ভোটার হচ্ছেন জুবাইদা, তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি
Published: 23rd, June 2025 GMT
ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে জুবাইদার তথ্য সংগ্রহ করা হয় বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, এক-এগারো-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। সে সময় তারেক ও জুবাইদা যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ছিলেন। ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন এই দম্পতি। এরপর তাঁরা দেশে আসেননি, ভোটারও হননি। গত ৬ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে আসেন। তাঁর সঙ্গে জুবাইদাও দেশে আসেন। ঢাকায় ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য গত ঈদুল আজহার আগে জুবাইদার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ইসির কর্মকর্তারা। ৫ জুন জুবাইদা লন্ডনে ফিরে যান।
জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে জুবাইদার তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম হলেও চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয় পুরো হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর। আইন অনুযায়ী, হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে ভোটার তালিকা আইন সংশোধন করে এর আগেই তালিকা চূড়ান্ত করার চিন্তা আছে ইসির।
পেশায় চিকিৎসক জুবাইদার বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায়। তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় নন। অবশ্য তিনি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়ে গুঞ্জন আছে।
জুবাইদা সম্প্রতি দেশে আসার পর তাঁকে ঘিরে সিলেটে বিএনপির রাজনীতিতে নানামুখী আলোচনা চলে। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে সিলেটে আনন্দমিছিলের পর নগরজুড়ে পোস্টারিং করা হয়। বেনামি পোস্টারে তাঁকে ‘মর্যাদাপূর্ণ’ সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাওয়া হয়েছে।
কোনো ব্যক্তিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে তাঁকে ভোটার হতে হয়। একজন ভোটার চাইলে দেশের যেকোনো আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক, আন্দোলনরত ‘তথ্য আপা’দের কর্মস্থলে ফেরার আহ্বান
টানা ৭২ দিন রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় আন্দোলনের পর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে একটি প্রতিনিধিদলের আলোচনা হয়। এ সময় উপদেষ্টা আন্দোলনরতদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
ঝালকাঠি সদরের তথ্যসেবা কর্মকর্তা ও আন্দোলন পরিচালনা কমিটির সভাপতি সংগীতা সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী সপ্তাহে তথ্য আপা প্রকল্প রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তাঁদের কাজে ফিরে যেতে বলেছেন উপদেষ্টা।
অবশ্য উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘এই সরকার কোনো প্রকল্প রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করছে না। তাই এ ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। তাঁদের জন্য বিকল্প কী প্রস্তাব নেওয়া যায়, সেটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। সেই বিকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে তাঁদের জানিয়েছি।’
২০১১ সালে পাইলট আকারে ১৩টি উপজেলায় তথ্য আপা প্রকল্প শুরু হয়। পরে ২০১৮ সালের শেষ দিকে ৪৯২টি উপজেলায় প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। পরে তা দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ৩০ জুন করা হয়। গত বছর আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন করা হয়।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘জাতীয় মহিলা সংস্থা’র বাস্তবায়ন করা এ প্রকল্পের পুরো নাম ছিল ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘তথ্য আপা: তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প’।