সহজ ভাষায় ফুটবল বলতে বোঝায় প্রতিপক্ষের জালে গোল দেওয়া আর নিজেরা গোল না খাওয়া। তবে কখনো কখনো খেলোয়াড়েরা ভুলে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন, ফুটবলে যা আত্মঘাতী গোল হিসেবে পরিচিত। আত্মঘাতী গোল একটি দলকে ম্যাচ হারিয়ে দিতে তো পারেই, ফাইনালে এমন কিছু ঘটলে ট্রফিও হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে।

তবে আত্মঘাতী গোল সব সময় খারাপ নয়, কখনো কখনো উপকারীও হতে পারে—আর এমন অদ্ভুতুড়ে এক পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল জার্মান ক্লাব তুর্কস্পোর ন্যুর্নবার্গ। একটি আত্মঘাতী গোল করলেই দলটি লিগে প্রমোটেড হতো। কিন্তু দলটি সেটি করেনি। এরপর যা হয়েছে, তা দলটির জন্য বেদনাদায়ক।

এটি ছিল জার্মানি মিডল ফ্রাঙ্কোনিয়ার ডিস্ট্রিক ফুটবল লিগের ম্যাচ। ওপরের ধাপের লিগে জায়গা করতে দুটি টিকিটের লড়াইয়ে ছিল তিনটি ক্লাব তুর্কস্পোর ন্যুর্নবার্গ, এসভি টেনেনলো এবং গোগেলসবাখ। এর মধ্যে টেনেনলো প্রথম দুই ম্যাচ জিতে পরের ধাপে জায়গা করে নেয়। বাকি জায়গাটির লড়াইয়ে ছিল ন্যুর্নবার্গ ও গোগেলসবাখ। ১৩ জুনের ম্যাচে লিগ প্রমোশনের জন্য গোগেলসবাখকে ২ গোল ব্যবধানে জিততে হতো। বিপরীতে এর কম ব্যবধানে হারলেই প্রমোশন নিশ্চিত ছিল ন্যুর্নবার্গের।

তুর্কস্পোর ন্যুর্নবার্গের লোগো।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধমুক্ত সবুজ বিশ্ব গড়ার বার্তা

এভারেস্টজয়ী প্রয়াত বন্ধু সজল খালেদ স্মরণে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প অভিযান করেছেন লেখক ও গবেষক গাজী মুনছুর আজিজ। ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চাই সবুজ বিশ্ব গড়তে চাই’ স্লোগান নিয়ে তিনি এ অভিযান সম্পন্ন করেন। ১৩ জুন বিকেল পৌনে ৩টায় তিনি বেস ক্যাম্প পৌঁছান। এর আগে ৬ জুন সকালে নেপালের লুকলা থেকে বেস ক্যাম্পের উদ্দেশে ট্র্যাকিং শুরু করেন। অষ্টম দিনের মাথায় তিনি পৌঁছান পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে (৫,৩৬৪ মিটার)।
গাজী মুনছুর আজিজ বলেন, ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে যারা এ অভিযানে সম্পৃক্ত হয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। বিশেষ ধন্যবাদ বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাবের (বিএমটিসি) প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশে পর্বতারোহণের স্বপ্নদ্রষ্টা ইনাম আল হকের প্রতি এবং বিএমটিসি ক্লাবের সবার প্রতি। এ ছাড়া ধন্যবাদ অল্টিচিউড হান্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌফিক আহমেদ তমালের প্রতি। তাঁর সার্বিক সহযোগিতায় এ অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করি।
গাজী মুনছুর আজিজ বলেন, আমরা একটি যুদ্ধমুক্ত পৃথিবী দেখতে চাই, যেখানে বোমার আঘাতে একটি শিশুও মারা যাবে না। এ ছাড়া একটি দূষণমুক্ত বিশ্ব গড়তে চাই, যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাঁচবে নির্মল আনন্দে। এসব বার্তা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিতে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে বেছে নিয়েছি।
আজিজ আরও বলেন, ২০১৩ সালের ২০ মে এভারেস্ট জয় করে নামার পথে সজল মারা যান। এখন বাংলাদেশের অনেকেই এভারেস্ট জয় করেছেন, সবাই তাদের গল্প শুনছেন। আমি মনে করি তাদের সঙ্গে সজলের গল্পটাও মানুষ জানুক। সেজন্যই তাঁকে স্মরণ করে আমার এ অভিযান। এ ছাড়া ২০০৭ সালে ইনাম আল হকের পরিকল্পনায় এবং সজলের উদ্যোগে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভে দেশে প্রথম বারের মতো বাংলা ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০৯ ও ২০১০ সালেও সজলের উদ্যোগে ম্যারাথন হয়। সজল মারা যাওয়ার পর আর বাংলা ম্যারাথন হয়নি। এরপর সজলকে স্মরণ করে ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর মেরিন ড্রাইভে আমি একক ম্যারাথন করে আসছি। এখন বাংলাদেশে প্রচুর ম্যারাথন প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আমি মনে করি ম্যারাথনের শুরুর গল্পটাও মানুষ জানুক।
সজল চেয়েছেন ম্যারাথনের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের পর্যটনকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করে তোলা এবং একই সঙ্গে পরিবেশ 
সচেতনতার বার্তা দেওয়া।
লেখক ও গবেষক গাজী মুনছুর আজিজ বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং ক্লাব এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য। ভ্রমণ বিষয়ে তাঁর বেশ ক’টি বই বের হয়েছে। গত একুশে বইমেলায় বের হয়েছে তাঁর ভ্রমণবিষয়ক বই ‘পাখির খোঁজে বাংলাজুড়ে’। বিভিন্ন ম্যারাথন প্রতিযোগিতা, সাইকেল অভিযানসহ নিয়মিত ভ্রমণ ও অভিযানে বের হন। এ ছাড়া পরিবেশ সচেতনতায় গাছ লাগানোসহ নিয়মিত বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকেন। u

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২১ দফা দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন, শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
  • জিমেইলের ভুয়া আনসাবস্ক্রাইব বাটনের মাধ্যমে সাইবার হামলা, সতর্ক থাকার পরামর্শ
  • ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম, এরপর যেভাবে যৌনপল্লিতে কিশোরী
  • ‘এরপর যেই শিশুর মৃত্যু হবে, সে হতে পারে আপনার সন্তান’
  • ‘স্পাইডার ম্যান’খ্যাত অভিনেতা জ্যাক বেটস মারা গেছেন
  • রাজশাহীতে প্রিমিয়ার লিগ চালুর ঘোষণা বিসিবি সভাপতির
  • রাঙা বউয়ের সন্ধানে
  • আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা নিচ্ছেন তো
  • যুদ্ধমুক্ত সবুজ বিশ্ব গড়ার বার্তা