জুলাই আন্দোলন নিয়ে একঝাঁক চলচ্চিত্র, আটকে আছে ‘দ্য রিমান্ড’
Published: 2nd, July 2025 GMT
২০২৪ সালে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান বদলে দিয়েছিল দেশের রাজপথের দৃশ্যপট। সেই আন্দোলনের উত্তাপ, সাফল্যের প্রভাব চলচ্চিত্র জগতকেও আলোড়িত করে। অনেক নির্মাতা ঘোষণা দেন, জুলাই আন্দোলনকে উপজীব্য করে বড় পর্দায় তুলে ধরবেন ইতিহাস। কিন্তু ঘোষণার প্রায় এক বছর পার হতে চললেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির রেকর্ড বলছে, বেশ ক’জন নির্মাতা সিনেমার নাম নিবন্ধন করেছেন জুলাই আন্দোলন ঘিরে। ‘আয়নাঘর’, ‘ভয়ংকর আয়নাঘর’, ‘পরিবর্তন’ বা ‘৩৬শে জুলাই’ নামে চলচ্চিত্রের নিবন্ধন হয়েছে। তবে এসবের বেশির ভাগই রয়ে গেছে কাগজ-কলমে।
এই প্রেক্ষাপটে প্রথম এবং একমাত্র পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘দ্য রিমান্ড’। আশরাফুর রহমান পরিচালিত এই সিনেমাটিতে অভিনয় করেন জাকিয়া বারী মম, পারভেজ আবির চৌধুরী, সালহা খানম নাদিয়া, লুৎফর রহমান জর্জ, কাজী হায়াৎ, মারুফ আকিবসহ অনেকে।
দীর্ঘদিন আগে সিনেমাটি জমা পড়ে চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে। গত ৩০ ডিসেম্বর বোর্ডের পরীক্ষণ কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সনদপত্র পায়নি সিনেমাটি। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মাঝে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।
অন্যদিকে ‘আয়নাঘর’ নাম নিয়ে রয়েছে অনেকের আগ্রহ। শোনা যায়, একাধিক নির্মাতা এই নামকে কেন্দ্র করে কাজ শুরু করেছিলেন। জয় সরকার নির্মাণ করছেন সরাসরি ‘আয়নাঘর’ নামেই, বদিউল আলম খোকন করছেন ‘ভয়ংকর আয়নাঘর’, জঁ নেসার ওসমান করছেন ‘অন্ধকারের আয়নাঘর’।
জয় সরকার বলেন, “আমরা অনেকটা কাজ গুছিয়ে এনেছি। আগামী বছরের জানুয়ারিতে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে। দুই দিনের মধ্যে প্রযোজকের সঙ্গে মিটিং আছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ‘আয়নাঘর’ মুক্তি পাবে সময়মতো।”
অন্যদিকে ‘৩৬শে জুলাই’ সিনেমা যেন হারিয়ে যাচ্ছে পথেই। সিনেমাসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রযোজক এখন আর আগ্রহী নন সিনেমাটি নির্মাণে। পরিচালক রাশেদ শামীম স্যাম নতুন প্রযোজকের খোঁজ করছেন। বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মতে— সিনেমাটি আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
‘ভয়ংকর আয়নাঘর’ নিয়ে পরিচালক বদিউল আলম খোকন বলেন, “সিনেমাটির স্ক্রিপ্ট এখনো লেখা হচ্ছে। বড় ক্যানভাসে নির্মাণের পরিকল্পনা করছি, তাই সময় নিচ্ছি। এখন একটি নতুন সিনেমার কাজে ব্যস্ত, সেটি শেষ করেই প্রি-প্রোডাকশনে যাব।”
ঢাকা/রাহাত//
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র পর চ ল করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শনিবার (১৬ আগস্ট) একদিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিসহ বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক ছিল হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্ট ধারী যাত্রী পারাপার।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন হিলি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী।
তিনি জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একদিন বন্ধের পর আজ রবিবার দুপুর ১টা থেকে হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক হয়েছে বন্দর অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রম। বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তা আনলোড করে দেশি ট্রাক লোড হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যেতে শুরু করেছে।
হিলি ইমিগ্রেশন ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন, “হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকে না। ভারতের সাথে এই চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।”
ঢাকা/মোসলেম/এস