নবাগত কাইরাত আলমাতি ও পাফোস এফসি নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারে। শুধু তাদের মুখোমুখি লড়াইয়ে কোনো গোল হয়নি। এই দুই দলও গোল উৎসব করতে পারলে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ গোলের অর্ধশত হয়তো হয়েই যেত। কিন্তু বাকি আট ম্যাচ মিলে যা হয়েছে, সেটাই বা কম কী! ৪৩ গোলের (ম্যাচপ্রতি গড়ে ৪.৭৮ গোল) রাতকে নির্দ্বিধায় ‘পাগলাটে’ বলাই যায়।আজকের ফল

বার্সেলোনা ৬–১ অলিম্পিয়াকোস

কাইরাত আলমাতি ০–০ পাফোস এফসি

লেভারকুসেন ২–৭ পিএসজি

আর্সেনাল ৪–০ আতলেতিকো মাদ্রিদ

ভিয়ারিয়াল ০–২ ম্যানচেস্টার সিটি

পিএসভি আইন্দহফেন ৬–২ নাপোলি

কোপেনহেগেন ২–৪ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড

নিউক্যাসল ৩–০ বেনফিকা

সেঁ জিলোয়াস ০–৪ ইন্টার মিলান

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে কিন্ডারগার্টেনে ড্রোন হামলা, ৩৩ শিশুসহ নিহত ৫০

সুদানের দক্ষিণ করদোফান অঞ্চলে একটি কিন্ডারগার্টেনে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এতে ৩৩ শিশুসহ কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। 

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

চলমান গৃহযুদ্ধে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) বৃহস্পতিবারের এই হামলার জন্য অভিযুক্ত করেছে সুদানের চিকিৎসকদের সংগঠন ‘সুদান ডক্টরস নেটওয়ার্ক’ ও সেনাবাহিনী। তবে এ বিষয়ে আরএসএফ কোনো মন্তব্য করেনি।

উল্টো আরএসএফ অভিযোগ করেছে, শুক্রবার সেনাবাহিনী দারফুর অঞ্চলের চাঁদ সীমান্তবর্তী আদ্রে ক্রসিং এলাকার একটি জ্বালানি ডিপো ও বাজারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

২০২৩ সালের এপ্রিলে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের ক্ষমতা দ্বন্দ্ব থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে সুদান বিধ্বস্ত।

সেনাবাহিনী সমর্থিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, ড্রোন থেকে ছোড়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র কিন্ডারগার্টেনে আঘাত হানে। আহতদের সাহায্য করতে আসা সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকদের ওপরও হামলা হয়।

কালোগির হামলার পর ইউনিসেফের মুখপাত্র শেলডন ইয়েট বলেন, “স্কুলে শিশুদের হত্যা শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের এক ভয়াবহ ঘটনা। কোনো সংঘাতের মূল্য কখনোই শিশুদের দিয়ে চুকানো উচিত নয়।” 

তিনি সব পক্ষকে অবিলম্বে এসব হামলা বন্ধ করতে এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে নিরাপদ, বাধাহীন প্রবেশের অনুমতি দিতে আহ্বান জানান।

আরএসএফ দাবি করেছে, আদ্রে সীমান্ত ক্রসিংটি মানবিক সহায়তা ও পণ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হওয়ায় সেনাবাহিনী সেখানে হামলা চালিয়েছে।

দেশটির রাজধানী খার্তুম ও দারফুরের মাঝামাঝি থাকা উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিম করদোফান মিলে গঠিত অঞ্চলটি গৃহযুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টলাইন। প্রায় ৮০ লাখ জনসংখ্যার এই করদোফান এলাকায় সেনাবাহিনী দারফুরের দিকে অগ্রসর হওয়ায় লড়াই আরো তীব্র হয়েছে।

ঢাকা/ইভা   

সম্পর্কিত নিবন্ধ