বব ম্যাসি, অ্যালেক বেডসার ও ফ্রেড ট্রুম্যান—এই তিন বোলারকে বিনি সুতোর মালায় গেঁথে রেখেছে ২২ জুন। এই দিনেই প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন বেডসার আর ম্যাসি, ট্রুম্যান ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। কাকতালীয়ভাবে তা একই মাঠে, লর্ডসে। তিনজনের শুরু ও শেষ ধরে তাঁদের জীবনের গল্প উৎপল শুভ্রর এই বিশেষ লেখায়।

অ্যালেক বেডসার পৃথিবী ছেড়ে গেছেন প্রায় ১৫ বছর আগে। দীর্ঘায়ুই পেয়েছিলেন, ২০১০ সালে শেষবারের মতো নিশ্বাস ফেলার ঠিক তিন মাস আগে পালন করেছেন ৯২তম জন্মদিন। বয়সে প্রায় ১৩ বছরের ছোট হয়েও ফ্রেড ট্রুম্যান চলে গেছেন এরও বছর চারেক আগেই। ৭৫ বছরের জীবনটা অবশ্য পরিপূর্ণভাবেই যাপন করে গেছেন। ফ্রেড ট্রুম্যানকে নিয়ে তো গল্পের শেষ নেই।

ডব্লিউ জি গ্রেস ছাড়া আর কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে এত গল্প চালু আছে বলে মনে হয় না। তার কিছু সত্যি, কিছু বানানো, কোনো কোনোটাতে হয়তো সত্য-মিথ্যার মিশেল। ট্রুম্যান তাঁকে নিয়ে এসব গল্প উপভোগ করতেন। নিজেও খুব সরসভাবে তা বর্ণনা করতেন, এ কারণে আফটার ডিনার স্পিকার হিসেবে বিপুল চাহিদা ছিল তাঁর। বিবিসির টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে ক্রিকেট কমেন্ট্রিও করেছেন অনেক বছর।

এই গল্পের তৃতীয়জন বব ম্যাসিও রেডিও কমেন্টেটর হিসেবে খুব জনপ্রিয় ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান, তাঁর কর্মক্ষেত্র ছিল তাই এবিসি রেডিও। প্রথম দুজন স্বর্গবাসী হলেও বব ম্যাসি এখনো ধরাধামে বর্তমান। বয়স হয়েছে, গত বাংলা নববর্ষের দিন ৭৬তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করলেন, বাড়ি থেকে তাই খুব একটা বেরোন না।

বেরোলেই–বা কী, এই তিনজনের তো আর একত্র হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নইলে কল্পনায় তিনজনকে একসঙ্গে বসিয়ে দেওয়া যেত। তা না হয় যাচ্ছে না, কিন্তু বাকি দুজনকে নিয়ে কল্পনার একটা খেলা তো খেলাই যায়। এমন যদি হয়, আজ স্বর্গে একই টেবিলে বসে আড্ডা দিচ্ছেন তাঁরা দুজন—ফ্রেড ট্রুম্যান আর অ্যালেক বেডসার। আড্ডার বিষয়? বিষয় একটাই, ২২ জুন।

২২ জুনই এই তিনজনকে গেঁথেছে বিনি সুতোর এক মালায়। ২২ জুনেই অ্যালেক বেডসার আর বব ম্যাসির শুরু আর ফ্রেড ট্রুম্যানের শেষ। ১৯৪৬ সালের ২২ জুন টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বেডসারের। ১৯ বছর পর ১৯৬৫ সালের ২২ জুন ছিল ট্রুম্যানের বর্ণাঢ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ দিন। এরও ৭ বছর পর ১৯৭২ সালের ২২ জুন টেস্ট ক্রিকেটে বব ম্যাসির আবির্ভাব। এই তিনটি ঘটনাই যে লর্ডসে, সেই বিস্ময় কাটানোর জন্য ‘কাকতালীয়’ শব্দটিকেও ঠিক যথেষ্ট মনে হচ্ছে না।

ফ্রেড ট্রুম্যান: টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বব ম য স ২২ জ ন এই ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

উত্তরায় নগদের কোটি টাকা লুটের ঘটনায় সাবেক সেনা ও পুলিশ সদস্য জড়িত

রাজধানীর উত্তরায় মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদের পরিবেশকের কাছ থেকে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে নগদ ২২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. হাসান (৩৫), গোলাম মোস্তফা ওরফে শাহিন (৫০), শেখ মো. জালাল উদ্দিন ওরফে রবিউল (৪৩), মো. ইমদাদুল শরীফ (২৮) ও মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে শিপন (২৭)।

পুলিশ বলেছে, ডাকাত দলের নেতা মোস্তফা ওরফে শাহিন একজন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য এবং শেখ মো. জালাল উদ্দিন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে র‌্যাব ও পুলিশের পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, ১৪ জুন সকালে নগদের পরিবেশক আবদুল খালেক ওরফে নয়ন তাঁর উত্তরার বাসা থেকে প্রতিষ্ঠানের চারজন কর্মচারীসহ চারটি ব্যাগে ১ কোটি ৮ লাখ ১১ হাজার টাকা নিয়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে উত্তরার নগদের অফিসের উদ্দেশে রওনা হন। পথে উত্তরা ১২ ও ১৩ নম্বর রোডের সংযোগস্থলে একটি কালো রঙের হাইয়েস মাইক্রোবাস তাদের গতিরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে ‘র‌্যাব’ লেখা কালো কটি পরা ও মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছয়-সাতজন হাতে অস্ত্র নিয়ে নামেন। এ সময় নগদের টাকা বহনকারী কর্মচারীরা টাকার ব্যাগ নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে দৌড় দেন। তখন দুষ্কৃতকারীরা তাঁদের ধাওয়া করে চারটি ব্যাগে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের তিনজনকে মাইক্রোবাসে তুলে হাত-চোখ বেঁধে মারধর করে। ঘটনাস্থল থেকে একজন কর্মচারী পালাতে সক্ষম হন। পরে ডাকাতেরা তিনজনকে তুরাগ থানার ১৭ নম্বর সেক্টরের বৃন্দাবন এলাকায় ফেলে রেখে টাকা, পাঁচটি মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়।

রাজধানীর উত্তরা থেকে নগদের লুটের ১ কোটি ৮ লাখ টাকার মধ্যে ২২ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিসিবিতে তিন উপদেষ্টা নিয়োগ দিয়েছেন সভাপতি
  • উত্তরায় নগদের কোটি টাকা লুটের ঘটনায় সাবেক সেনা ও পুলিশ সদস্য জড়িত