‘কে আমাকে নিয়ে ভালো বলল, কে খারাপ, সেদিকে মনোযোগ দিই না’
Published: 21st, June 2025 GMT
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নাজমুল হোসেনের সঙ্গী সমালোচনা। কঠিন সেসব দিন এখন অনেকটাই পেরিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশ দলকে তিন সংস্করণে দিয়েছেন নেতৃত্ব, এখন যদিও শুধু টেস্ট অধিনায়ক। এই সংস্করণে ব্যাট হাতে দলের বড় ভরসাও। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলেই যেমন দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন।
বাংলাদেশের আর কোনো অধিনায়কেরই এমন কীর্তি নেই। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মুমিনুল হকেরও টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আছে (২০১৮ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে)। তবে দুটি ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি শুধু নাজমুলেরই। আজ গলে ড্র টেস্টে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তাঁর হাতে। ম্যাচ শেষের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুলকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল—খারাপ করলে যতটা সমালোচনার মুখে পড়েন, ভালো করলে কি ততটা কৃতিত্ব পান?
উত্তরে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘কে আমাকে নিয়ে অনেক ভালো কথা বলল বা খুব খারাপ কথা বলল—খুব বেশি ওদিকে ফোকাস না করে আমি চেষ্টা করি যে আসলে কীভাবে প্রতিদিন ভালো করতে পারি। কোনো দিন হয়, কোনো দিন হয় না; এই খেলাটাই এমন। কিন্তু আসলে কে অনেক বেশি অ্যাপ্রিশিয়েট করল বা কে করল না বা আমি আরেকটু বেশি কি ডিজার্ভ করি, না করি (এসব নিয়ে ভাবি না)।’
নিজের জন্য এ নিয়ে একটা মন্ত্রও আলাদা করে ঠিক আছে নাজমুলের, ‘বেশি প্রত্যাশা না থাকাই ভালো। আমার ব্যাটিংটা আমি উপভোগ করছি কি না, দলের হয়ে অবদান রাখতে পারছি কি না, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রশংসা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়, এ জায়গায় আসলে আমার বাড়তি কোনো চাওয়া নাই এবং আমি কোনো প্রত্যাশা রাখি না।’
এই সিরিজের আগে নিজের ব্যাটিংয়ে কিছু টেকনিক্যাল পরিবর্তন এনেছেন নাজমুল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেজর সাদিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে
ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, সুমাইয়া জাফরিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় জাফরিনের কী ভূমিকা ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবোদে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকার বসুন্ধরায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ।
গত ১০ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কেবি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মিলে প্রায় ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন।
গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।
ঢাকা/এমআর/ইভা