ডাকাতির সময় গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
Published: 23rd, June 2025 GMT
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ডাকাতির সময় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে ওই ঘটনার পর রোববার সন্ধ্যায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এরপর অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোরে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার দু’জন হলো মো. সোহেল ও নুর করিম। তারা একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঘটনার রাতে দেশি অস্ত্রসহ ছয়জনের একটি দল ভুক্তভোগীর বাড়িতে হানা দেয়। ঘরে ঢুকে তারা গৃহকর্তাকে বেঁধে ফেলে। পরে আলমারি ও অন্যান্য স্থান খুঁজে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। একপর্যায়ে ডাকাতদের কয়েকজন গৃহকর্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
এদিকে মুখোশ পরা থাকলেও ভুক্তভোগী পরিবার ডাকাত দলের দু’জনকে চিনে ফেলে। পরে ওই দু’জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করা হয়। এরপর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোহেল ও নুর করিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহন্ত বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক চার আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপিসহ তিন রাজনৈতিক দল যেসব প্রতীক পাচ্ছে
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পাচ্ছে তিনটি নতুন রাজনৈতিক দল। দলগুলো হলো-জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি, আমজনগণ পার্টি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)। ইতিমধ্যে দলগুলোকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যয় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘শাপলা কলি’, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্ক্সবাদী) ‘কাঁচি’ ও আমজনগণ পার্টিকে ‘হ্যান্ডশেক’ প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর দাবি-আপত্তি এলে তা নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত নিবন্ধন দেওয়া হবে।’
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থীকে অভিনন্দন জানালেন জামায়াতের প্রার্থী
টাঙ্গাইলে বিএনপির আনন্দ মিছিলে আ.লীগ নেতার স্লোগান
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়ে কারো কোনো আপত্তি থাকলে প্রয়োজনীয় দলিলসহ এর কারণ উল্লেখপূর্বক ১২ নভেম্বরের মধ্যে সচিবের নিকট লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
ইসির নিবন্ধন পেতে ১৪৩টি দল আবেদন করে। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ২২ দলের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত পাঠায় নির্বাচন কমিশন। এরপর মাঠ পর্যায়ের তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এনসিপি ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তবে এনসিপি প্রতীক জটিলতা ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগের কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে জাতীয় লীগসহ ১০ দলের অধিকতর যাচাইয়ের জন্য আবার তদন্ত করে সংস্থাটি। এরপর অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই শেষে কয়েক দফা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
পুনরায় মাঠ পর্যায়ের তদন্তে যে ১০টি দলকে পাঠানো হবে সেগুলো হল-আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ