ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান পেলেও জাতীয় দলে এলেই ঝিমিয়ে পড়ে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট। সবশেষ কয়েকটি টুর্নামেন্টে নিয়মিত রান করে বাংলাদেশ দলে এলেও এখনো নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। তবে এখনই বিজয়কে ছুঁড়ে ফেলার দেয়ার পক্ষে নন হাবিবুল বাশার সুমন। বিজয়কে আরেকটি সুযোগ দেয়ার পক্ষেই মত দিচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।

জাতীয় লিগে খুলনার হয়ে সর্বশেষ মৌসুমে ১৩ ইনিংসে এক সেঞ্চুরি ও ছয়টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৭০০ রান করেছিলেন বিজয়। বিপিএলে রাজশাহীর হয়ে ১২ ইনিংসে করেন ৩৯২ রান, যার মধ্যে ছিল একটি সেঞ্চুরি ও দুটি ফিফটি। পরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপের হয়ে ৮৭৪ রান করেন ৪টি সেঞ্চুরি ও সমান সংখ্যক ফিফটিতে।

এই পারফরম্যান্সের ফলেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে দলে ডাক পান বিজয়। নিজের খেলা প্রথম ম্যাচেই ৩৯ রান করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষেও খেলেছেন বিজয়। তিনটি একদিনের ম্যাচে যথাক্রমে ৩৮, ৩৯ এবং ২ রান করেছিলেন ৩২ বছর বয়সি এই ব্যাটার। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের ম্যাচে ২৪ ও ১৬ রান করেছিলেন। পরের ম্যাচে বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮ ও ২৪ রান।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টেও্ব খেলেন বিজয়। প্রথম ইনিংসে ১০ বলেও রানের খাতা খুলতে না পারা ডানহাতি ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়েছেন ৪ রানে। জাতীয় দল ও 'এ' দলের হয়ে সবশেষ ১০ ইনিংসে একটি হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি ৩২ বছর বয়সী এ ব্যাটার। সর্বোচ্চ রান ৪৮। তবুও তাকে নিয়ে আশাবাদী বাশার। তার মতে, ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান করা বিজয়কে বাদ না দিয়ে বরং আরও একটি সুযোগ দেয়া উচিত।

বাশার বলেন, ‘বিজয় পারফর্ম করেই দলে এসেছে। ঘরোয়া লিগে সে নিয়মিত রান করেছে, শুধু সাদা বলে নয় লাল বলেও। টেস্টে সে এখনো নিজেকে প্রমাণ করতে পারেনি, কিন্তু যেহেতু দলে নেয়া হয়েছে, তাকে আরেকটি সুযোগ দেয়াই উচিত।’

শ্রীলঙ্কা সফরের স্কোয়াডে বিজয়ের সঙ্গে আছেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম, যিনি গলে রান করে নিজের জায়গা শক্ত করেছেন। তবে দ্বিতীয় টেস্টে বিজয়কে বাদ দিয়ে ওপেনিংয়ে শান্তকে নামানো হতে পারে, এমন সম্ভাবনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বাশার। তিনি যোগ করেন, ‘শান্ত ভালো ব্যাটার, দলের প্রয়োজনে ওপেন করতেও পারে। কিন্তু আমি মনে করি ওপেনিং একটা বিশেষজ্ঞ পজিশন। এখানে একদম যারা ওপেনার তাদেরই ওপেন করা উচিত। আর যারা তিন নাম্বার, এমনকি তিন নাম্বারও কিন্তু ইজ নাম্বার থ্রি। তিন নাম্বার কিন্তু ওপেনার না। সেই ক্ষেত্রে আমার মনে হয় যেহেতু ওপেনার আমরা দুইজন নিয়েছি, তাদের উপরেই আরেকটা ম্যাচ দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন কর ছ ল ন ন ব জয় ব জয়ক

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে ছাত্রদলের এক কর্মীর ছুরিকাঘাতে আরেক কর্মী নিহত 

পঞ্চগড় শহরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক কর্মীর ছুরিকাঘাতে আরেক কর্মী নিহত হয়েছেন। 

বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে শহরের সিনেমা হল মার্কেটের সামনে জাবেদ রহমান জয় (১৯) নামের ওই ছাত্রদল কর্মীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তিনি জেলা শহরের পুরাতন ক্যাম্প এলাকার জহিরুল হকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছাত্রদলের কর্মী জাবেদ রহমান জয়ের গ্রুপের সঙ্গে শহরের নতুন বস্তি এলাকার ছাত্রদলের আরেক কর্মী আল আমিন গ্রুপের বুধবার দুপুর থেকে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। রাতে জয় একাই জেলা শহরের সিনেমা হল মার্কেটের সামনে গেলে সেখানে প্রতিপক্ষের ১০-১২ জনের সঙ্গে আবারও বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আল আমিন একটি ছুরি ঢুকিয়ে দেয় জয়ের পেটে। এতে তার ভুড়ির কিছু অংশ বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

আরো পড়ুন:

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবাসহ ৩ জনের ফাঁসি

চকরিয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা

পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রেজওয়ানুল্লাহ বলেছেন, “ওই তরুণের হাতের তালুতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পেটের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ভুড়ি বের হয়ে গিয়েছিল। আমরা ভুড়ি ভেতরে ঢুকিয়ে সেলাই করে রংপুরে রেফার করি।”

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শইমী ইমতিয়াজ বলেছেন, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ওই তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত দুজনের নাম জানা গেছে— একজন আল আমিন, আরেকজন পারভেজ। হত্যাকারী ও ভিকটিম দুজনেই ছাত্রদলের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অভিযান চালাচ্ছে।

ঢাকা/নাঈম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ