সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল, যার নামের সঙ্গে প্রতিভা ও বিতর্ক সমান্তরালভাবে হাঁটে। সারেগামাপার স্টেজ মাত করা নোবেল এখন কারাগারে। তার নতুন পরিচয়— ধর্ষণ মামলার আসামি, আদালতের বিয়ের বর, আর সর্বশেষ ‘জাতীয় বেয়াদব’। সর্বশেষ এই উপাধি দিয়েছেন তারই সিনিয়র শিল্পী রবি চৌধুরী।

রবি চৌধুরী রীতিমতো তির্যক ভাষায় বলেছেন, “নোবেল তো আমার গান সত্যি করে ফেলল। ও নিঃসন্দেহে জাতীয় বেয়াদব!”

২০২০ সালে ‘জাতীয় বেয়াদব’ নামে একটি ব্যঙ্গাত্মক গান প্রকাশ করেন রবি চৌধুরী, যার মূল বার্তা ছিল—“যারা গুরুজনদের সম্মান করে না, যাদের মাথায় অহংকারের ফানুস উড়ে বেড়ায়, তারা কেউই শিল্পী নয়—স্রেফ বেয়াদব।”

আরো পড়ুন:

বৃষ্টির দিনে ভালোবাসার গান, ‘বৃষ্টি যদি না থামে’

মডেলকে হত্যার বর্ণনা দিলেন প্রেমিক

নোবেলকে নিয়ে যখন চতুর্দিকে নিন্দার ঝড়, তখন সেই গানের ভিডিও আবার শেয়ার করে রবি চৌধুরী তির ছুড়লেন ঠিক তার হৃদয় লক্ষ্য করে। রবি চৌধুরী লেখেন, “নতুন প্রজন্মের আরো অনেক বেয়াদব আছে, যারা সিনিয়রদের সম্মান করেন না। সময় থাকলে গানটা শুনে দেখুন, কার গায়ে লাগে কে জানে!”

নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে আটকে রাখা, শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ। ২০ মে গ্রেপ্তার হন তিনি, আদালতের নির্দেশে পাঠানো হয় কারাগারে। তারপরের নাটকীয় মোড়—কারাগারে বসেই বিয়ে! আর এই নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ট্রল, ব্যঙ্গ, আর একরাশ ঘৃণা।

এক সময় যাকে ঘিরে তরুণ প্রজন্ম আশার বাতি জ্বালিয়েছিল, সেই নোবেল এখন নিজের অপকর্মে নিজেকেই পোড়াচ্ছেন। আর তাতে শেষমেশ রবি চৌধুরীর গানটাই যেন হয়ে উঠল এ যুগের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেজর সাদিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে

ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকা‌লে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। 

পুলিশ জানায়, সুমাইয়া জাফ‌রিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থে‌কে গ্রেপ্তার করা হয়। এই রাষ্ট্রবি‌রোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় জাফরিনের কী ভূ‌মিকা ছি‌লো তা খতিয়ে দেখা হ‌চ্ছে ব‌লেও জানান তি‌নি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জন‌কে গ্রেপ্তার করা হ‌য়ে‌ছে। তা‌দের জিজ্ঞাসাবো‌দে নতুন নতুন তথ্য সাম‌নে আস‌ছে ব‌লেও জানান এ পু‌লিশ কর্মকর্তা। 
ঢাকার বসুন্ধরায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ।

গত ১০ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কেবি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মিলে প্রায় ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন।

গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ