Risingbd:
2025-07-09@09:44:53 GMT

পুতিনের ওপর চটেছেন ট্রাম্প

Published: 9th, July 2025 GMT

পুতিনের ওপর চটেছেন ট্রাম্প

ইউক্রেন যুদ্ধ অব্যাহত রাখায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর চটেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মস্কোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা বিবেচনা করছেন।

বুধবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য স্ট্যান্ডার্ড।   

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে একদিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি তিনি পালন করতে পারেনি। শান্তির মধ্যস্থতার জন্য তার প্রশাসনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার কুরস্কে নিহত ৩

ইউক্রেনে আরো অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে মন্ত্রিপরিষদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প পুতিনের ওপর তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে হাজার হাজার সেনা প্রাণ হারাচ্ছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, “আমি আপনাদের এটুকু বলতে পারি, পুতিনের বিষয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। তাকে সবসময় খুব ভদ্রোচিত দেখায় তবে দিনশেষে সবই অর্থহীন। পুতিনের আমাদের সঙ্গে অনেক বেশি বাজে বকেন।”

ট্রাম্প জানান, তিনি সিনেটে এমন একটি বিলকে সমর্থন করবেন কিনা তা বিবেচনা করছেন, যা যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ট্রাম্প বলেন, “আমি বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।” 

এই বিলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হলেন দক্ষিণ ক্যারোলিনার রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এবং কানেকটিকাটের ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল। এই বিলটি মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যকারী অন্যান্য দেশগুলোকেও শাস্তি দেবে। রাশিয়ার তেল, গ্যাস, ইউরেনিয়াম ও অন্যান্য রপ্তানি কিনবে এমন দেশগুলোর ওপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে।

মঙ্গলবার আরো এক বিবৃতিতে ট্রাম্প জানান, তার প্রশাসন ইউক্রেনে নতুন করে অস্ত্র পাঠাবে, যা মূলত হবে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ য় ইউক র ন য দ ধ ইউক র ন র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

চার রোহিঙ্গা খুনের মামলায় আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে কক্সবাজারের একটি আদালত।

আজ বুধবার দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আসাফ উদ্দিন আসিফ উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে সংগঠিত চার রোহিঙ্গা খুনের মামলার শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী প্রথম আলোকে তিন দিনের রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে চারজন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছিল। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আরাসা প্রধান আতাউল্লাহ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় প্রিজন ভ্যানে আরাসাপ্রধানকে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়। বেলা দুইটার দিকে আদালত থেকে আবার কক্সবাজার জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আজ বিকেল থেকে আতাউল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে অবশিষ্ট মামলায় পুনরায় রিমান্ড চাওয়া হবে। আতাউল্লাহর বিরুদ্ধে উখিয়া থানাতে তিনটি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি থানাতে একটি হত্যা মামলা রয়েছে।

পুলিশ ও আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে চারজন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির তদন্তে রয়েছে।

পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ১৮ মার্চ রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ শহরের নতুন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল র‍্যাব। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে তারা গোপন বৈঠক করছিলেন।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে আতাউল্লাহসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম দফায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর বান্দরবানসহ বিভিন্ন আদালতে একাধিক মামলায় আতাউল্লাহকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কক্সবাজারের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে তাকে কক্সবাজার আনা হয়।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৮ সালের দিকে উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরের নিয়ন্ত্রণে নেয় আরসা। তখন আরসাকে ঠেকাতে মাঠে নামে আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশন ( আরআরএসও)। তখন রোহিঙ্গাদের নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহর সঙ্গে বিরোধে জড়ায় আরসা। ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরে মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে আরসা সন্ত্রাসীরা। এই মামলায় আতাউল্লাহকে আসামি করা হয়। এক মাস পর উখিয়ার আরেকটি আশ্রয়শিবিরে ছয়জন রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করে আরসা। সে মামলার আসামি আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ।

২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের কাছে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানের সময়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদী। এই মামলাতেও আসামি আরসার প্রধান।

সীমান্তের একাধিক সূত্র ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেওয়া তথ্যমতে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের সিকদারপাড়ায় আতাউল্লাহর বাড়ি। ১৯৬০ সালের দিকে তাঁর বাবা পাকিস্তানের করাচিতে চলে যান। সেখানেই জন্ম আতাউল্লাহর। তিনি পড়াশোনা করেন সৌদি আরবের মক্কায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ