আপিলের সারসংক্ষেপ দিতে চার সপ্তাহ সময় পেল আসামিপক্ষ
Published: 21st, October 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় হাইকোর্টের দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে চার সপ্তাহ সময় পেয়েছে আসামিপক্ষ। এ–সংক্রান্ত শুনানি চার সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।
আসামিপক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ওই সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
সাত খুন মামলায় ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) তৎকালীন নেতা নূর হোসেন, র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.
২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দণ্ডিতরা ২০১৯ সালে পৃথক আপিল এবং লিভ টু আপিল করেন। এর মধ্যে ‘তারেক সাঈদ মোহাম্মদ বনাম রাষ্ট্র’ শিরোনামে আপিলটি আজ আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী (অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড) আব্দুল হাই।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আপিল শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন করা হয়। চার সপ্তাহ পর শুনানি হবে। রাষ্ট্রপক্ষ ইতিমধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিয়েছে। আসামিপক্ষ এখনো দেয়নি।
আসামিপক্ষ থেকে সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য ছয় সপ্তাহ সময় চাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হাই। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আদালত চার সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্য ব্যক্তিরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় ১১ মে একই থানায় আরেকটি মামলা হয়। এ মামলার বাদী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। পরে দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ।
দুই মামলায় ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় দেন। রায়ে র্যাবের সাবেক ১৬ কর্মকর্তা-সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন ও তাঁর অপরাধজগতের ৯ সহযোগীসহ মোট ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া র্যাবের আরও ৯ সাবেক কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুননারায়ণগঞ্জের সাত খুন: বিচার শেষ হচ্ছে না, স্বজনেরা হতাশ ২৭ এপ্রিল ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়া ও নুরুল ইসলাম সরদারের সুস্থতা কামনায় দোয়া ও খাশি সাদকা
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও নুর ইসলাম সরদারের সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও খাশি সাদগা জারিয়া করা হয়েছে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের আমলাপাড়া হোসিয়ারি কমিউনিটি সেন্টারে মহানগর বিএনপি নেতা হানিফ সরদার ও ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হীরা সরদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময়ে অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম সরদারের আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল শেষে খাশি সাদগা শেষে গোস্ত অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল মানুষ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. মো. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহবায়, মাসুকুল ইসলাম রাজীব,, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক, বিএনপি নেতা হানিফ সরদার, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সহ-সভাপতি রিপন শিকদার, ১৩ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দুলাল হোসেন, ১৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক মাসুম, সদর থানা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, আব্দুর রশিদ, জয়েন সেক্রেটারি মোঃ সোহেল, কৃষক দল নেতা মোঃ মাহবুব হোসেন, শ্রমিক দল মোঃ বিপ্লব, কৃষকদল নেতা মো. সেলিম, পলাশ প্রমুখ।