শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান কামালের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত
Published: 24th, June 2025 GMT
জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্র কর্তৃক আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। পাশাপাশি এ ধরনের পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য আগামী ২ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। তারপরও তারা ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি।
প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম আরও বলেন, এ পর্যায়ে অভিযোগ গঠনের উপর শুনানি শুরু করা যেতে পারে। প্রসিকিউশনের বক্তব্য শুনে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন পাশাপাশি আগামী দুই জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। এদিন এই মামলার কারাগারে থাকা অপর আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আস দ জ জ ম ন খ ন ক ম ল আস দ জ জ ম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সালাহ উদ্দীন আহমাদ আর নেই
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সালাহ উদ্দীন আহমাদ ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সালাহ উদ্দীন আহমাদ নানা রোগে ভুগছিলেন। তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন বলে জানান তাঁর মেজ সন্তান আবরার আহমাদ।
আবরার আহমাদ প্রথম আলোকে বলেন, আজ বাদ জোহর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তাঁর বাবার জানাজা হবে। বাদ এশা ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে জানাজা হবে। এরপর আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেশের ১৪তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ২০০৮ সালের ২০ জুলাই দায়িত্ব নিয়েছিলেন সালাহ উদ্দীন আহমাদ। এর আগে ২০০৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন।
সালাহ উদ্দীন আহমাদের মৃত্যুতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ অবকাশকালীন হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ বসবেন না বলে এক খুদে বার্তায় জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন।
১৯৪৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সালাহ উদ্দীন আহমাদ। তিনি ১৯৬৯ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭০ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। তিনি ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ল স্কুল থেকে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষাজীবন শেষে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়ে ঢাকা জেলা বারে আইন পেশা শুরু করেন সালাহ উদ্দীন আহমাদ। তিনি ১৯৮২ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০২ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ১৯৭০–এর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করেন তিনি।