নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার জালালসী এলাকায় লোহাগড়া-নহাটা আঞ্চলিক সড়ক মাঝখান থেকে ধসে গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে সড়কটি ধসে পড়ে। বর্তমানে সড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।

জালালসী গ্রামের শাহীন বলেন, ‍“কিছুদিন ধরেই জালালসী এলাকায় লোহাগড়া-নহাটা আঞ্চলিক সড়কের কিছু অংশের মাটি ধসে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। ভারী বৃষ্টির কারণে আজ দুপুরে সড়কটি মাঝখান থেকে ধসে পড়ে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, তারা যেন দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা করেন।”

একই গ্রামের গৃহবধূ সালমা বেগম বলেন, “রোগী নিয়ে বের হতে পারছি না। সড়ক ধসে যাওয়ায় রিকশা-মোটরসাইকেল চলতে পারছে না।” 

আরো পড়ুন:

যানজটমুক্ত ঢাকার স্বপ্ন: জুলাই থেকে নামছে ইলেকট্রিক বাস

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ছাত্রদল নেতা নিহত

নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, “বৃষ্টির কারণে সড়কটি ধসে গেছে। আমরা অস্থায়ীভাবে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে রাতের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ করব। পরবর্তীতে টেকসই সংস্কারের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে হয়ে গেল কলাগাছের ভেলার বাইচ প্রতিযোগিতা

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় হয়ে গেলো পাঁচ দিনব্যাপী নৌকা বাইচের আদলে কলাগাছের ভেলার বাইচ প্রতিযোগিতা। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঠের পাড় ছড়ায় প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলার আয়োজন করেন স্থানীয়রা। ব্যতিক্রম এ খেলা উপভোগ করেছেন বিভিন্ন বয়সী হাজারো মানুষ। 

গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ভোগডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ১৮টি দল। একটি ভেলায় চার থেকে পাঁচজন প্রতিযোগী ছিলেন। রবিবার বিকেলে ফাইনাল খেলায় সুযোগ পায় গরীবের বন্ধু, দশের দোয়া, বটতলী এক্সপ্রেসসহ পাঁচটি দল। ফাইনালে দশের দোয়া দলকে হারিয়ে বিজয়ী হয় গরীবের বন্ধু ভেলা দল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে প্রযুক্তি প্রেমীদের নিয়ে ‘রোবটিড ২.০’

ঝালডাঙ্গা বিলে নৌকা বাইচ, দর্শকদের ঢল

আয়োজকরা জানান, প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলের হাতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে দুইটি খাসি তুলে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে থাকা দলগুলোর হাতে যথাক্রমে একটি খাসি ও একটি রাজহাঁস তুলে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিযোগিতা দেখতে আসা রবিন বলেন, “প্রায় হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে গ্রামীণ জনপদের হাডুডু, গরুর মই দৌঁড়সহ অনেক ঐতিহ্যবাহী খেলা। নৌকা বাইচের মতো কলাগাছের ভেলা প্রতিযোগিতা দেখতে পেয়ে খুব আনন্দিত আমি। এবারই প্রথম গলাগাছের ভেলা প্রতিযোগিতা দেখলাম।” 

ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান বলেন, “হাজারো মানুষ আনন্দ আর উল্লাস করে কলাগাছের ভেলা প্রতিযোগিতা উপভোগ করেছেন। গ্রামাঞ্চলের মানুষের বিনোদনে এমন ব্যতিক্রমী খেলা আরো বেশি বেশি আয়োজন করা প্রয়োজন।”

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ