নিজেকে নিয়ে ভেবেছেন, ডায়রি লিখেছেন, এবার প্রস্তুত কনস্টাস
Published: 21st, June 2025 GMT
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪।
বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেন করতে নামলেন ১৯ বছরের এক তরুণ। ওটাই তাঁর অভিষেক ম্যাচ। স্যাম কনস্টাস নাম তাঁর।
ওদিকে বোলার ভারতের যশপ্রীত বুমরা। এই সময়ের বিশ্বসেরা।
তারপর যেটা হয়েছিল, ক্রিকেট বিশ্বের কেউই বোধ হয় সেটা কল্পনা করেননি। বুমরার মতো বোলারকে যেমন খুশি তেমন পেটানোর চেষ্টা করছেন কনস্টাস। মারছেন মাঠের চারদিকে। সব যে ইচ্ছেমতো করতে পেরেছিলেন এমন নয়, কিন্তু বুমরাকে যেভাবে খুশি মারার সাহস করাটা, এবং সেটা মাত্র ১৯ বছর বয়সে অভিষেকেই, টেস্ট ক্রিকেট এমন কিছু বহুদিন দেখেনি।
শেষ পর্যন্ত সেদিন মাত্র ৬৫ বলে ৬০ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন কনস্টাস। স্ট্রাইক রেট ৯২.
তবে বাইরে থেকে দেখে যতটা সহজ মনে হয়েছিল, ভেতরের গল্পটা কিন্তু একদম উল্টো। সম্প্রতি চ্যানেল নাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কনস্টাস বলেছেন, ক্রিকেট নয়, প্রথম দিকে তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল—মাঠভর্তি দর্শকের সামনে দেশের হয়ে খেলার আবেগ সামলানো। বলেছেন, ‘সেই সময়টা ছিল আমার টেস্ট ক্যারিয়ারের একেবারে শুরু। চারপাশে এত দর্শক, এত উত্তেজনা—সব মিলিয়ে আবেগটাই হয়তো একটু বেশি চেপে বসেছিল। তবে এরপর যেই বিরতিটা পেয়েছি, সেটা আমাকে নিজের খেলা নিয়ে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে, আর মানসিকভাবে আরও শক্ত হতে সাহায্য করেছে।’
বক্সিং ডে টেস্টে কনস্টাসের সাহসী ব্যাটিং প্রশংসিত হয়েছিল।উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কনস ট স
এছাড়াও পড়ুন:
গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলও কি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে
১৫ বছর ধরে অনেক ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল আর সংগঠন মিলে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন।
এর ফলে হাসিনা সরকারের পতন হয় ও তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ পরিবর্তন শুধু একটা সরকারের পরিবর্তন নয়, বরং দীর্ঘ সময়ের ভয় ও দমনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাহস, আশা ও গণতান্ত্রিক চেতনার একটি বড় জয় ছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, কিছু গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের সফলতাকে শুধু নিজের নামে দাবি করতে শুরু করে। কেউ কেউ বলতে থাকে, তাদের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। তাই তারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতার একমাত্র ভাগীদার।
আবার কিছু ধর্মীয় বা আদর্শিক গোষ্ঠী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যারা আগে প্রকাশ্যে তেমন সক্রিয় ছিল না। এ ছাড়া কিছু নতুন দল, যারা আগে রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত ছিল না, তারাও হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছে। তারা নিজেদের ‘নতুন শক্তি’, ‘ভিন্নধারার দল’ হিসেবে উপস্থাপন করে, কিন্তু তাদের আচরণে কখনো কখনো পুরোনো রাজনীতির কৌশলই দেখা যায়।
আরও পড়ুনশেখ হাসিনা স্বৈরশাসকদের টিকে থাকার দুটি মূলমন্ত্রেই ব্যর্থ২২ আগস্ট ২০২৪এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী একসঙ্গে থাকলেও আন্দোলনের পর তারা নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার হিসাব-নিকাশ করছে। এতে আন্দোলনের মূল চেতনা—জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন ধীরে ধীরে পেছনের দিকে চলে গেছে।
এ বাস্তবতায় প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরাই কি আবার ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গিয়ে নতুন একধরনের স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেবেন?
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্ট, ২০২৪