় কমিশন। তদন্ত কমিশনের প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনের সদস্য নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন ও নাবিলা ইদ্রিস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস জানায়, কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে। তার মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই–বাছাই শেষ হয়েছে। তবে অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। কারণ, গত মঙ্গলবার পর্যন্তও কমিশন নতুন অভিযোগ পেয়েছে।
প্রতিবেদন গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের “ভদ্রলোকেরা”, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনেরা এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফুট বাই তিন ফুট খুপরির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।’
কমিশন সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা ভয়ভীতি, নানারকম হুমকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে যারা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে আপনারা তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।’ তিনি আরও বলেন, গুম–সংক্রান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইট ও বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের ঘটনাগুলো তদন্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৭ আগস্ট কমিশন গঠন করে। গত ১৪ ডিসেম্বর ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ (সত্য উন্মোচন) শীর্ষক প্রথম অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয় গুম–সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। সেখানে গত ১৫ বছরে সংঘটিত বিভিন্ন গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন।
গুমের ‘মেইন কালপ্রিট’ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে হওয়া গুমের ঘটনায় র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিল বলে গুম–সংক্রান্ত কমিশনের তথ্যে উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘গুম হয়েছে যারা, তার মেইন কালপ্রিট, মানে কিলার ফোর্স…এটা হচ্ছে র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইং (গোয়েন্দা শাখা)। তারা এ কাজটায় সবচেয়ে বেশি ইনভলবড ছিল।’
গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গুমের ঘটনা দেশবাসীকে জানাতে একটি ওয়েবসাইট করা হচ্ছে।
শফিকুল আলম বলেন, গুমের ঘটনায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সরকারি পুরস্কার, পদক ও পদায়নের জন্য এসব করতেন বলে গুম–সংক্রান্ত কমিশনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। তবে কেউ কেউ এ ধরনের কাজের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, গণভবন থেকে পাওয়া দুটি চিঠি থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
যাদের সম্পৃক্ততাগুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও বাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ততার বিষয় উঠে এসেছে। গুমের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনাগুলোতে নির্দিষ্ট আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সদস্যরা জড়িত ছিলেন। গুমের বেশির ভাগ ঘটনা সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো, বিশেষ করে পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও সিটিটিসি ৬৭ শতাংশের বেশি ঘটনার জন্য দায়ী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ঘটনার পেছনে একাধিক সংস্থার যৌথ অভিযানের যুক্ততা রয়েছে, যা নজরদারি ও জবাবদিহির প্রক্রিয়াকে জটিল করে তোলে। বিশেষায়িত ও গোয়েন্দা ইউনিট যেমন ডিজিএফআই ও এনএসআই প্রায়ই মূল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করে, যা সমন্বিত অভিযানের ইঙ্গিত দেয়।
স্বতন্ত্রভাবে কম হলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্সের (এনএসআই) নাম বারবার অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে একযোগে উঠে এসেছে। এই সংস্থাগুলোর উপস্থিতি সীমিত হলেও তা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
এখনো নিখোঁজ তিন শতাধিকপ্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশন এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৮৩৭টি গুমের অভিযোগ পেয়েছে। প্রাথমিক পর্যালোচনার পর এর মধ্যে ১ হাজার ৭৭২টি অভিযোগকে কমিশনের তথ্যভান্ডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে কমিশন দেখেছে, ১ হাজার ৪২৭ জন (৮১ শতাংশ) নিখোঁজ ব্যক্তি পরে জীবিত অবস্থায় ফিরে এসেছেন এবং ৩৪৫ জন (১৯ শতাংশ) এখনো নিখোঁজ।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যাতে অন্তত ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করতে পারে, সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানিয়েছেন গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের প্রধান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যমান আইনে কেউ সাত বছর নিখোঁজ থাকলে তাঁকে মৃত বলে ধরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইন সংশোধন করে এটিকে পাঁচ বছর করার সুপারিশ করেন তিনি। অতি দ্রুত যাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে করণীয় জানাতে কমিশনকে পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
গুম হতো রাজনৈতিক কারণেগুমের শিকার অনেকে গুম–সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের একজন পেশায় কাঠমিস্ত্রি, বয়স ৩০। তিনি ২০১৭ সালে র্যাবের হাতে গুম হন বলে কমিশনকে জানিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি বলেন, গুমের পর তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় বারবার জানতে চেয়েছে র্যাব।
কমিশনের প্রতিবেদনে ওই ব্যক্তির জবানবন্দি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, ‘...আবার আয়া (এসে) জিজ্ঞাসাবাদ করল। বলল, “তুমি কোন দল সমর্থন করো?” বললাম, স্যার, আমি কোনো দল করি না। আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে বিএনপি। কোনো দল করি না; কিন্তু আমি একজন সমর্থক কর্মী। তখন বলল, “তুমি জামায়াতে ইসলাম করো।” বললাম, স্যার, আমি জামায়াতে ইসলাম করি না। এ রকম জিজ্ঞাসাবাদ করার অনেক সময় পর বলল, “তুমি তাহলে জঙ্গি দল করো।” স্যার, না, আমি এগুলা কিছুই জানি না। এগুলা করি না।’
কেবল এই কাঠমিস্ত্রি নন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ততার কথা বলে অনেক মানুষকে এভাবে গুম করা হয়েছে বলে গুম কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, এই অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন তৈরি করার সময় গুমের শিকার ২৫৩ জনের সঙ্গে কমিশনের কথা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১০১ জন নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিএনপির ৩৭ জন, এরপর ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৩১ জন, জামায়াতে ইসলামীর ২৫ জন রয়েছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের দুজন, হেফাজতে ইসলামের দুজন, আওয়ামী লীগের দুজন এবং খেলাফত মজলিস ও তাবলিগ জামাতের একজন করে রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের শিকার ব্যক্তিদের অনেককে দীর্ঘদিন আটক রাখার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করে বলা হতো, তাঁরা ‘সন্ত্রাসী’।
কারা, কত দিন গুম হয়েছেনগুম–সংক্রান্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে এখন পর্যন্ত যেসব গুমের ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ৫১ জন গুমের শিকার হয়েছেন ২০১৭ সালে। ৬৪টি জেলার মধ্যে ৩৬টিতেই গুমের ঘটনা ঘটেছে, যা দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকা। জেলাগুলো হলো সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মৌলভীবাজার, মানিকগঞ্জ, কক্সবাজার, শরীয়তপুর, বরিশাল, পাবনা, পটুয়াখালী, নীলফামারী, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, গাইবান্ধা, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বগুড়া, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, রংপুর, যশোর, টাঙ্গাইল, নরসিংদী, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুমের শিকার হয়েছেন ঢাকায়, শতাধিক ব্যক্তি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৫২ ব্যক্তিকে তুলে নেওয়ার সময়ের বয়সের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের বেশির ভাগের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে ২৭-২৮ বছর বয়সীরাই বেশি। এঁদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন অপহরণের সময় ১৮ বছরের কম বয়সী ছিলেন।
প্রতিবেদনে ২৫৩ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা হয়, ২২৮ জন তাঁদের পেশা উল্লেখ করেছেন। ২৫ জন প্রকাশ করেননি। এই ব্যক্তিদের মধ্যে ছাত্র, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, বেসরকারি চাকরিজীবী, সাংবাদিক, দিনমজুর এবং অন্যান্য ব্যক্তি রয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২৫৩টি ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভুক্তভোগীদের এক দিন থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন মেয়াদে আটকে রাখা হয়েছিল। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তি কয়েক মাস এমনকি বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন।