লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ডাকাতির সময় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে ওই ঘটনার পর রোববার সন্ধ্যায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এরপর অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোরে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশ।
 
গ্রেপ্তার দু’জন হলো মো. সোহেল ও নুর করিম। তারা একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঘটনার রাতে দেশি অস্ত্রসহ ছয়জনের একটি দল ভুক্তভোগীর বাড়িতে হানা দেয়। ঘরে ঢুকে তারা গৃহকর্তাকে বেঁধে ফেলে। পরে আলমারি ও অন্যান্য স্থান খুঁজে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। একপর্যায়ে ডাকাতদের কয়েকজন গৃহকর্ত্রীকে ধর্ষণ করে। 

এদিকে মুখোশ পরা থাকলেও ভুক্তভোগী পরিবার ডাকাত দলের দু’জনকে চিনে ফেলে। পরে ওই দু’জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করা হয়। এরপর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোহেল ও নুর করিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

লক্ষ্মীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহন্ত বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক চার আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র

এছাড়াও পড়ুন:

ভূতের ভয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন সোনাক্ষী!

বর্ষার রাত, শহরজুড়ে এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি, আর ভেতরে বিলাসবহুল বাড়ির ঘরে ঘন অন্ধকার। এমনই এক রাতে ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। ক্লান্ত সোনাক্ষী সেদিন শুটিং শেষে বাড়ি ফিরে সরাসরি ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু হঠাৎ গভীর রাতে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। চোখ বন্ধ, কিন্তু মন যেন জেগে আছে– ঠিক তখনই টের পান, কিছু একটা অদৃশ্য সত্তা যেন তাঁকে জোরে চেপে ধরছে।

সোনাক্ষীর কথায়, ‘মনে হচ্ছিল, দুটো শক্ত হাত আমার গা চেপে ধরেছে। একটুও নড়তে পারছিলাম না। এতটাই ভয় পেয়েছিলাম যে, চোখ খুলে তাকাতেও সাহস পাইনি। নিথর হয়ে পড়েছিলাম।” আস্তে আস্তে জানালার ফাঁক দিয়ে ভোরের আলো ঢুকতেই সেই চাপ কমে আসে, কিন্তু আতঙ্কটা থেকে যায়। সোনাক্ষী বলেন, “আমি তখন বুঝতেই পারছিলাম না, এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব। কিন্তু একটা ব্যাপার নিশ্চিত– ঘরে আমি একা ছিলাম না।’

ঘটনার পর দিনও সেই ভয় তাঁকে তাড়িয়ে বেড়ায়। শুটিংয়ে গেলেও মন পড়ে ছিল আগের রাতের অভিজ্ঞতায়। রাতে ফেরার পর নিজের ঘরের দরজা খুলেই সোজা বলে ওঠেন, “কাল রাতে যেটা এসেছিলে, প্লিজ আর এসো না! যদি কিছু বলার থাকে, স্বপ্নে এসো। সামনে এসে আর ভয় দেখিয়ো না।” এরপর কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে দেন সোনাক্ষী। অনেকে বলেন, ওই ঘটনার পর থেকেই তিনি প্রাসাদোপম সেই বাড়ি ছেড়ে নতুন ঠিকানায় চলে যান।

‘নিকিতা রায়’ সিনেমার প্রচারে গিয়ে সোনাক্ষী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি আগে ভূতে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু ওই রাতটার পর থেকে আমার ধারণা পাল্টে গেছে। এটা যদি সত্যিই কোনো অশরীরী আত্মা হয়ে থাকে, তবে হয়তো বন্ধুসুলভ ছিল, কারণ এরপর আর কখনও ফিরে আসেনি।”

হীরামন্ডি-খ্যাত এই অভিনেত্রীর এই অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে ঝড়ের বেগে। অনেকেই বলেছেন, এমন অভিজ্ঞতা তারাও পেয়েছেন। কেউ কেউ তো বিশ্বাস করেন, তারকা হওয়া মানেই যেমন গ্ল্যামার, তেমনি অলৌকিক কিছু ঘটনা ঘিরেও চলতে হয় তাদের জীবন। যা-ই হোক, সোনাক্ষীর সেই এক রাতের অভিজ্ঞতা আজও তাঁর মনে গেঁথে আছে। গল্পটা যেন ঠিক হরর ফিল্মের চিত্রনাট্য। কিন্তু বাস্তবে যেটা ঘটেছে, সেটা সিনেমা থেকেও বেশি গা ছমছমে।

আর এই গল্পই প্রমাণ করে– তারকা হলেও ভয়টা সবারই থাকে, আর ভূত… সেটা বিশ্বাস না করলেও, মাঝেমধ্যে ঠিকই এসে পড়ে জীবনের মাঝখানে! সোনাক্ষীর সেই এক রাতের অভিজ্ঞতা যেন কোনো হরর সিনেমার চিত্রনাট্য। অথচ ঘটনাটি বাস্তব এবং সেই কারণেই হয়তো আরও বেশি ভয়াবহ। তারকা হলেও ভয় সবারই থাকে। আর ভূত… তারা বিশ্বাসের তোয়াক্কা না করেই মাঝেমধ্যে হঠাৎ করে জীবনের মাঝখানে এসে পড়ে!

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল কিশোরী
  • বুমরা ‘কোহিনুর হীরার মতোই মূল্যবান’
  • সংকেত না মানায় চলন্ত মোটরসাইকেলে পুলিশের ধাক্কা, এরপর যা ঘটল
  • চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ
  • ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় আবারও ইসরায়েলি হামলা
  • সাবেক স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
  • ভূতের ভয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন সোনাক্ষী!
  • আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, পরে যৌনপল্লিতে বিক্রি
  • আবাসিক হোটেলে আটকে রেখে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, পরে বিক্রি