এনামুল কেন নেই, নাঈম কেন আছেন—কী ব্যাখ্যা নির্বাচকদের
Published: 23rd, June 2025 GMT
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রীতিমতো রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন এনামুল হক। ১৪ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরিতে করেছিলেন ৮৭৪ রান। এপ্রিলে ওই টুর্নামেন্টের মাঝপথেই এনামুলকে ডাকা হয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট দলে। তবে প্রায় তিন বছর পর দলে ফেরার তিন মাস না যেতেই এখন তাঁর সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সেটা এতটাই যে এনামুল প্রিমিয়ার লিগে যে সংস্করণে খেলেছেন, সেই ৫০ ওভার ক্রিকেটে বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজে তাঁকেই দলেই রাখা হয়নি। শ্রীলঙ্কা সফররত বাংলাদেশ দল জুলাইয়ে স্বাগতিকদের সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে খেলবে। আজ সেই সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের যে দলটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে এনামুলের নাম নেই। এমনকি ওয়ানডে দলে তাঁর না থাকা নিয়ে তেমন আলোচনাও নেই।
এনামুলের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলে ডাক পাওয়ার পেছনে শুধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগই নয়, সম্ভবত নির্বাচকদের বিবেচনায় ছিল সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্টের সাফল্যও। গত নভেম্বরে শেষ হওয়া জাতীয় লিগে ৭ ম্যাচে ৭০০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি। কিন্তু ঘরোয়া প্রথম শ্রেণি ও ‘লিস্ট এ’ ক্রিকেটের এই সাফল্য এনামুল জাতীয় দলে ধরে রাখতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ৩৯ রান করেছিলেন। তবে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ইনিংসেই আউট হয়েছেন এক অঙ্কে। একবার শূন্য, আরেকবার ৪ রানে। ব্যাটিং–বান্ধব উইকেটে যতক্ষণ ব্যাটিংয়ে ছিলেন, বেশ অস্বস্তিতেই কেটেছে তাঁর সময়। আউটও হয়েছেন দৃষ্টিকটুভাবে।
প্রায় তিন বছর পর টেস্ট দলে ফিরে রান পাচ্ছেন না এনামুল হক। ছবিটি এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে তোলা।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এন ম ল
এছাড়াও পড়ুন:
গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলও কি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে
১৫ বছর ধরে অনেক ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল আর সংগঠন মিলে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে আসেন।
এর ফলে হাসিনা সরকারের পতন হয় ও তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এ পরিবর্তন শুধু একটা সরকারের পরিবর্তন নয়, বরং দীর্ঘ সময়ের ভয় ও দমনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাহস, আশা ও গণতান্ত্রিক চেতনার একটি বড় জয় ছিল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, কিছু গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনের সফলতাকে শুধু নিজের নামে দাবি করতে শুরু করে। কেউ কেউ বলতে থাকে, তাদের কারণেই সরকার পতন ঘটেছে। তাই তারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতার একমাত্র ভাগীদার।
আবার কিছু ধর্মীয় বা আদর্শিক গোষ্ঠী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যারা আগে প্রকাশ্যে তেমন সক্রিয় ছিল না। এ ছাড়া কিছু নতুন দল, যারা আগে রাজনীতিতে খুব একটা পরিচিত ছিল না, তারাও হঠাৎ করে সামনে চলে এসেছে। তারা নিজেদের ‘নতুন শক্তি’, ‘ভিন্নধারার দল’ হিসেবে উপস্থাপন করে, কিন্তু তাদের আচরণে কখনো কখনো পুরোনো রাজনীতির কৌশলই দেখা যায়।
আরও পড়ুনশেখ হাসিনা স্বৈরশাসকদের টিকে থাকার দুটি মূলমন্ত্রেই ব্যর্থ২২ আগস্ট ২০২৪এই আন্দোলনের সময় বিভিন্ন গোষ্ঠী একসঙ্গে থাকলেও আন্দোলনের পর তারা নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে গিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ আবার নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার হিসাব-নিকাশ করছে। এতে আন্দোলনের মূল চেতনা—জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেন ধীরে ধীরে পেছনের দিকে চলে গেছে।
এ বাস্তবতায় প্রশ্ন ওঠে, যাঁরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁরাই কি আবার ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গিয়ে নতুন একধরনের স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দেবেন?
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। ৫ আগস্ট, ২০২৪