ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দারুণ শুরু হয়েছে শুবমান গিলের। হেডিংলিতে কাল প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই অপরাজিত ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন গিল। বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাস্কার, দিলীপ ভেংসরকার ও বিরাট কোহলির পর পঞ্চম ভারতীয় হিসেবে টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তবে এমন আনন্দের উপলক্ষের মধ্যেই গিলকে চোখ রাঙাচ্ছে আইসিসির শাস্তি।

আরও পড়ুনএক সেঞ্চুরিতে বিজয় হাজারে, গাভাস্কার, ভেংসরকার ও কোহলিকে ছুঁলেন গিল১৪ ঘণ্টা আগে

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইসিসির শৃঙ্খলাজনিত নিয়ম ভাঙায় শাস্তি পেতে পারেন গিল। সেই নিয়ম আসলে পোশাক–সম্পর্কিত (ক্লথিং রেগুলেশন)। কাল কালো রঙের মোজা পরে ব্যাটিং করতে দেখা গেছে গিলকে, যা টেস্টে আইসিসির নিয়মের পরিপন্থী।

আইসিসির ‘ক্লথিং অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট রুলস’–এর ১৯.

৪৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করা বলা হয়েছে, টেস্ট ক্রিকেটে খেলোয়াড়েরা শুধু ‘সাদা, ক্রিম ও হালকা ধূসর’ রঙের মোজা পরতে পারবেন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেও একই রঙের মোজা পরার বিধান রাখা হয়েছে এই অনুচ্ছেদে। তবে ট্রাউজারের মূল রঙের সঙ্গে মিলিয়েও মোজা পরা যাবে সংক্ষিপ্ত দুটি সংস্করণে। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে কার্যকর করা হয় আইসিসির এ নিয়ম।

আরও পড়ুনদুই হাতে ‘ক্র্যাম্প’ নিয়েও জয়সোয়ালের ইতিহাস৩ ঘণ্টা আগে

গিল নিয়ম ভেঙে অন্য রঙের মোজা পরে মাঠে নামায় শাস্তি পাবেন কি না, তা নির্ভর করছে এই ম্যাচের রেফারি রিচি রিচার্ডসনের ওপর। গিল ইচ্ছা করে নিয়ম ভেঙে লেভেল ওয়ান পর্যায়ের অপরাধ করেছেন কি না, সে বিষয়ে তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। শাস্তি পেলে সেটা হতে পারে ম্যাচ ফির ১০ কিংবা ২০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ অর্থ জরিমানা। ডিমেরিট পয়েন্টও পেতে পারেনন। তবে ব্যাপারটা দুর্ঘটনাক্রমে কিংবা অনিচ্ছাকৃত—ভেজা মোজা কিংবা ব্যবহার করার উপযোগী নয়—হলে বেঁচে যেতে পারেন গিল।

দারুণ ব্যাট করে সেঞ্চুরি তুলে নেন গিল

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: রঙ র ম জ আইস স র

এছাড়াও পড়ুন:

কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি: এবার আড়াই ফুট করে খুলে দেওয়া হলো গেট

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় বৃষ্টিপাতের কারণে হ্রদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট আড়াই ফুট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর দেড়টা থেকে দেড় ফুট থেকে বাড়িয়ে আড়াই ফুট করা হয়।

এতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আরো ৩২ হাজার কিউসেক পানি নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে।

কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, “হ্রদের পানি ১০৮ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) অতিক্রম করার পর বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় দুই দফায় দেড় ফুট পর্যন্ত গেট খুলে দেয়ার পরও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সকাল ১১টায় হ্রদের পানির স্তর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮.৭৬এমএসএল।”

তিনি আরও বলেন, “পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএলের একেবারেই কাছাকাছি চলে আসায় ঝুঁকি এড়াতে গেট আড়াই ফুট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ পানি ছাড়া হচ্ছে তাতে জনসাধারণের আতঙ্ক হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি ৩ ফুট পর্যন্ত গেট খুললেও বন্যার আশঙ্কা নেই, তবে এর বেশি হলে বন্যার আশঙ্কা থাকে। আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেন তিন ফুটের বেশি যেন খুলতে না হয়।”

ব্যবস্থাপক জানান, বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির লেভেল অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের (জলকপাট) গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হবে।

ঢাকা/শংকর/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ