ইরানের উপর মার্কিন হামলার ফলে উপসাগরীয় অঞ্চলে সংঘাত আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার উপসাগরীয় দেশগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

রবিবার ভোরে মার্কিন বাহিনী ইরানের প্রধান পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে বাঙ্কারবিধ্বংসী বোমা দিয়ে হামলা চালিয়েছে। শান্তি চুক্তিতে রাজি না হলে তেহরানকে আরো বিধ্বংসী আক্রমণের মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব, মার্কিন হামলার পর উচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে। অন্যদিকে বাহরাইন চালকদের প্রধান রাস্তা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে এবং কুয়েত একটি মন্ত্রণালয় কমপ্লেক্সে আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

তেহরান এর আগে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের উপর আক্রমণ করে, তাহলে তারা এই অঞ্চলে আমেরিকান সম্পদ লক্ষ্য করতে পারে, যার মধ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে।

বাহরাইনে মার্কিন নৌবাহিনীর ৫ম নৌবহরের সদর দপ্তর অবস্থিত এবং সৌদি আরব ও কুয়েত, প্রতিবেশী কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেও মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে।

সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পারমাণবিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানে হামলার পর তারা পারমাণবিক দূষণের কোনও লক্ষণ খুঁজে পায়নি।

ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্য নীতির একজন সিনিয়র ফেলো হাসান আল হাসান বলেছেন, “যদিও যুদ্ধটি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সরাসরি শত্রুতার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সম্পৃক্ততা একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমা যা উপসাগরীয় দেশগুলোকে, বিশেষ করে বাহরাইন, কুয়েত ও কাতারকে-যাদের বৃহৎ মার্কিন সামরিক স্থাপনা রয়েছে, তাদের সংঘাতে টেনে আনার ঝুঁকি তৈরি করেছে।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

লালমাইয়ে পাল্টাপাল্টি জিডি প্রকৌশলী ও সাংবাদিকের

কুমিল্লার লালমাই উপজেলা প্রকৌশলী ও স্থানীয় এক সাংবাদিক গতকাল শনিবার একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

আজ রোববার বিকেলে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম দুটি জিডির তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার। এ ছাড়া তাঁদেরও পরামর্শ দিয়েছি, নিজেরা বিষয়টি সমাধান করে ফেলার জন্য।’

দৈনিক সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার (গতকাল) বিকেলে আমিসহ কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক উপজেলা কমপ্লেক্সের নতুন ভবন দেখতে যাই। সেখানে দ্বিতীয় তলায় তালাবদ্ধ আটটি কক্ষের দরজায় এলজিইডি লেখা দেখতে পাই। পরে সেখানে উপস্থিত থাকা উপজেলা প্রকৌশলী সাবরীন মাহফুজের কাছে জানতে চাই, তাঁদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা সংশ্লিষ্ট কেউ কক্ষ ভাগ করে (বরাদ্দ) দিয়েছেন কি না? এ প্রশ্ন শুনেই উপজেলা প্রকৌশলী আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন; বলতে থাকেন, “আমি কক্ষ বরাদ্দ কমিটির সদস্যসচিব, এই ভবন আমাদের। আমি ঠিক করব কে কোথায় বসবে।’”

মাসুদ রানার দাবি, উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করছিলেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রকৌশলী। পরে তিনি ওই দিন রাতে নিজের নিরাপত্তার জন্য থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি শুনেছেন, সন্ধ্যায় ওই প্রকৌশলীও তাঁর বিরুদ্ধে জিডি করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মোসা. সাবরীন মাহফুজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি (মাসুদ) হঠাৎ এসে আমাকে উদ্দেশ্যমূলক বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। এরপরও আমি চেষ্টা করেছি ভালোভাবে তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। একপর্যায়ে মাসুদ সাহেব আমার অনুমতি না নিয়ে ভিডিও করতে থাকেন। আমি তাঁকে বারবার বলেছি, আপনি আমার অনুমতি ছাড়া এভাবে ভিডিও করতে পারেন না। কিন্তু তিনি ভিডিও করেই গেছেন। আমি একজন নারী অফিসার, নিরাপত্তারও একটি বিষয় থাকে। পরে আমি বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানালেও তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। এরপর নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছি।’

আজ বিকেলে এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রি খীসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি আমি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী থানায় যাওয়ার বিষয়ে আমাকে কিছুই জানাননি। আমরা বিষয়টির বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ