রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল পার হয়ে বারিধারা ডিওএইচএসের দিকে যাওয়ার পথে গন্ধটা নাকে এসে লাগে। বারিধারা ডিওএইচএসের কাছে আসতেই এ গন্ধ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এখানেই চোখে পড়ে গুলশান লেকের শেষাংশ। এ অংশে লেকের সব বর্জ্য এসে জমা হয়। পানির ওপর চার–পাঁচ ইঞ্চি পুরো থিকথিকে ময়লার একটা স্তর তৈরি হয়েছে। এসব বর্জ্য পচে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
উৎকট গন্ধে লেকের দুই পাশে গড়ে ওঠা অভিজাত ভবনের ট্যারেস ও বারান্দায় কেউ বসতে চান না। লেকমুখী ভবনের দুই থেকে চারতলার বাসিন্দারা দুর্গন্ধের কারণে বাসার দরজা–জানালা বন্ধ রাখেন।
এবার কোরবানির পশুর নাড়িভুঁড়ি ও রক্ত মিশে লেকের পরিবেশের আরও অবনতি হয়েছে।
এ এলাকায় গুলশান ও কালাচাঁদপুরকে আলাদা করেছে একটি কালভার্ট। এ কালভার্টের ওপর চায়ের দোকান করেন মো.
আয়নালের চায়ের দোকানে বারিধারার অফিস থেকে নিয়মিত চা খেতে আসেন আরিয়ান মাহমুদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অফিস থেকে বের হলেই নাকে দুর্গন্ধ এসে লাগে। সব সময় এ রকম দেখে আসছি। তীব্র দুর্গন্ধের মধ্যে চা খেতে হয়।’
কোরবানির বর্জ্যও মিশেছে
গত সোমবার দুপুরে বারিধারা লেক ব্রিজ নামের অ্যাপার্টমেন্টের পেছনে বর্জ্য পরিষ্কার করতে দেখা গেল খায়রুল ইসলাম নামের একজনকে। সেখানে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
খায়রুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘লোকজন কোরবানির সময় পশুর নাড়িভুঁড়ি ফেলছে লেকে। এগুলো পচে ব্যাপক গন্ধ হইয়া গেছে। সকাল থেইকা এসব পরিষ্কার করছি।’
শুধু কোরবানির বর্জ্যই নয়, এখানে চিপসের প্যাকেট, পানির বোতল, পলিথিনও খায়রুলের নিড়ানির সঙ্গে উঠে আসতে দেখা গেল।
খায়রুলকে ময়লা পরিষ্কারের জন্য নিয়ে এসেছেন নার্সারিমালিক মো. মালেক। লেক ব্রিজ ভবনটির ঠিক পাশেই ২০১৪ সাল থেকে তিনি নার্সারি করেন। দীর্ঘদিন ধরে লেকের এ অংশ পরিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছেন।
মালেক বলেন, আগে নার্সারির গাছে লেকের পানি দিলে সমস্যা হতো না। ইদানীং লেকের পানিতে গাছ মরে যাচ্ছে।
বারান্দায় দাঁড়ানো দায়
লেকের পাড়ে থাকা ৭২ নম্বর সড়কের একটি ভবনের বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুই পাড়ে থাকা ভবন থেকে নিয়মিত ময়লা ফেলা হয় লেকে। এ ছাড়া এসব ভবনের পয়োবর্জ্যে এসে লেকে পড়ে। সব মিলিয়ে যে লেকটি হতে পারত নাগরিক কোলাহলে প্রশান্তির উৎস, সেটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
জানতে চাইলে গুলশান সোসাইটির সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘এক বছর ধরে নিজেদের খরচে গুলশান লেকের যত ময়লা সব ভাসমান এক্সকাভেটর দিয়ে পরিষ্কার করেছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে গুলশান–বনানী ও বারিধারা ডিওএইচএসের যত পয়োবর্জ্য সব ফেলা হয় গুলশান লেকে।’
বারবার কর্তৃপক্ষকে বলার পরও কোনো কাজ হচ্ছে না জানিয়ে ওমর সাদাত বলেন, ‘আমরা এলাকাবাসী সম্পূর্ণ অসহায়। ওয়াসাকে আমরা যে বিল পরিশোধ করি, সেটার একটা অংশ দিই পানির জন্য এবং আরেকটা অংশ দিই পয়োবর্জ্য শোধনের জন্য। যে পয়োবর্জ্য দাশেরকান্দিতে শোধন করার কথা, সেটা ফেলা হচ্ছে গুলশান লেকে। গুলশান লেককে ঢাকার একটা দোজখ বানানো হয়েছে। একটা সভ্য দেশে এ রকম হতে পারে, সেটা অবিশ্বাস্য!’
ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) এ কে এম সহিদ উদ্দিন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, গুলশান–বনানী এলাকার কোনো পয়োবর্জ্য গুলশান লেক বা বনানী লেকে পড়ছে না। এগুলো তেজগাঁও স্যুয়ারেজ লিফট স্টেশন হয়ে দাশেরকান্দি পয়োবর্জ্য শোধনাগারে চলে যাচ্ছে।
সহিদ উদ্দিন বলেন, ‘গুলশান লেকের দূষণ বন্ধে ১০ বছর আগে একটি লাইন করা হয়েছিল। সেটিকে আমরা সাময়িকভাবে ব্যবহারের আওতায় এনে তরল বর্জ্যগুলো দাশেরকান্দি পাঠাব, গুলশান–বনানী এলাকার জন্য নতুন স্যুয়ারেজ লাইন না হওয়া পর্যন্ত।’
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
লেকের দূষণের মাত্রা
গুলশান লেকের দূষণ নিয়ে কাজ করেছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের ডিন আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখেছি, গুলশান লেকে দ্রভীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ মানমাত্রার চেয়ে অর্ধেকের কম। যেমন প্রতি লিটার পানিতে দ্রভীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ থাকা উচিত কমপক্ষে ৫ মিলিগ্রাম। গুলশান লেকের পানিতে সেটি ২ গ্রাম। এ ছাড়া লেকের পানিতে দ্রভীভূত কঠিন পদার্থের পরিমাণও মানমাত্রার দ্বিগুণ। এসব কারণে লেকের জলজ বাস্তুতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মাঝেমধ্যে মাছের মড়ক লাগে এ কারণে।’
কামরুজ্জামান মজুমদার আরও বলেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে দূষণের প্রতিকার খুঁজতে হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল ক পর ষ ক র র জন য রব ন র ভবন র র একট
এছাড়াও পড়ুন:
আমানত রক্ষা করা ইসলামের সামাজিকতার সৌন্দর্য
আধুনিক বিশ্বে ক্রমবর্ধমান আত্মকেন্দ্রিকতার প্রভাবে মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও দায়িত্ববোধ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে ইসলামের একটি মৌলিক মূল্যবোধ—‘আমানত’—চিন্তা ও চর্চা থেকে প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে।
অথচ আমানত শুধু একটি সামাজিক বা অর্থনৈতিক ধারণা নয়, বরং এটি একটি বিস্তৃত আত্মিক ও নৈতিক দায়িত্ব, যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা মানুষের ওপর অর্পণ করেছেন।
পবিত্র কোরআনে এই আমানতের গুরুত্ব অত্যন্ত জোরালোভাবে বর্ণিত হয়েছে: ‘নিশ্চয়ই আমরা আমানত পেশ করেছিলাম আসমান, জমিন ও পাহাড়ের সামনে, তারা তা বহন করতে অস্বীকৃতি জানাল এবং তা হতে ভীত ছিল; কিন্তু মানুষ তা বহন করল। নিশ্চয়ই সে ছিল অত্যন্ত জুলুমকারী ও মূর্খ।’ (সুরা আহযাব, আয়াত: ৭২)
এই আয়াতে আমানতের মর্যাদা ও এর ওজনের গভীরতা প্রকাশ পায়। আল্লাহর এই দায়িত্ব মানুষের ওপর অর্পিত হওয়া তার বিশেষত্বের প্রমাণ, তবে এটি একই সঙ্গে তার জন্য একটি বড় পরীক্ষা।
নিশ্চয়ই আমরা আমানত পেশ করেছিলাম আসমান, জমিন ও পাহাড়ের সামনে, তারা তা বহন করতে অস্বীকৃতি জানাল এবং তা হতে ভীত ছিল। কিন্তু মানুষ তা বহন করল।সুরা আহযাব, আয়াত: ৭২আমানতের ব্যাপকতা‘আমানত’ শব্দটির অর্থ শুধু আর্থিক বা সামাজিক বিশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি একটি ব্যাপক ধারণা, যা মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমানতের মধ্যে রয়েছে:
ব্যক্তিগত আচরণে সততা: কথায়, কাজে ও প্রতিশ্রুতি রক্ষায় সত্যবাদিতা।
সামাজিক দায়িত্ব: পরিবার, সমাজ ও সম্প্রদায়ের প্রতি দায়িত্ব পালন।
পরিবেশের প্রতি যত্ন: আল্লাহর সৃষ্টির খিলাফা হিসেবে প্রকৃতির প্রতি বিশ্বস্ত থাকা।
আধ্যাত্মিক আনুগত্য: আল্লাহর প্রতি পূর্ণ সমর্পণ ও তাঁর আদেশ পালন।
আমানত একটি ইবাদতের অংশ, যা শুধু দুনিয়ার জন্য নয়, বরং আখিরাতের জবাবদিহির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানুষের নৈতিকতা, আধ্যাত্মিকতা ও সামাজিক সম্পর্কের ভিত্তি গড়ে তোলে।
আরও পড়ুনইসলামে আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষার গুরুত্ব২২ জুলাই ২০২২নবী–যুগে আমানতের উদাহরণইসলামের প্রাথমিক যুগে নবীজি (সা.)-এর প্রতিষ্ঠিত মদিনার সমাজ আমানতের একটি জীবন্ত উদাহরণ। মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যে অভূতপূর্ব ভ্রাতৃত্ব গড়ে উঠেছিল, তা আমানতের বাস্তব প্রয়োগ। আনসাররা তাদের ঘরবাড়ি, সম্পদ এবং এমনকি হৃদয়ের ভালোবাসা মুহাজিরদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন।
এই সম্পর্ক শুধু সম্পদের বণ্টন নয়, বরং পারস্পরিক দায়িত্ব ও বিশ্বাসের একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছিল। এমনকি আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.)-এর সঙ্গে তাঁর আনসারি ভাই সা’দ ইবনে রাবী (রা.) তাঁর সম্পদের অর্ধেক এবং এমনকি তাঁর স্ত্রীদের একজনকে তালাক দিয়ে তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই ত্যাগ ও বিশ্বাস আমানতের প্রকৃত চিত্র। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৭৮০)
মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যে অভূতপূর্ব ভ্রাতৃত্ব গড়ে উঠেছিল, তা আমানতের বাস্তব প্রয়োগ। আনসাররা তাদের ঘরবাড়ি, সম্পদ এবং এমনকি হৃদয়ের ভালোবাসা মুহাজিরদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন।এই ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে মদিনার সমাজে একতা, সহানুভূতি ও পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে উঠেছিল, যা আজও মুসলিম সমাজের জন্য একটি আদর্শ।
আধুনিক সমাজে আমানতের অবক্ষয়দুর্ভাগ্যবশত, আজকের সমাজে আমানতের চর্চা দুর্বল হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে অভিবাসী মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস, গোষ্ঠীবদ্ধতা ও সংকীর্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মসজিদগুলোতে জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বিভেদ, পারিবারিক স্বার্থপরতা এবং একে অপরের প্রতি সন্দেহ সমাজের ঐক্যকে ভঙ্গ করছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও প্রায়ই দেখা যায়, অসৎ আচরণ, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও বিশ্বাসের অপব্যবহার।
এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও ‘নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা’ একটি নতুন সামাজিক আদর্শ হয়ে উঠেছে। মানুষ অন্যের প্রতি দায়িত্ব পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এটি শুধু সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই নয়, বরং পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববোধ: আল্লাহ তা’আলা মানুষকে এই পৃথিবীর খলিফা বানিয়েছেন, যার মধ্যে পরিবেশ ও প্রকৃতির প্রতি দায়িত্বও অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু আজকের উন্নয়নের নামে বনভূমি ধ্বংস, নদী ও বাতাসের দূষণ এবং প্রাণপ্রবাহের ক্ষতি আমানতের এই দিকটিকে উপেক্ষা করছে। কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার পর পৃথিবীতে পুনরায় বিপর্যয় সৃষ্টি করো না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ৫৬)
প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়িত্ব হলো এটিকে সংরক্ষণ করা, অপচয় রোধ করা এবং সৃষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখা।
আরও পড়ুনপ্রলোভনের এই যুগে নিজেকে রক্ষার উপায়০২ আগস্ট ২০২৫আমানতের নষ্টের ভবিষ্যদ্বাণীনবীজি (সা.) আমানতের অবক্ষয় সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছেন: ‘মানুষ ঘুমাবে আর আমানত তার হৃদয় থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে...এমন সময় আসবে যখন বলা হবে, অমুক গোত্রে একজন বিশ্বস্ত মানুষ আছে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭০৮৬; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৪৫)
এই হাদিসটি একটি গভীর সতর্কবাণী। এটি ইঙ্গিত করে যে একটি সময় আসবে যখন বিশ্বস্ততা এতটাই বিরল হয়ে পড়বে যে একজন আমানতদার ব্যক্তিকে ব্যতিক্রম হিসেবে গণ্য করা হবে। এই ভবিষ্যদ্বাণী আধুনিক সমাজের বাস্তবতার সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে স্বার্থপরতা ও অবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মানুষ ঘুমাবে আর আমানত তার হৃদয় থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে...এমন সময় আসবে যখন বলা হবে, অমুক গোত্রে একজন বিশ্বস্ত মানুষ আছে।সহিহ বুখারি, হাদিস: ৭০৮৬আমানতের পুনর্জাগরণের উপায়আমানতের মূল্যবোধকে পুনরায় জীবন্ত করতে হলে আমাদের ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে:
সত্যবাদিতা ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা: কথা ও কাজে সততা বজায় রাখা এবং প্রতিশ্রুতি পূরণ করা।
দায়িত্বশীলতা ও সততা: পরিবার, সমাজ ও কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ।
ন্যায়পরায়ণ আর্থিক আচরণ: ব্যবসা ও আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা ও বিশ্বস্ততা।
প্রকৃতির প্রতি যত্ন: পরিবেশ সংরক্ষণ, অপচয় রোধ ও সৃষ্টির ভারসাম্য রক্ষা।
পারস্পরিক সহযোগিতা: সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য গড়ে তোলা।
আমানত শুধু একটি সামাজিক দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি ইবাদত, যা আল্লাহর প্রতি আমাদের আনুগত্যের প্রকাশ। এটি ব্যক্তি, সমাজ ও পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। আমানতের চর্চাকে পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে আমরা একটি দয়ালু, ন্যায়ভিত্তিক ও ঐক্যবদ্ধ মুসলিম সমাজ গড়ে তুলতে পারি। এটি আমাদের দুনিয়ার শান্তি ও আখিরাতের সাফল্যের পথ প্রশস্ত করবে।
আরও পড়ুনআখিরাতে বিশ্বাস সত্কর্মের অনুপ্রেরণা০৪ মে ২০১৮