বাবা হারালেন অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুল
Published: 23rd, June 2025 GMT
মডেল ও অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুলের বাবা মাহমুদ হাসান চৌধুরী মারা গেছেন। আজ সন্ধ্যায় খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
অভিনেত্রী ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে জন্মস্থান খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন পিয়া।
জানা গেছে, খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মাহমুদ হাসান চৌধুরী। গতকাল তার গলব্লাডারে অপারেশন হয়। আজ সন্ধ্যায় সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে মিস বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন পিয়া। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন র্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে ২০০৮ সালে। ফ্যাশন মডেল হিসেবে পাশাপাশি একাধিক ব্র্যান্ডের টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। ০১২ সালে ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। অভিনয় ছাড়াও আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতি
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনসহ দুই দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঁচ ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও বিচারের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠন। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে তারা। শুক্রবার পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়।
গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে স্থানীয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজে গাজীপুরের নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করতেন।
জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত দুই দিনে পঞ্চগড়, গাজীপুর, নাটোর, মৌলভীবাজার ও সিলেটে পাঁচজনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির বহিঃপ্রকাশ। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার দায় সরকার এড়াতে পারে না। অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডগুলোর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তাতে আমরা স্তম্ভিত। জুলাই অভ্যুত্থানের পরের বাংলাদেশেও এ রকম নৃশংসতা দেখতে হবে, তা কল্পনাও করা যায় না। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা রক্ষায় সামগ্রিকভাবে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধী ও তাদের পেছনে থাকা রাজনৈতিক শক্তিকে আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হলে গাজীপুরের পুরো পুলিশ ও প্রশাসনকে প্রত্যাহার করতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য বিপজ্জনক সংকেত। মনে রাখতে হবে, চব্বিশের জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের যে পরিণতি, নানা চাপের মধ্যেও তা এগিয়ে নিতে পেরেছেন এই সাহসী সাংবাদিকেরাই। ফলে সাংবাদিকদের ওপর এমন বর্বর হামলা কেবল ব্যক্তি নয়, বরং মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত।’
এ ঘটনায় পুরো সাংবাদিক সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি সাজ্জাদ আলম খান ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে একজন সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুরো দেশবাসী হতবাক। একটি সভ্য রাষ্ট্রে এমন হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ঘটনা সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি করেছে। গোটা সাংবাদিক সমাজ নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।’
ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ওপর সরাসরি হামলা। এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’