থারিন্দু রত্নায়েকেকে বিরলপ্রজ বলাই যায়। দুই হাতেই বল করতে পারেন, এমন বোলার তো আর প্রতিদিন দেখা যায় না। দুই হাতেই বল করতে পারা এই শ্রীলঙ্কান স্পিনার টেস্ট অভিষেকে রানও বিলিয়েছেন দুই হাতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে গল টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬ উইকেট নিলেও থারিন্দু রান দিয়েছেন ২৯৮টি। ২ রানের জন্য ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ না হওয়ায় দুঃখ যে পাননি, সেটি বলাই যায়।

‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ না হলেও থারিন্দু অভিষেক টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডে শীর্ষে তিনে জায়গা করে নিয়েছেন। ২৯ বছর বয়সী এই বোলারের ওপরে আছেন পাকিস্তানের জাহিদ মেহমুদ ও অস্ট্রেলিয়ার জেসন ক্রেইজা। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনার ক্রেইজা ২০০৮ সালে নাগপুরে টেস্ট অভিষেকে ভারতের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে দিয়েছিলেন ৩৫৮ রান। তবে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট নেওয়া ক্রেইজা পরের ইনিংসে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।

ক্রেইজা ভেঙেছিলেন ৯৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড। ১৯০৯ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট পাওয়ার পথে ২৮২ রান দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার ডগলাস কার।

প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হককে ফেরানোর পর থারিন্দু রত্নায়েকে (বাঁ থেকে ৩য়).

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক র ইজ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবাসহ পরিবারের ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবাসহ একই পরিবারের তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, করিমগঞ্জ উপজেলার কিরাটন ইউনিয়নের ভাটিয়া জহিরকোনা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলাম আঙ্গুর (৭৩), তাঁর ভাই খুর্শিদ মিয়া (৫২) ও ভাতিজা সাদেক মিয়া (৩৬)। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে ছিলেন না।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, করিমগঞ্জের ভাটিয়া জহিরকোনা এলাকার আনোয়ারুল ইসলামের (আঙ্গুর) সঙ্গে জমিজমা নিয়ে একই এলাকার আবু বকর সিদ্দিকসহ কয়েকজনের বিরোধ ছিল। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট আনোয়ারুল ও তাঁর ভাই-ভাতিজা মিলে মেয়ে মীরা আক্তারকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। পরে তার লাশ বাড়ির পেছনে জঙ্গলে ফেলে রাখেন। এ ঘটনায় পরদিন আনোয়ারুল বাদী হয়ে আবু বকরসহ ১৬ জনের নামে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ হত্যার সঙ্গে আনোয়ারুল ইসলামসহ কয়েকজন স্বজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।

ওই হত্যা মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছিল, তাঁদের জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। ওই দিন করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দত্ত বাদী হয়ে নিহত মীরার বাবা আনোয়ারুল ইসলাম, তাঁর ভাই খুর্শিদ মিয়া, ভাতিজা সাদেক মিয়া ও আনোয়ারুলের  স্ত্রী মোছা. নাজমুন্নাহারকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

কিশোরগঞ্জ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জালাল উদ্দিন বলেন, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নিহতের বাবাসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড করা হয়েছে। তবে নিহতের মা আসামি নাজমুন্নাহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। তিন আসামিই জামিনে গিয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ