মার্কিন রাষ্ট্রদূত মুখ ফসকে বললেন, ‘সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে ইসরায়েল’
Published: 21st, June 2025 GMT
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডরোথি শে এক বিবৃতিতে মুখ ফসকে বলেছেন, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে ‘বিশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ও দুর্ভোগ ছড়িয়ে দিচ্ছে’। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া এ বক্তব্যের পরপরই তিনি নিজ বক্তব্য সংশোধন করেন। খবর আল-জাজিরার
ঘটনাটি জাতিসংঘে মার্কিন কূটনীতির এক বিব্রতকর মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও রাষ্ট্রদূত শে দ্রুত ভুল স্বীকার করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
বক্তব্যে শে মূলত ইরানকে দায়ী করছিলেন ইসরায়েল ও ইরানের চলমান উত্তেজনার জন্য। তবে একটি বাক্যে ভুল করে তিনি ইসরায়েলের দিকেই সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ আনেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি নিজ ভাষা সংশোধন করে বলেন, তার উদ্দেশ্য ছিল ‘ইরানকে দায়ী করা, ইসরায়েলকে নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান যদি তাদের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার চুক্তিতে সম্মত হতো, তাহলে আজকের এই সংঘাত এড়ানো যেত।’ তিনি ইরানের আঞ্চলিক কার্যকলাপ ও হিজবুল্লাহর মতো গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে তাদের সংযোগের কথাও উল্লেখ করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এমবিই খেতাবে ভূষিত এমজেএফ নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম
যুক্তরাজ্যের সম্মানসূচক এমবিই (মেম্বার অব দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।
আজ বুধবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আনুষ্ঠানিকভাবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের হাতে এমবিই খেতাবের স্মারক তুলে দেন।
বাংলাদেশে সামাজিক ন্যায়বিচার, অন্তর্ভুক্তি ও লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজা তৃতীয় চার্লস শাহীন আনামকে অনারারি এমবিই খেতাবের জন্য মনোনীত করেছিলেন।
বাংলাদেশে মানবাধিকার উন্নয়ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করতে যুক্তরাজ্য দুই দশকের বেশি সময় ধরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্ব বজায় রেখেছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকার ৪৬০টির বেশি তৃণমূল সংগঠনকে সহায়তা দিয়েছে। এর ফলে সবার জন্য মর্যাদা, অন্তর্ভুক্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পরিবর্তনশীল কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সারাহ কুক বলেন, ‘আমি রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে শাহীন আনামকে এই পুরস্কার প্রদান করতে পেরে আনন্দিত। মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং লিঙ্গ সমতার প্রতি তাঁর অক্লান্ত নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে—যা আমাদের দুই দেশের মধ্যকার মূল্যবোধ ও টেকসই অংশীদারত্বের প্রতিফলন।’