স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া ঢাকার মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতাল নির্মাণের নামে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. ইকবাল কবীরসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুকের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.

আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনুসন্ধানে পাওয়া সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকার মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. ইকবাল কবীরের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের কোনোরূপ অনুমোদন না নিয়ে কোনো প্রকার ওয়ার্ক অর্ডার বা নোটিফিকেশন অফ এওয়ার্ড ছাড়াই নির্মাণ কাজটি করা হয়। সাবেক প্রকল্প পরিচালকের শুধুমাত্র মৌখিক নির্দেশে এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেডকে হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলায় নির্মাণ কাজ করানোর হয়। দুদকের অনুসন্ধানে এর প্রমাণ মিলেছে।

ওই কাজের জন্য এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন অস্বাভাবিক খরচ উল্লেখ করে একটি বিল তৈরি করেছিল। ৪ কোটি ৩৫ হাজার টাকার ওই বিলটি হাসপাতালের পরিচালকের মাধ্যমে উক্ত বিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। দুদক নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মাধ্যমে এই কাজের পরিমাপ করে মাত্র ৬৯ লাখ ৭৩ টাকা খরচের হিসাব পায়। ওই হিসাব অনুযায়ী অতিরিক্ত ৩ কোটি ৩০ লাখ ৬১ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়েছিল। 

বিলটি পাশের জন্য নানা কৌশল গ্রহণ করা হলেও অবশেষে বিলটি বাতিল করা হয়। মামলার অপর আসামী হলেন, এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশনের এমডি মো. সাইফুর রহমান।

সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. ইকবাল কবীর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার অপব্যবহার করায় দন্ডবিধির ৫১১/১২০-খ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ভ ড ১৯

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে কবরস্থানে নবজাতক ফেলে যাওয়ার ঘটনায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ

চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে নবজাতক ফেলে যাওয়ার ঘটনায় শহরের কুমিল্লা রোডের দ্য ইউনাইটেড হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ সিদ্ধান্ত দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাপ্পি দত্ত।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে ওই নবজাতককে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় ফারুক হোসেন গাজীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটিতে অবৈধ কার্যক্রম ছিল। নবজাতকের জন্মও হয়েছিল ওই হাসপাতালে। কবরস্থানে নবজাতক দাফনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের।

আরও পড়ুনচাঁদপুরে কবরস্থানে বাক্সবন্দী উদ্ধার নবজাতকের হাসপাতালে মৃত্যু১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌর কবরস্থানের তত্ত্বাবধায়ক শাহজাহান মিয়াজী।

হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বাপ্পি দত্ত বলেন, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া মেলেনি। চিকিৎসক নেই, প্যাথলজি ও অপারেশন থিয়েটারের পরিবেশ অনুপযুক্ত, পোস্ট অপারেটিভ রোগীদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্র নবায়নও করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে হাসপাতালের ওটি, প্যাথলজি ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। রোগীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু করা হবে।

আরও পড়ুনকবরস্থানে নবজাতক রেখে যাওয়া সেই ব্যক্তি আটক১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রফিকুল হাসান, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান এবং সদর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ