আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা তিন যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কসমেটিকস, বিদেশি সিগারেট, মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করেছে এনএসআই, কাস্টমস, এভসেক ও বিমানবাহিনীর সমন্বিত টিম।

বুধবার (৯ জুলাই) রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে অবতরণ করা এয়ার আরাবিয়ার ফ্লাইট নম্বর জি-৯০৬১ থেকে নামার পর ওই তিন যাত্রী গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে যাওয়ার সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে টাস্কফোর্স সদস্যরা তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে।

তল্লাশিতে তিনটি ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় ২ হাজার ৫০০ পিস আমদানি নিষিদ্ধ ক্রিম, ১০০ কার্টন বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট, ৭টি মোবাইল ফোন এবং ১টি ল্যাপটপ।

আটক যাত্রীরা হলেন ফেনীর সদর উপজেলার মো.

রিপন ছাগলনাইয়া উপজেলার মো. মজিবুর রহমান ও মো. তাজুল ইসলাম।

কাস্টমস সূত্র জানায়, জব্দকৃত পণ্যের আনুমানিক রাজস্ব মূল্য প্রায় ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সিগারেটের দাম ২ লাখ ৮০ হাজার, নিষিদ্ধ কসমেটিকসের দাম ৭ লাখ ৫০ হাজার, মোবাইলের দাম ৪ লাখ ২০ হাজার এবং ল্যাপটপের মূল্য ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।

এ বিষয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল গণমাধ্যমকে জানান, চোরাচালান, রাজস্ব ফাঁকি ও হয়রানি রোধে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সতর্ক। এই তিনজন যাত্রী প্রথমবারের মতো এমন অপরাধে জড়িত হওয়ায় তাদের কাছ থেকে মালামাল জব্দ করে সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ