রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন এক রোগীর শরীরে ধনুষ্টঙ্কারের (টিটেনাস) উপসর্গ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার ওই রোগীকে আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এ সম্পর্কে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, রোগীর শরীরে টিটেনাসের উপসর্গ রয়েছে। বর্তমানে তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অন্য রোগীদেরও নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার পুরো আইসিইউ জীবাণুমুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এখানে আইসিইউয়ে ১০টি শয্যা আছে। চার দিন আগে শারীরিক জটিলতা নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি হন কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের মহুবার রহমান (৫৫)। গতকাল দুপুরে তাঁর শরীরে ধনুষ্টঙ্কারের উপসর্গ ধরা পড়ে। তখন তাঁকে দ্রুত আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। একই সঙ্গে ধনুষ্টঙ্কারের উপসর্গ শনাক্ত হওয়ার পর আইসিইউ জীবাণুমুক্ত করতে রোগীকে স্থানান্তর করা শুরু হয়।

ধনুষ্টঙ্কার রোগ সংক্রামক। সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে আইসিইউতে থাকা ছয় রোগীকে অন্য ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে লাইফ সাপোর্টে থাকা তিনজন রোগী এখনো আইসিইউতে রয়েছেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তাৎক্ষণিক সরানো সম্ভব হয়নি। সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে ওই তিন রোগীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র উপসর গ

এছাড়াও পড়ুন:

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ছেড়ে দেওয়ার পর শরীরে কি কোনো পরিবর্তন আসতে পারে

সন্তান ধারণ ও নারীদেহের অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সরাসরি হরমোনের সঙ্গে সম্পর্কিত।জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলে থাকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোন। তাই বুঝতেই পারছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সাদামাটা কোনো ওষুধ নয়। পিল গ্রহণের কারণে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আবার কিছু রোগের চিকিৎসায়ও পিল ব্যবহার করা হয়। কেবল জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, কিছু রোগের উপসর্গ প্রশমন করতেও কাজে আসে এসব পিল। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন, হঠাৎ পিল খাওয়া ছেড়ে দিলে তখন দেহে কি কোনো ধরনের পরিবর্তন হতে পারে?

অনিয়মিত মাসিক
পিল ছেড়ে দিলে মাসিকের স্বাভাবিক চক্রে কিছুটা পরিবর্তন আসে। তাই মাসিক হতে পারে অনিয়মিত। হতে পারে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ কিংবা তলপেটে ব্যথা। কয়েক মাসের মধ্যে এসব সমস্যা সেরেও যায়। তবে রক্তক্ষরণ বেশি হলে কিংবা পেটব্যথা খুব তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। এসব উপসর্গের পেছনে অন্য কোনো কারণ দায়ী হলে, তা নির্ণয় করতে পারবেন তিনি।

মনমেজাজে বদল
মনের ওপর হরমোনের বিস্তর প্রভাব। তাই পিল ছেড়ে দিলে হুট করে মেজাজের ধরন কিছুটা বদলাতে পারে। বিশেষ করে মাসিক শুরু হওয়ার আগের কয়েকটা দিন বাড়তি দুশ্চিন্তা, অবসন্নতা বা বিরক্তি অনুভূত হতে পারে।

ওজন কমে যাওয়া
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত কিছু পিল ওজন বাড়ার জন্য দায়ী। এসব পিল ছেড়ে দিলে তাই স্বাভাবিকভাবেই ওজন কিছুটা কমে। তবে না চাইতেই খুব বেশি ওজন কমলে বিষয়টিকে আবার স্বাভাবিক ধরে নেওয়া যাবে না। সে ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

মাথাব্যথা
হরমোনের আধিক্যে কারও কারও মাথাব্যথা করে। কেউ কেউ আবার হরমোনের ঘাটতি হলে মাথাব্যথায় ভোগেন। তাই পিল খাওয়া শুরু করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে যাঁদের মাথাব্যথা হতো, পিল ছেড়ে দেওয়ার পর তাঁরা মাথাব্যথায় কম ভোগেন। আর পিল শুরু করার পর যাঁদের মাথাব্যথা কমেছিল, পিল ছেড়ে দিলে তাঁরা মাথাব্যথায় বেশি ভুগতে পারেন।

আরও পড়ুনজন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে যা জানা উচিত৩১ মে ২০২২

আরও যা হতে পারে

পিল ছেড়ে দেওয়ার পর অন্য কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা না হলে ৮৫ শতাংশ নারীর এক বছরের মধ্যে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে।

পিল শুরুর পর অনেকের ব্রণের সমস্যা কমে যায়। পিল ছেড়ে দিলে ব্রণ ফিরে আসতে পারে।

পিল শুরুর পর কারও দেখা দেয় বমি বমি ভাব, কারও হয় স্তনে ব্যথা। পিল ছেড়ে দিলে এসব সমস্যা সেরে যায়।

পিল ছেড়ে দেওয়ার পর সবার দেহে যে একই ধরনের প্রভাব দেখা দেবে, তা নয়। কার দেহে ঠিক কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা নির্ভর করে তিনি কত দিন ধরে কোন মাত্রার পিল গ্রহণ করেছেন, তার ওপর।
সূত্র: ওয়েবএমডি

আরও পড়ুনযেভাবে ডিম খেলে মিলবে সবচেয়ে বেশি আমিষ১০ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ছেড়ে দেওয়ার পর শরীরে কি কোনো পরিবর্তন আসতে পারে