জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার (এনএইচএসপিসি) জাতীয় পর্বে জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি শ্রেণিতে বিজয়ী হয়েছে যথাক্রমে খুলনা জিলা স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্র সরকার, বিএএফ শাহীন কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রায়ান ফেরদৌস ও জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী দেবজ্যোতি দাশ। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে (বিসিসি) এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) আয়োজিত জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মূল অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও আইসিটি বিভাগ আয়োজিত জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্বে ১৬টি অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রোগ্রামিং, কুইজ ও দাবা প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা অংশ নেয়। কুইজ প্রতিযোগিতায় জুনিয়র ও সিনিয়র শ্রেণিতে বিজয়ী হয়েছে যথাক্রমে মো.

তাহসিন কবির ও রায়হান মাহবুব। দাবা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দলের সদস্যরা হলো সিয়াম চৌধুরী, রায়ান রশিদ, ওয়ারসিয়া খুশবু ও নীলাভা চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আজকের এই প্রজন্মই ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। প্রোগ্রামাররা জাতিকে আলোর দিশারী হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক মো. জফুরুল আলম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক মুহম্মদ মেহেদী হাসান।

প্রতিযোগিতার মূল আয়োজক ছিল বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। বাস্তবায়ন সহযোগী ছিল বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন, ইডিজিই (এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি) প্রকল্প ও ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোণায় এনসিপি নেতাসহ ৩ জনকে মারধরের ঘটনায় মামলা 

নেত্রকোণার কলমাকান্দায় জমির আইল নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান (১৯), তার বাবা এবং বড় ভাইকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে মামলাটি হয়। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন- কৈলাটী ইউনিয়নের সেহড়াউন্দ গ্রামের মেহেদী হাসান, তার বাবা মানিক মিয়া (৬৩) ও বড় ভাই আকাশ মিয়া (২৮)।

আরো পড়ুন:

চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২

সড়কের কাজে অনিয়ম, অস্বীকার করায় এলজিইডি কর্মচারীকে মারধর

মামলার আসামিরা হলেন- আজগড়া গ্রামের মো. মোন্তাজ মিয়া (৭০), তার তিন ছেলে জুয়েল মিয়া (৩৫), সোহেল মিয়া (৪০) ও মনির মিয়া (২৮), একই গ্রামের মো. ইছা মিয়া (৩২), রাকিব মিয়া (২২), আদম আলী (১৯) ও মামুন মিয়া (২৭)।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বুধবার দুপুরে মানিক মিয়া ও মনির মিয়ার মধ্যে ধান ক্ষেতের আইল নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করলেও পরে মনির মিয়াসহ ৭-৮ জনের একটি দল মেহেদী, তার বাবা ও ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মেহেদীর অবস্থা অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
 
ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‍‍“ঘটনার পর আসামির গা ঢাকা দিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

ঢাকা/ইবাদ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ